কাজ করার সময় ডকইয়ার্ডে জাহাজ ভাঙ্গা শ্রমিক নিহত
বন্দর প্রতিবেদকঃ বন্দরে জাহাজ ভাঙ্গার কাজ করার সময় অসাবধানতা বসত লোহার প্লেট মাথায় পরে গিয়ে রুবেল (৩৫) নামে এক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত শ্রমিক রুবেল নীলফামারি জেলার সৈয়দপুর থানার মুশুরডুলিয়াস্থ টেপাদাও থানার ফজলুল হকের ছেলে। গত শুক্রবার (১১মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় বন্দর থানার মাহামুদনগরস্থ মিশু ডকইয়ার্ডে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।শ্রমিক নিহতের ঘটনার সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে নিহত শ্রমিকের স্ত্রী সোহাগী বেগম বাদী হয়ে ওই দিন রাতে বিনা ময়না তদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি চেয়ে বন্দর থানায় লিখিত ভাবে আবেদন করে।
পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ঘটনার দিন রাতে মৃতদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। প্রত্যেক্ষদৃশিরা জানিয়েছে, নিহত শ্রমিক রুবেল প্রতিদিনের ন্যায় গত শুক্রবার বিকেলে বন্দর থানার মাহামুদনগর এলাকার মিশু মিয়ার মালিকানাধীন মিশু ডকইয়ার্ডে জাহাজ ভাঙ্গার কাজ করছিল। ওই সময় অসাবধানতা বসত হাঠাৎ একটি লোহার প্লেট ভাঙ্গারী শ্রমিক রুবেলের মাথায় পরে গেলে সে মারাত্মক ভাবে জখম হয়। পরে আহতকে উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে প্রেরন করলে পথে তার মৃত্যু হয়।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী আরো জানিয়েছে,
জাহাজ ভাঙ্গা শ্রমিক রুবেল নিহতের ঘটনার রাতে মাহামুদনগর এলাকার কতিপয় ব্যাক্তি জাহাঙ্গীর ও ডকইয়ার্ড মালিক মিশু মিয়াসহ উল্লেখিত এলাকার কতিপয় ব্যাক্তিদের মধ্যস্থতায় নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপুরন বাবদ নগদ ৩ লাখ টাকা প্রদান করে বলে আরো জানায়।এ ব্যাপারে বন্দর থানার উপ- পরিদর্শক মফিজুল ইসলাম জানান, দূর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলি। নিহতের পরিবার মামলা করতে অপারগতা প্রকাশ করে বিনা ময়না তদন্তে লাশ দাফন করার অনুমতি চেয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত ভাবে আবেদন করে। পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আবেদনের প্রেক্ষিতে রাতর নিহতের পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করে। #