শিরোনাম
আসামীর স্বীকারোক্তিতে ৩ জন গ্রেফতার / ত্বকী হত্যার ৩ আসামী গ্রেফতার। প্রত্যেকের ৬ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে আসা তিন আসামীকে ৬ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। সোমবার ও মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের পৃথক দুটি আদালতে তিন আসামীর রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামীরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া এলাকার আবু হোসেনের ছেলে শাফায়েত হোসেন শাওন, শহরের কালিবাজার এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মামুন মিয়া ও রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কাজল হাওলাদার।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হায়দার আলীর আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১১ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহাবুদ্দিন গ্রেপ্তার আসামী কাজল হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাতদিন করে রিমান্ডের আবেদন জানান। আদালত শুনানী শেষে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত সোমবার ত্বকী হত্যা মামলায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দীতে আসামী মামুন মিয়া ও শাফায়েত হোসেন শাওনকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসুর রহমানের আদালতে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে শুনানী শেষে আদালত ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।তিন আসামীর রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, এর আগে ত্বকী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে আসা তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। তাদের তিন জনকে পৃথক দুটি আদালতে ৭দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানালে শুনানী শেষে আদালত ৬ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরের শায়েস্তা খাঁ রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। দুদিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বছরের ১২ নভেম্বর আজমেরী ওসমানের সহযোগী সুলতান শওকত ভ্রমর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে জানায়, আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ত্বকীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। ৫ মার্চ ২০১৪ তদন্তকারী সংস্থা র্যাব সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের নির্দেশে তাদেরই টর্চারসেলে ১১ জন মিলে ত্বকীকে হত্যা করেছে। অচিরেই তারা অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করবে। কিন্তু সে অভিযোগপত্র আজো আদালতে পেশ করা হয়নি। #





