ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১৩৩ মাস উপলক্ষে আলোক প্রজ্বালন অনুষ্ঠিত
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১৩৩ মাস উপলক্ষে আজ সন্ধ্যায় আলী আহাম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তন প্রঙ্গণে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচির আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি এড. জিয়াউল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, নিহত ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি, শিশু সংগঠক রথীন চক্রবর্তী, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব হালিম আজাদ, দৈনিক খবরের পাতার সম্পাদক এড. মাহাবুবুর রহমান মাসুম,বাসদ জেলা আহ্বায়ক নিখিল দাস, সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী,
ন্যাপ জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. আওলাদ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলন জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ ও সামাজিক সংগঠন সমমনার সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা। রফিউর রাব্বি বলেন, গত পনের বছরে সরকার বহু গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চ-আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে। প্রয়োজন মাফিক বিচার ব্যবস্থাকে পরিচালনা করেছে। দীর্ঘদিনে বিচারহীনতা ও কর্তৃত্তবাদী শাসন দেশকে আজ ভয়াবহ পর্যায়ে এনে দাঁড় করিয়েছে। বিচারব্যবস্থা, বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার, গণতন্ত্র সবকিছুই আজ প্রশ্নবিদ্ধ। মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা নাই। মৃত্যু হলে বিচার হয় না। দেশের সীমান্তও আজ অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। ঘাতক চিহ্নিত হলেও ১১ বছরে ত্বকী হত্যার বিচার হয় না। শাসকগোষ্ঠীর ছত্রছায়ায় অপরাধীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিচারহীনতাকে সরকার প্রতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। স্বাধীনতার পূর্বে ও বিচারহীনতার এমনি নজির ছিল না। জনগণকে নিরাপত্তা দেয়ার শপথ নিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করে, তারা আজ পদে পদে শপথ ভঙ্গ করে চলেছে, সংবিধান লঙ্ঘন করে চলেছে। তিনি ত্বকী সহ সাগর-রুনী, তনু ও নারায়ণগঞ্জের আশিক, চঞ্চন, বুলু, মিঠু সহ সকল হত্যার বিচার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরীর শায়েস্তা খাঁ রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। দুদিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বছরের ১২ নভেম্বর আজমেরী ওসমানের সহযোগী সুলতান শওকত ভ্রমর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে জানায়, আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ত্বকীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। ৫ মার্চ ২০১৪ তদন্তকারী সংস্থা র্যাব সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের নির্দেশে তাদেরই টর্চারসেলে ১১ জন মিলে ত্বকীকে হত্যা করেছে। অচিরেই তারা অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করবে। কিন্তু সে অভিযোগপত্র আজো পেশ করা হয় নাই। ত্বকী হত্যার পর থেকে বিচার শুরু ও চিহ্নিত আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতি মাসের ৮ তারিখ আলোক প্রজ্বালন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট। #