শিরোনাম
রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ত্বকী হত্যার বিচার আটকে রাখা হয়েছে – রফিউর রাব্বি
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ত্বকী হত্যার বিচার আটকে রেখে বিচার ব্যবস্থাকে পঙ্গু করার এইটি একটি উজ্জ্বল উদাহরণ বলেছেন।
সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক রফিউর রাব্বি। শনিবার ৮ জুন সন্ধ্যায় চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ত্বকী হত্যার ১৩৫ মাস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচিতে তিনি আরো বলেন,
গণতন্ত্রহীন সমাজে দুর্বৃত্ত শক্তিই হয় সর্বশক্তিমান । সেখানে সুশাসন থাকে না , সেখানে বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন হতে পারে না । ত্বকী হত্যার ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও তৈরি করে রাখা অভিযোগপত্রটি আজো আদালতে পেশ করা হয় নাই ।
সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন , এই ওসমান পরিবার নারায়ণগঞ্জের মানুষের জীবনকে দূর্বিসহ করে তুলেছে । তারা সরকার- প্রশাসনের ছত্রছায়ায় সকল অপরাধ করে বেড়াচ্ছে । তিনি বলেন , ত্বকী হত্যার নির্দেশদাতা শামীম ওসমানের বিচার এক দিন হবেই । সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন , নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক দীপু , ন্যাপ জেলা সাধারণ সম্পাদক এড . আওলাদ হোসেন , নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি এড . প্রদীপ ঘোষ বাবু , সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী , বাসদের জেলা সদস্য সচিব আবু নাইম খান বিপ্লব , গণসংহতি আন্দোলন জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজন , বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সংগঠক রাশিাদ আক্তার প্রমুখ ।
২০১৩ সালের ৬মার্চ ত্বকীকে হত্যা করে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়া হয়। এর দুইদিন পর ৮মার্চ শীতলক্ষ্যার পাড়ে ত্বকীর লাশ পাওয়া যায়। এ হত্যাকাণ্ডে ওই বছরই ২৯ জুলাই ইউসুফ হোসেন লিটন ও ১২ নভেম্বর সুলতান শওকত ভ্রমর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। সুলতান শওকত ভ্রমর জানায়, শামীম ওসমানের ভাতিজা, নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে তারই টর্চারসেলে তারা ত্বকীকে হত্যা করে আজমেরীর গাড়িতে করেই লাশ নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়। হত্যাকাণ্ডের এক বছরের মাথায় ৫মার্চ ২০১৪ তদন্তকারী সংস্থা র্যাব সংবাদ সম্মেলন করে জানায় যে, নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবার তাদেরি টর্চারসেলে ১১জন মিলে ত্বকীকে হত্যা করেছে। তারা হত্যার কারণ, স্থান, সময়, কেন, কিভাবে, কারা কারা জড়িত সমস্ত উল্লেখ করে অভিযোগপত্র তৈরি করে সংবাদ সম্মেলনে তা সরবরাহ করেন। তখন তারা সংবাদিকদের জানান, অচিরেই এ অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করা হবে। কিন্তু সে সংবাদ সম্মেলনের তিন মাস পর ৩ জুন সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওসমান পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দেয়ার পর তদন্তের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। র্যাবের তৈরিকরা অভিযোগপত্রটি আজো পর্যন্ত আদালতে পেশ করা হয় নাই।
সে সময় থেকে প্রতিমাসের ৮ তারিখ ত্বকী সহ সকল হত্যার বিচারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট নারায়ণগঞ্জ ও দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালন করে আসছে। #