শিরোনাম
বেনজীরের ডুপ্লেক্স বাড়িতে জব্দ করা করা মালামাল তালিকা করতে অভিযান
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক ড.বেনজীর আহমেদের রূপগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্টের নামে ২৪ কাঠা জমির উপর বিলাস বহুল ডু-প্লেক্স ভবন সিলগালা করে নিয়ন্ত্রনে নেয়ার পর ভবটির ভিতরে অভিযান চালিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক। বুধবার দুপুর ১২ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত টানা ৫ ঘন্টা নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও দুদককের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। এর আগে গত ৬ জুলাই শনিবার অভিযান চালিয়ে বাড়িটি সিলগালা করা হয়। ভবনটির ভিতর থেকে অভিযান চালিয়ে দেশীয় প্রযুক্তির এসি, ফ্রিজ,
টিভিসহ রান্নাঘরের জিনিসপত্র একটি সাধারন পরিবারের যেমন থাকে তেমন কিছু সামগ্রী, বইপত্র, একটি ঝাড়বাতি একসেট সোফা দেখা গেছে বলে জানান নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
জানা যায়, সাবেক আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে গত ৩১ মার্চ থেকে বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই সব প্রতিবেদনে উঠে আসা অভিযোগগুলোর বিষয়ে দুদক আইন অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করে। এতে তার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ পায় তারা। এরপর থেকেই আলোচনায় আসেন পুলিশের সাবেক এই কর্মকর্তা।
বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত পর্যটনকেন্দ্র ও পূর্বাচলে রয়েছে ২৪ কাঠার মধ্যে সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ২০ কোটি টাকা।
এ ছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সম্পদের খোজ পায় দুদক। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে সেসব সম্পত্তি, ব্যাংক হিসেব, শেয়ারসহ অস্থাবর ও স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক শুরু করেন তারা।
দুদক দুই দফা সম্পত্তির হিসেবে নিয়ে তলব করলেও বেনজীর ও তার পরিবারের কেউ হাজির হয়নি দুদক কার্যালয়ে।
এর প্রেক্ষিতে ৬ জুলাই দুদকের নারায়ণগঞ্জের উপ-পরিচালক মাইনুল হাসানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যর একটি দল ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশশাসকের এডিসি রাজস্ব শফিকুর আলমের নেতৃত্ব একটি দল ভবনটি প্রবেশ গেইটে সম্পত্তি ক্রোকের একটি সাইবোর্ড সাটিয়ে দেন। পরে পুরো ভবনটি পরিদর্শন করে ভবনটির দরজা অত্যাধুনিক তালা দিয়ে বন্ধ রাখায় ভিতরে প্রবেশ করতে না পারায় বুধবার পুনরায় অভিযান চালায় দুদক ও জেলা প্রশাসক। তারা তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে প্রতিটি কক্ষে তল্লাশি চালান।
অভিযান শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( রাজস্ব) শফিকুর আলম জানান,
সাবেক আইজি বেনজির আহমেদ এর এই বাড়ির সকল ধরনের ফার্নিচার খুব সাধারন মানের। দেশীয় প্রযুক্তির এসি, ফ্রিজ, টিভিসহ রান্নাঘরের জিনিসপত্র একটি সাধারন পরিবারের যেমন থাকে তেমনি আছে। কিছু বইপত্র, একটি ঝাড়বাতি ও একসেট সোফা ছাড়া বিশেষ কিছু নেই এই বাড়ি।
এত দীর্ঘ সময় তল্লাশী ও গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশে বাধার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে এডিসি রাজস্ব বলেন, প্রত্যকটা জিনিস নির্ভুলভাবে তালিকা করার জন্যই এতো সময়ব্যয় ও সাংবাদিকদের ভেতরে ঢুকানো হয়নি।
এব্যাপারে দুদকের উপ পরিচালক মঈনুল হাসান বলেন, মামলার আদেশের প্রেক্ষিতে তারা এই অভিযান করেছেন। একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেডের নেতৃত্ব ভবনটির ভিতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন আসবাবপত্র পেয়েছেন। সেগুলোর তালিকা করা হয়েছে। রিপোর্ট আমরা হেড অফিসে পাঠাবো। পরবর্তীতে কোন নির্দেশনা আসলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে বলে জানান তিনি। #