প্রশাসনের নতি / অন্যায্য বাস ভাড়া বৃদ্ধি প্রত্যাহার করতে হবে – তরিকুল সুজন


নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন বলেন, পরিবহন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে গত ১ যুগের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছি। গত আওয়ামী শাসনামলে স্থানীয় ওসমান পরিবার পরিবহন খাত দখল করে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করতো। তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে পরিবহন মালিকরাসহ সাধারণ যাত্রীরা জিম্মি ছিল। বাস ভাড়া কমানোর দাবিতে সেসময় আন্দোলন করে বহুবার আমিসহ আমাদের নেতা-কর্মীরা হামলার শিকার হয়েছিলাম। সেই হামলা এবং ওসমান বাহিনীকে মোকাবিলা করে আমরা যৌক্তিক বাস ভাড়া নির্ধারণ করতে সক্ষম হয়েছিলাম।
২১ আগস্ট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ওসমান পরিবার নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে গেলে পরিবহন খাত মাফিয়া এবং সিন্ডিকেট মুক্ত হয়। তার প্রেক্ষিতে নতুন করে বাস ভাড়া পুনঃনির্ধারন করা এবং ঢাকা নারায়ণগঞ্জ রুটের রাস ভাড়া ৪৫ টাকা করার দাবিতে আমরা প্রায় মাসব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি করলে নারায়ণগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসক সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাস ভাড়া ৫০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দেন। নারায়ণগঞ্জের পরিস্থিতি বিবেচনা নিয়ে আমরা জেলা প্রশাসকের প্রস্তাব মেনে নেই।
গণঅভ্যুত্থান পরর্বতীতে নতুন করে বাস ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কোন ভাবেই যৌক্তিক নয়। বাস মালিকদের অন্যায্য দাবির প্রতি প্রশসনের নতি স্বীকার এবং যাত্রী সাধারণের স্বার্থ উপেক্ষিত হয়েছে বলে আমি মনে করি। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করবে। শহরে যানজট, চাঁদাবাজি, দখলসহ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারায় নগরবাসীর মধ্য অসন্তোষ রয়েছে। এই বাস ভাড়া বৃদ্ধি প্রশাসনের প্রতি মানুষের অনাস্থা বৃদ্ধি করবে। এবং জেলা প্রশাসকের ইতিবাচক কাজ গুরুত্ব হারাবে বলে আমি আশঙ্কা করি।
জেলা প্রশাসকের প্রতি আহ্বান জানাই, বাস মালিকদের দাবির প্রেক্ষিতে কোন ধরনের সময় না নিয়ে, যথাযথ পর্যালোচনা ছাড়া ৫ টাকা বৃদ্ধি কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না এবং নগরবাসীসহ যাত্রী সাধারণের অসন্তোষ বিবেচনায় নিয়ে বর্ধিত বাস ভাড়া প্রত্যাহার করুন। #