চাঁদা দাবি / বন্দরে যুবদল নেতা মিনহাজ মিঠুগংয়ের চাঁদা দাবি সংবাদে তোলপাড়


বন্দর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নব্য নেতা মিনহাজ মিঠু কর্তৃক ইটবালু ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে নগদ ১২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদে বন্দরে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ দিকে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর অভিযুক্ত চাঁদাবাজ মিনহাজ মিঠু নিজেকে রক্ষা করার লক্ষে চাঁদাবাজি বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করার জন্য অভিযোগের বাদীসহ বিভিন্ন নেতাদের কাছে ধন্যা দিতে দেখা গেছে।
অভিযোগের বাদী হাজী রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন অভিযোগটি প্রত্যাহারের জন্য মিনহাজ মিঠুগংরা আমাকে নানা ভাবে হুমকি দামকি অব্যহত রেখেছে। মিনহাজ মিঠুগং এর অব্যহত হুমকি দামকি কারনে আমিসহ আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
এলাকাবাসী তথ্য সূত্রে জানা গেছে, জানিয়েছে, মিনাজ মিঠু ও তার পরিবার দীর্ঘ দিন ধরে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি ঘেষা রাজনীতি করে আসছিল। গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পট পরিবর্তন পর থেকে মিনহাজ মিঠু কতিপয় মহানগর বিএনপি এক নেতার হাত ধরে মহানগর যুবদলের রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ করে। পরে তিনি রাতারাতি নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল নেতা বনে যায় । খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, মিনহাজ মিঠু নাম ভাঙ্গিয়ে তার ভাই বাসেদ ও রাসেল এলাকায় অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে।
উল্লেখ্য , হাজী রিয়াজুল ইসলাম তিনি সাবদি বাজারের উত্তর পাশে ‘মেসার্স আর কে ট্রেডার্স’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছেন। অভিযুক্ত দীঘলদী এলাকার মৃত রহমত উল্লার ছেলে মিনহাজ মিঠু গত দুই মাস ধরে তার কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা দাবি করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতা গত ১১ জুন (শুক্রবার) দুপুর ১২টায় মিনহাজ মিঠুসহ আরও ৪-৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানে অনধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে। এ সময় ধারালো সুইচ গিয়ারের ভয় দেখিয়ে তারা ১২ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে নেয়। ওই সময় উল্লেখিত চাঁদাবাজরা জানায় “এখানে ইট-বালুর ব্যবসা করতে হলে চাঁদা দিতে হবে। চাঁদা না দিলে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ওসি বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#