জিমখানায় নাসির হত্যা | এখনো আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ শহরের ক্রাইমজোন হিসেবে পরিচিত জিমখানা মন্ডলপাড়া এলাকায় আবার মাদক কারবার ও ছিনতাইয়ের ভাগবাটোয়ারাসহ পুরানো হত্যাকান্ডের দ্বন্ধের জের ধরে নাসির (২২) নামের যুবক প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী ইমন চান ম্যাংগো ও আলমগংদের এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। যার ফলে কোনভাবেই আতংত কাটছেনা নিহতের পরিবারের। স্থানীয়রা জানান,নগরীর অন্যতম অপরাধ জগতের একটি স্থান হচ্ছে মন্ডলপাড়া এলাকা।
এখানে চুরি-ছিনতাই,মাদক বিক্রিসহ এমন কোন অপরাধ নেই যা হচ্ছেনা। আর এ সকল অপরাধের অন্যতম গুনধরের নাম হচ্ছে ইমন চান ম্যাংগো। এক সময়ে হরিজন সম্প্রদায়ে থাকা ম্যাংগো মুসলমান হয়ে যান পরিবারের সকল সদস্যদেরকে রেখে। ম্যাংগোর পিতা ৪ নং ডিআইটির মাদক বিক্রেতা সহিদ ডোম। তার বড়ভাই বিশ^ ডোম। আর বর্তমানে ৪নং ডিআইটি বিএনপি ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় চোলাই মদ ও ইয়াবা বিক্রি করছে সহিদ ডোমের ছোটভাই নয়ন ডোম। ইতিপুর্বে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায় ঈদ উদযাপন শেষে চাষাড়ায় বাস থেকে নেমে জনি নামে এক যুবক ছিনতাইকারীর কবলে পরে তার কাছে থাকা মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং ছুড়িকাঘাতে জনিকে হত্যা করে। সেই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম সাগর ও বিশাল নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে। জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তা অবগত করেন পুলিশ সুপার। এ বিশাল হচ্ছে ম্যাংগোর আপন চাচাতো ভাই। সেই ঘটনায় পুলিশ মোবাইল ট্যাগ করে ম্যাংগোর চাচা নগরীর অন্যতম আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী মিঠু চান ডোমকেও আটক করেছিলো।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মর্গের সামনে কান্নারত অবস্থায় বড় ভাই আল আমিন জানায়, নাসিরকে ম্যাংগো, আলমসহ কয়েকজন ফোন করে ডেকে আনে। আলমসহ অন্যান্য কয়েকজন এর আগে থ্রেট দিছিলো ‘তোরে মাইরা ফালামু’ কইয়া। গত মঙ্গলবার (২৫ জুন) শহরের মন্ডলপাড়াস্থ মা রেস্টুরেন্টে একসাথে খাবার খেয়ে বিল পরিশোধ করেই রাত সাড়ে ৭টায় এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে দ্রুত সটকে পরে সন্ত্রাসীরা। ছুরিকাঘত নাসির কে রাত ৮ টায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সাবিনা ইয়াসমিনক নাসিরকে মৃত ঘাষণা করেন। #