ইফতার খাওয়া নিয়ে নাতিন জামাইয়ের মারধরে এক বৃদ্ধা নারীর মৃত্যু
বন্দর প্রতিবেদকঃ ইফতার খাওয়াকে কেন্দ্র করে পাষান্ড নাতিন জামাই হৃদয়ের বেদম মারধরের কারনে গুরুত্বর আহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে নূরুন নেসা বেগম নামে এক বৃদ্ধা নারীর। জরুরী সেবা ৯৯৯ এ খবর পেয়ে নুরুন নেসা (৭০) নামে এক বৃদ্ধা নারী মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বন্দর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) সকাল ৬টায় বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের দড়ি -সোনাকান্দাস্থ মালেক মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়ি থেকে ওই মৃতদেহটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়। মৃত্যুবরনকারি বৃদ্ধা নারী নুরুন নেসা উল্লেখিত এলাকার মৃত আব্দুল মান্নান মিয়ার স্ত্রী। মৃতের স্বজনরা গনমাধ্যম জানিয়েছে,
ইফতার খাওয়াকে কেন্দ্র করে পাষান্ড নাতিন জামাই হৃদয়ের বেদম মারধরের কারনে গুরুত্বর জমখ হয়ে মৃত্যুবরন করে নুরুন নেসা বেগম। এর আগে গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উল্লেখিত এলাকায় এ মারধরের ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মৃত বৃদ্ধা নারী স্বজনদের সূত্রে আরো জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার বিকেল ছলেমুন নেসা তার বড় বোন দড়িসোনাকান্দা এলাকার মৃত আব্দুল মান্নান মিয়া স্ত্রী নুরুন নেসা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে আসে। পরে বড় বোন নুরুন নেসা ছোট বোন ছলেমন নেসাকে ইফতার করে যেতে বলে।
ওই সময় ইফতার খাওয়া নিয়ে একই এলাকার আইয়ুব আলী মিয়ার ছেলে নাতিন জামাই হৃদয়ের সাথে নানী শ্বশুড়ী নুরুন নেসা বেগমের বাকবিতন্ড হয়। এক পর্যায়ে পাষান্ড নাতিন জামাই হৃদয় ক্ষিপ্ত হয়ে নানী শ্বাশুড়িকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম ভাবে পিটিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা আহতকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা প্রদান করে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে গত বুধবার রাতে পাষান্ড নাতিন জামাই হৃদয় আবারও উল্লেখিত নানী শ্বাশুড়ী হত্যার ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে ওই রাতে ভূক্তভোগী বৃদ্ধা নারী স্টোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। এ ব্যাপারে লাশ উদ্ধারকারি কর্মকর্তা বন্দর থানার এসআই মামুন গনমাধ্যমকে জানিয়েছে, জরুরী সেবার মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে জিডি মূলে লাশ উদ্ধার করে র্মগে প্রেরণ করি। ময়না তদন্তের রির্পোট হাতে পেলে মৃত্যুর কারন জানা যাবে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।#