নারায়ণগঞ্জ  শনিবার | ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ শরৎকাল | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

শিরোনাম
  |   জশনে জুলুসের মিছিল ও ধর্মীয় স্থাপনায় হামলায় হতাহতে ধর্ম উপদেস্টার পদত্যাগ দাবি   |   চেয়ারম্যান ঘি জাকিরের অপসারণ দাবীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের মানববন্ধন   |   রক্ত প্লাবন — মাসুদ রানা লাল    |   মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা   |   স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রবিনকে জবাই করে হত্যা চেষ্টা প্রতিবাদে বিক্ষোভ মানববন্ধন   |   আজমেরী ওসমানের টর্চার সেল ও ত্বকীর লাশ পাওয়ার স্থান পরিদর্শন করল র‌্যাব   |   খেলার মাঠ রক্ষায় পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক   |   আকিজ এগ্রো ফিড কোম্পানিতে হামলায় ৭ জন আহত, ব্যাপক  ক্ষতিসাধন   |   পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স:) পালনে নিতাইগঞ্জে মিলাদ, দোয়া ও রান্না খাবার বিতরণ   |   নারায়ণগঞ্জে নব্য কোনো শীর্ষ সন্ত্রাসীর জন্ম হতে দেয়া হবে না – পুলিশ সুপার   |   গাজীপুর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক কয়েদি গ্রেফতার   |   ত্বকী হত্যা মামলায়  পারভেজ নামে এক যুবক গ্রেপ্তার   |   নারায়ণগঞ্জে বিএনপি’র বিরোধে লাভ ক্ষতি কার ?    |   ভালো হয়ে যান, অন্যথায় পালানোর পথ খোঁজে পাবেন না – সেলিম    |   মাজার ও খানকা শরীফে হামলা বন্ধ করে জঙ্গীবাদ নির্মূল করার আহবান জানালেন – সৈয়দ বাহাদুর শাহ   |   পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে না’গঞ্জে জশনে জুলুস র‍্যালী নানা কর্মসূচি পালিত   |   চিকিৎসকদের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে বিক্ষোভ    |   ধর্মীয় স্থান, মাজার রক্ষা ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিল অন্তর্বর্তী সরকার   |   আড়াইহাজার থানার নুতন ওসি এনায়েত হোসেনের যোগদান   |   অবিলম্বে মাজারে হামলাকারিদের গ্রেফতার করা না হলে দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে – তরিকুল সুজন  
 প্রচ্ছদ   বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি   কেঁচো সারে নুরুলের আয় মাসে ১০ হাজার টাকা
কেঁচো সারে নুরুলের আয় মাসে ১০ হাজার টাকা
  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি || নারায়ণগঞ্জেরখবর.কম
প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২২

রাসায়নিক সারের ব্যবহার বাড়ায় প্রতিদিনই কমে যাচ্ছে কৃষি জমির উর্বরতা। আর তাই জমির উর্বরতা বাড়াতে এবং অধিক ফলনের লক্ষ্যে ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) উৎপাদন করে সাড়া ফেলেছে সিরাজগঞ্জের কৃষক নুরুল ইসলাম। বর্তমানে নুরুলের ২০টি রিংয়ে উৎপাদন হচ্ছে ৯০০ কেজি সার। আর এই সার তৈরি ও বিক্রি করে মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করছেন তিনি। তার এই সাফল্য দেখে অনেকেই কেঁচো সার তৈরীর জন্য পরামর্শ নিচ্ছেন।নুরুলের বাড়ি সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের সদানন্দপুর গ্রামে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও ভার্মি কম্পোস্টের বিষয়ে নুরুলের কোনো ধারণা ছিল না। পরে তিনি রাজশাহী বিভাগীয় কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। এরপর ভার্মিকম্পোস্ট উৎপাদন শুরু করেন নুরুল। ২০২০-২১ অর্থবছরে আরডিএডিপি প্রকল্পের আওতায় ভার্মিকম্পোস্ট তৈরি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রথমে ১০টি রিংয়ে কম্পোস্ট সারউৎপাদন শুরু করেন এই কৃষক। প্রদর্শনী থেকে উৎপাদিত সার জমিতে ব্যবহার করে অসাধারণ সাফল্য পান তিনি। এরপর নুরুল ইসলাম বাণিজ্যিকভাবে সার উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠেন।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণের পরামর্শ ও সহযোগিতায় ১০টি রিং স্থাপন করে কেঁচো সারের সাফল্য পেয়েছেন নুরুল ইসলাম। বর্তমানে ২০টি রিংয়ে ভার্মিকম্পোস্টে উৎপাদন করছেন কেঁচো সার।স্থানীয় কৃষক আওয়াল শেখ, শুক্কুর আলী, মজিবর শেখের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘বাপ-চাচারা যেভাবে আগে জমি চাষ করতেন সেভাবে এখন চাষ করা সম্ভব হয় না। এখন সার ব্যবহার ও চাষ পদ্ধতিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এমনকি কয়েক বছর আগেও ফসল উৎপাদনে যতোটা সার প্রয়োজন হতো, এখন তার চেয়ে বেশি সার লাগছে। নতুন নতুন রোগের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। আর ফলনও সন্তোষজনক নয়। সব মিলিয়ে বলতে গেলে বর্তমানে খরচ বেড়েছে। কেঁচো কম্পোস্ট একটি জৈব সার যা জমির উর্বরতা বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। জৈব সার ব্যবহার করেও অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব হচ্ছে।সংশ্লিষ্টরা জানান, আমরা এখন যেসব খাবার খাচ্ছি সেসব খাবার উৎপাদনে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে। অজান্তেই এসব রাসায়নিক শরীরে ঢুকে যাচ্ছে। তার প্রভাবে শরীরের বিভিন্ন রোগ বাসা বাধছে। এই সমস্যার সহজ সমাধান জৈব পদ্ধতিতে কৃষিকাজ। জৈব পদ্ধতিতে কেঁচো সারের ব্যবহার বাড়ানো গেলে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকমুক্ত পরিবেশবান্ধব কৃষি ব্যবস্থা গড়ে উঠতে পারে। এতে চাষের খরচের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিও কমে আসবে।কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘নিজস্ব গরুর খামার থেকে পাওয়া গোবর ও কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় কেঁচো দিয়ে শুরু করি ভার্মি কম্পোস্টের বাণিজ্যিক উৎপাদন। প্রতি মাসে উৎপাদিত হচ্ছে প্রায় ৯০০ কেজি সার। প্রায় ২০০ কেজি নিজে ব্যবহার করার পর বাকি প্রায় ৭০০ কেজি অন্য কৃষক ও শহরের ছাদ বাগানিদের কাছে বিক্রি করি। প্রতি মাসে ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) ৭০০ কেজি বিক্রি বাবদ আয় হয় ১০ হাজার টাকা। পাশাপাশি ২/৩ হাজার টাকার কেঁচোও বিক্রি করি।’ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোস্তম আলী বলেন, ‘কৃষক নুরুলের উৎপাদিত কেঁচো সার ইতোমধ্যেই কৃষক ও ছাদ বাগানিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তারা প্রতিদিনই নুরুলের কাছ থেকে এই সার কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তার দেখাদেখি এখন অনেকেই কেঁচো সার উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেঁচো সার উৎপাদনে কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের।’

নার্সারীতে সফলতা পেয়ে নার্সারী নুরুল ইসলাম সাত বার অর্জন করেছেন জেলা প্রশাসনের সম্মাননা পদক

ফেইসবুকে আমরা

এ সম্পর্কিত আরো খবর...

error: Content is protected !!
error: Content is protected !!