সংবাদ সম্মেলন / না.গঞ্জ আইনজীবী সমিতিকে শাখাওয়াত ধ্বংস করে দিচ্ছে সংবাদ সম্মেলন


নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ শাখাওয়াত হোসেন খান আপনি নারায়ণগঞ্জের লোক না।এরপরও আপনাকে আমরা আইনজীবীরা ভোট দিয়ে নেতা বানিয়েছি।আপনাকে আইনজীবী সমিতি অনেক কিছু দিয়েছে।
সেই শাখাওয়াত বার ( আইনজীবী সমিতি) কে ধ্বংস করে দিচ্ছে।আপনি শাখাওয়াত আমাদের মারলেন, এটা মেনে নেয়া যায় না।আমরা আর ছাড় দিবো না। নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি (বার)’ র বার্ষিক সাধারণ সভার বিভিন্ন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আদালত ভবন সংলগ্ন খাপুরে অবস্হিত ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি কার্যালয়ে গতকাল ৭ আগস্ট বিকেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ মোহাম্মদ গালিব ওই কথা বলেন। সংবাদ সন্মেলনে বিএনপির বিদ্রোহী আইনজীবীদের মধ্যে এড:রেজাউল করিম রেজা,এড:কামরুজ্জামান খোকা,এড:শহীদ সারোয়ার, এড:আনিসুর রহমান মোল্লা,এড: শেখ মোহাম্মদ গোলাম রসুল প্রমুখ উপস্হিত ছিলেন।সংবাদ সম্মেলনে শেখ মোহাম্মদ গালিব আইনজীনীদের টাকা তসরূপ করার অভিযোগ করে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতিতে শাখাওয়াত হোসেন খান অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক হয়ে বসে আছেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে ৩০ হাজার,সাধারণ সম্পাদক পদে ২৫ হাজার টাকা ও অন পদেও মনোনয়ণপত্র বাড়তি অর্থে ক্রয়ের রীতি শুরু করে।কেন, এক টাকার কাগজটা এতো উচ্চ মূল্য দিয়ে কার স্বার্থে কিনতে হবে।ওই নির্বাচনে আউয়াল মার্কা নির্বাচন কমিশন ছিলো।বেনজীর আহমদ ও ফাতেমা মাসুূদ এবং মন্জুরুল হক খান ও আজিজুর রহমান মোল্লা এবং মহসীন গাজী নির্বাচন কমিশনে ছিলো। আজকের বার্ষিক সাধারণ সভায় আমরা ওই আউয়াল মার্কা নির্বাচন কমিশনের সবাইকে আগামী নির্বাচনে না রাখার জন্য দাবী তুলি।কিন্তু তাদের চারজনকে বাদ দিলেও আজিজুর রহমান মোল্লাকে নতুন কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করে। নির্বাচনে এটা কারচুপি করার প্রয়াস।তাকে নির্বাচন কমিশনে রাখলে কোন ভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।আমারা আজিজুর রহমান মোল্লাকে অবিলম্বে বাদ দেয়ার দাবী জানাচ্ছি।
শেখ মোহাম্মদ গালিব বলেন, নারায়ণগঞ্জ বারে ৫ আগস্টের পর সপ্তাহে সপ্তাহে অনুষ্ঠান করি।একটি অনুষ্ঠানে সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিনকে আমন্ত্রন জানাই।সেখানে শাখাওয়াত হোসেন খানরা বাধা দেয়।আরেক অনুষ্ঠানে জাসাস কেন্দ্রীয় যুগ্ন আহবায়ক আনিসুল ইসলাম সানি ভাইকে আমন্ত্রণ করি।সেখানেও বাধা দেয়া হয়।তিন বারের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম সাহেবকে একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন করা হয়।তিনি সংসদ সদস্য ছাড়াও আইনজীবী।তাকে যথাযথ সন্মান দেয়া হয়নি।
এড. রেজাউল করিম রেজা বলেন,আইনজীবী সমিতির আগামী নির্বাচন কমিশনে মাহবুবুর রহমান মাসুম ও নবী হোসেন এবং আব্দুল বারী ভূইয়াসহ পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করি।তারা শুধু বারী ভূইয়াকে রাখে। #