একই দিনে ৩ হত্যাকান্ড।। বন্দরে গলাকেটে হত্যা, নিখোঁজ চালকের মরদেহ উদ্ধার, রূপগঞ্জে ছুরিকাঘাতে নিহত ১
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নিখোঁজের তিনদিন পর ভ্যান চালক মাসুমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সকালে উপজেলার গণপাড়া এলাকায় একটি ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। সে খুলনা জেলার সিকান্দার মিয়া ছেলে ও বন্দর আনোয়ার মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।পরিবারের অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে তার সৎ ভাই আসলামের সাথে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাতে বাসা থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি। এবিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়। আজ সকালেডো বায় তার লাশ দেখে সনাক্ত করা হয়।এদিকে,নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মা’কে গলাকেটে হত্যা পর মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে সজীব পলাতক রয়েছে। সকালে মুছাপুর ইউনিয়নের জহুরপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। নিহত আয়েশা বেগম ওই এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী। নিহতের স্বজনরা জানান, সজীব দীর্ঘদিন মানসিক ভারসাম্যহীন তাকে কয়েক বার চিকিৎসা দেয়া হয়। রাতে তাদের বসতঘরে খাবার খেয়ে মা-ছেলেকে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরে কোন সময়ে মাকে ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করে হত্যা করে পর সে পালিয়ে যায়।বন্দর থানার পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, নিহত দুইজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আয়েশা বেগম হত্যায় ধারণা করা হচ্ছে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেই হত্যাকান্ডটি ঘটাতে পারে এবং ভ্যান চালক হত্যার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।অপরদিকে,নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে রাশেদ নামে এক তেল ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। রাতে উপজেলার আধুরিয়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় এঘটনা ঘটে। সে ভোলা জেলার ধলিগৌর নগর এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।জাানা যায়, আধুরীয়া স্ট্যান্ডের পাশেই তেলের ব্যবসা করে সে। রাতে একদল ছিনতাইকারী তার দোকানে এসে টাকা চাইলে তা দিতে অস্বীকার করায় ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ডিকেএমসি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়ার ঘটনার নিশ্চিত করে জানান, রূপগঞ্জ থেকে রাশেদ নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাত অবস্থায় ঢামেকে নিয়ে আসে। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। নিহতের লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।#