শিরোনাম
গুলিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১৫ জন নিহত, আহত ৭০ জনের মধ্যে অর্ধশতাধিক যাত্রী
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ রাজধানীর গুলিস্তানে একটি বহুতল ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। আহত হয়েছেন অনেকে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৫টার পরপরই এ বিস্ফোরণ ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে অনেক যাত্রীর উপস্থিতি ছিল। তারা আতঙ্কিত হয়ে নিরাপদ গন্তব্যে ছুটতে থাকেন। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত রোববার রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় একটি ভবনে বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হন। তার আগে গত শনিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে বিস্ফোরণে সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।
‘সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা, তদন্তে বলা যাবে’
রাজধানীর গুলিস্তানের পার্শ্ববর্তী সিদ্দিক বাজার এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনা নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে ঘটনাস্থলে এসে তিনি বলেন, ভবনটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বোমা বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞসহ অন্য বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তারা তদন্ত করে দেখছেন এটি নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা। অনেক সময় গ্যাস জমলেও বিস্ফোরণ হতে পারে। এ ছাড়া কোনও নাশকতা কি না, সেটিও বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করে দেখছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থাও এর কারণ খতিয়ে দেখছে।
কমিশনার বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত যতটুকু জানতে পেরেছি সিদ্দিক বাজারের এটি বাণিজ্যিক ভবন ছিল। নিচতলায় বিভিন্ন সেনেটারি সামগ্রীর দোকান ছিল। ওই ভবনে গ্রামীণ ও ব্র্যাক ব্যাংকের অফিসে ছিল। আরও কিছু কমার্শিয়াল দোকানও ছিল। যেহেতু ধ্বংসস্তূপ হয়েছে, তাই তদন্ত না করে বিস্তারিত বলা ঠিক হবে না।
এসময় মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, তিনি বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৭০ জন।
গুলিস্তানে ভবনে বিস্ফোরণ: রাস্তায় বাসের অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেলে একটি পাঁচতলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। এ সময় রাস্তার ওপর থাকা একটি বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত হয়েছেন বাসের অর্ধশতাধিক যাত্রী।
বিস্ফোরণে ওই ভবনে থাকা অনেকের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়েছে। কেউ কেউ রক্তাক্ত হয়ে রাস্তার ওপর পড়ে ছিলেন। তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিস্ফোরণে শুধু ওই ভবন নয়, পাশের ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনের দেয়াল এবং রড বিস্ফোরণে দুমড়েমুচড়ে গেছে।
জানা গেছে, ওই ভবনের নিচ থেকে ওপর তলা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক্স ও সিরামিকসের দোকান আছে। বেসরকারি কয়েকটি অফিসও আছে এখানে। বিস্ফোরণের সময় এসব ফ্লোরে অনেকেই ছিলেন। তারা ভেতরে আটকা পড়েন।
বিস্ফোরণের সময় ভবনের পাশের রাস্তা দিয়ে অনেকে পথচারী যাতায়াত করছিলেন। তাদের অনেকের গায়ে দেয়াল ধসে পড়ায় গুরুতর জখম হন। সাভারগামী একটি বাস ওই রাস্তা দিয়ে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল। বাসটিও বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাসের ভেতর থাকা অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের পাশেই একটি ট্রান্সফরমার ছিল। সেটিও বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। তার আগুনে অনেক পথচারী দগ্ধ হন। তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।#