শিরোনাম
হত্যাকান্ড / মাদক বিক্রির টাকা ভাগভাটোয়ারা নিয়ে জিমখানায় যুবক হত্যা


নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ নগরীর জিমখানা সিটি পার্কের দক্ষিন গেইট বটতলায় ছুরিকাঘাতে শাহাদাত নিহতের ঘটনায় চার জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামী করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতেই অভিযান চালিয়ে দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত শাহাদাতের বোন কুলসুমা বেগম বাদি হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামী করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলায় আসামী করা হয়েছে
১. মাহিন আহম্মেদ ভেলকি (২৪), ২. নাঈম আহমেদ (২১), ৩.প্যাকেজ ফাহিম (২৪), ৪. সাঈম (২৪) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে।
পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামী মাহিন আহম্মেদ ভেলকি ও তার ছোট ভাই ২ নাম্বার আসামী নাঈম আহমেদকে গ্রেফতার করেছে। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক নাসির আহম্মেদ জানিয়েছেন, মামলার প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নিহত শাহাদাত জিমখানা রোড, ৩নং গলি স্বপন মিয়ার বাড়ির ভাড়িটিয়া মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। শাহাদাত নিজেও একজন মাদকসেবি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে। এলাকায় মাদক বিক্রয়ের টাকা ও চোরাই লোহা বিক্রয়ের টাকা ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে মামলার প্রধান আসামী দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার সোহেলের ছেলে মাহিন আহম্মেদ ভেলকি, নাঈম আহমেদ,জল্লারপাড় মসজিদ গলি এলাকার প্যাকেজ ফাহিম, একই এলাকার সাঈম সহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনের সাথে বিরোধের চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন ১৪ মে রাত পৌনে ১১টার সময় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার জিমখানা রাসেল পার্কের দক্ষিণ পাশে নিরাপত্তা গেইট সংলগ্ন বট গাছ তলায় পাকা রাস্তায় শাহাদাতের সাথে হত্যাকারীদের সাথে কথা কাটা-কাটি হয়।

একপর্যায়ে হত্যাকারী ভেলকির নের্তৃত্বে অন্যান্য হত্যাকারীরা একত্রিত হয়ে ভিকটিম শাহাদাতকে সুইচ গিয়ার (ছোড়া) দিয়ে বুকের বাম পাশে ৩টি, পিঠের নীচের ডান অংশে কোমড়ের উপর ০১টি মোট ৪টি অস্ত্রের আঘাত সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘার করে হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পথচারীরা মূমূর্ষ অবস্থায় আহত শাহাদাতকে ঘটনাস্থল হতে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে মৃত দেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে প্রেরন করে।
এ ঘটনায় নিহতের বোন কুলছুমা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলার দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টায় পুলিশের অভিযান চলছে। #
