শিরোনাম
সস্তাপুরে কিশোর গ্যাং অনিক বাহিনীর হামলায় রৌদ্র আহত
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা সস্তাপুর এলাকায় কিশোর গ্যাং লিডার অনিক বাহিনীর হামলায় রক্তাক্ত জখম হয়েছে রৌদ্র নামে অপর এক কিশোর। এ ব্যাপারে গুরুতর আহত রৌদ্র এর মামা কবির হোসেন বুধবার রাতে বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোঃ কবির হোসেন, পিতা- মৃত ওয়াজ উদ্দিন, সাং- সস্তাপুর, (ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন), থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। থানায় হাজির হইয়া বিবাদী ১। অনিক (২৫), ২। সৌরভ (২৭), উভয় পিতা- সাইফুল, ৩। চাঁন (২১), পিতা- অজ্ঞাত, ৪। পলাশ (২০); পিতা- অজ্ঞাত, ৫। নাছির (২৩), পিতা- অজ্ঞাত, ৬।
নাহিদ (২৮), পিতা- অজ্ঞাত, সর্ব সাং- সস্তাপুর, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন দের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, আমার ভাগিনা রৌদ্র (১৬), পিতা- রেজাউল করিম, সাং- সস্তাপুর, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ পেশায় একজন অটো চালক। সে ফতুল্লা থানাধীন মধ্য সস্তাপুর লতিফ মহাজন এর গ্যারেজ হইতে অটো ভাড়া নিয়া উহা দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে। উল্লেখিত বিবাদীরা মাদকসেবী। তাহারা প্রায় আমার ভাগিনার মহাজনের গ্যারেজে আসিয়া মাদক সেবন করার চেষ্টা করে। আমার ভাগিনা বাধা নিষেদ করায় তাহাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে।
ইংরেজী ২০/০৩/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান- ০৭.০০ ঘটিকার সময় আমার ভাগিনা ইফতার শেষে মধ্য সস্তাপুর লতিফ মহাজন এর প্যারেজে গিয়া ভাড়ায় চালিত অটো বাহির করার সময় উল্লেখিত বিবাদীরা তাহাকে পূর্ব পরিকল্পিত অনুযায়ী হাতে ধারালো ছোড়া, চাকু, লোহার রড ইত্যাদি সহকারে চারপাশ থেকে ঘিরিয়া ফেলে। একপর্যায় ১নং বিবাদী অনিক, ২নং বিবাদী সৌরভ, ৩নং বিবাদী চাঁন তাহাদের হাতে থাকা ধারালো ছোড়া ও চাকু দিয়া আমার ভাগিনা কে হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি ভাবে কোপাইতে থাকে। ফলে আমার ভাগিনা রৌদ্র (১৬) এর বাম হাতের উপরের ৫টি আঙ্গুল এবং ডান হাতের ৫টি আঙ্গুল সহ ডান পায়ের রগে ও পিঠে বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। ঐ সময় আমার ভাগিনা চিৎকার মাটিতে লুটাইয়া পড়িলে অন্যান্য বিবাদীরা তাহাদের হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা আমার ভাগিনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটাইয়া নীলাফুলা জখম করে।
১নং বিবাদী আমার ভাগিনার হাতে থাকা একটি স্যামফনী বাটন মোবাইল সেট, মূল্য অনুমান- ২,২০০/- (দুই হাজার দুইশত) টাকা, ২নং বিবালী ভাগিনার পকেটে থাকা অনুমান- ৭/৮ শত টাকা নিয়া নেয়। আমার ভাগিনা বাচাঁও বাচাঁও বলিয়া চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে উক্ত বিবাদীরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়া আমার ভাগিনা কে অচেতন অবস্থায় সন্তাপুর লতিফ মহাজনের গ্যারেজ হইতে টানা হেচড়া করিতে করিতে সস্তাপুরস্থ জাপানী বাড়ীর সামনে রাখিয়া পালাইয়া যায়। সংবাদ পাইয়া আমি সহ আত্মীয় স্বজন দ্রæত জাপানী বাড়ীর সামনে যাই এবং গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ভাগিনা কে প্রথমে ৩০০ শয্যা বিশিস্ট হাসপাতাল খানপুরে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাহাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। আমার ভাগিনা সামান্য জ্ঞান ফিরার পর তাহার নিকট ঘটনার বিস্তারিত শুনিয়া এবং বিবাদীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করিয়া অভিযোগ করিতে সামান্য বিলম্ব হইল।
উপরোক্ত বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। #