শিরোনাম
ঈদ ছুটিতে বাবার বাড়িতে যেতে না দেওয়ায় স্বামীর গোপবাঙ্গ কাটলো স্ত্রী
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ পারিবারিক কলহের জেরে সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকার ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটেছে দ্বিতীয় স্ত্রী। শনিবার ২২ জুন বিলেকে হিরাঝিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় স্বামী সুমন মিয়াকে (৩০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে রেফার্ড করেন।
এ ঘটনার পরে অভিযুক্ত সুমন মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী নাজমা বেগমকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সুমন মিয়া নোয়াখালী জেলার কবিরহাট থানার উত্তর জগ্ধ নন্দ গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে। বর্তমানে সে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ভাড়ায় বসবাস করছেন ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে সুমন মিয়া নামে এক ব্যক্তির গোপনাঙ্গ কাটা অবস্থায় আমাদের বার্ন ইউনিটে আনা হলে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা শেষে ভর্তি দেওয়া হয়েছে তাকে। পরবর্তীতে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হবে। এছাড়া এ ঘটনার বিষয়ে ঢাকা মেডিকেলের দায়িত্বরত পুলিশকে জানানো হয়েছ বলেও জানিয়েছেন আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম।
আহত সুমন মিয়া জানান, সে সেনিটারি মিস্ত্রি। নাজমা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। সে একটি গার্মেন্টসে পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। নাজমা ঈদের ছুটিতে বাপের বাড়ি যাওয়ার জন্য জেদ ধরলে আমি তাকে বাধা দিয়ে বলি, বাপের বাড়ি যাওয়ার দরকার নেই, বাজার সদাই যা দরকার এনে দেই তুই রান্না কর। এরপর আজ সকালে নাস্তা খেয়ে ঘুম পেলে আমি একটু ঘুমিয়ে পড়ি। হঠাৎ ঘুমের মধ্যে ব্যথা অনুভব করায় জেগে দেখি আমার গোপনাঙ্গ দিয়ে রক্ত ঝরছে। পরে আমি জানতে পারি আমার দ্বিতীয় স্ত্রী নাজমা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আমার বাড়িওয়ালা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের আমার স্ত্রী নাজমা বেগমকে নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। নাজমা বেগমকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। #