শিরোনাম
গাজী টায়ারে অগ্নিকান্ডে গণশুনানীতে ৭৮ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করেছে তদন্ত কমিটি
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ারে লুটপাট ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় গঠিত ৮ সদস্য তদন্ত কমিটি এলাকাবাসি প্রত্যক্ষদর্শী ও নিখোঁজের স্বজনদের নিয়ে গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণশুনানী চলা সময় নিখোঁজদের সন্ধানের দাবিতে কারখানার পাশে ঢাকা – সিলেট মহাসড়ক কিছুক্ষন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে স্বজনরা। এসময় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনী ও বিজিবি তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে কারখানার বিতর নিয়ে আসলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ রবিবার রূপগঞ্জে গাজী টায়ার কারখানার প্রধান ফটকে সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত গণশুনানীতে ৭৮ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করে তদন্ত কমিটি ।
গণশুনানী শেষে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমান জানিয়েছেন, আজ গণশুনানিতে ৭৮ জনের স্বাক্ষাত গ্রহন করা হয়েছে। এতে ঘটনার দিনে প্রকৃতভাবে কি ঘটনা হয়েছিল। আগুন দিয়েছিল কারা। নিখোঁজ হয়েছিল করা এসময় বিষয় উঠে আসে। ঘটনার
সার্বিক বিষয় চুলচেলা বিশ্লেষণ যাচাই বাচাই করে একটি পূর্নাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার লক্ষ নিয়ে তদন্ত কমিটি কাজ করছে।
এসময় তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট হামিদুর রহমান সহ তদন্ত কমিটির ৮ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এসময় গণশুনানীতে এলাকাবাসি পত্যক্ষদর্শী ও নিখোঁজদের স্বজনরা অংশ নেয়। এসময় তদন্ত কমিটির কাছে প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসি ঘটনার বর্ণনা দেন।
উল্লেখ্য গত ২৫ আগস্ট বিকালে রূপগঞ্জের রূপসী এলাকায় গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাট শুরু হয়। রাত ১০ টা ৩৫ মিনিটে কারখানাটিতে আগুন দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের ১২ টি ইউনিট ২১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ওই ভবন থেকে ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। ঘটনার পরদিন আগের ঘটনায় ১৭৫ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে স্বজনরা দাবি করে। তবে ১৩৫ জনের একটি নিখোজ তালিকা উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা করেছিল। #