নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী নেতা ও ক্রীড়া সংগঠক মাসুদুজ্জামান মাসুদ বিএনপিতে যোগদান করায় নির্বাচনে প্রার্থীতার হিসেব নিকেশ অনেকটা স্পষ্ট হয়েছে।

মাসুদুজ্জামান মাসুদ এ সময়ে বিএনপিতে যোগদানই ইঙ্গিত করে নারায়ণগঞ্জ – ৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মাঝে মাসুদুজ্জামান মাসুদ ই এগিয়ে আছে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত জনগনের প্রত্যাশা অনুসারে একজন সৎ যোগ্য মানবসেবক জনদরদী  প্রার্থীই এগিয়ে থাকবে। সে হিসেব অনুযায়ী বর্তমান রাজনৈতিক পেক্ষাপটে মনোনয়ন প্রত্যাশী মাসুদুজ্জামান মাসুদের গ্রহনযোগ্যতা অনেক বেশী।

মাঠপর্যায়ে মানবসেবার কাজে মাসুদ প্রতিটি পাড়া মহল্লায় ইউনিয়ন ছুটে বেড়াচ্ছেন।  মানুষের সেবা উন্নয়ণ করা সহ  বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তাবনয়ে এর বার্তা পৌচে দিতে ৫ আসনের ভোটারদের দারে চষে বেড়াচ্ছেন মাসুদুজ্জামান মাসুদ।

এসব দিক বিবেচনা করে আলোচনায় উঠে এসেছে এবার ৫ আসনে মাসুদুজ্জামান মাসুদ কে মনোনয়ন দিবেন বিএনপি হাই কামান্ড।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

গত ঈদুল আযহার পর ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিএনপি, জামায়াত, হেফাজতে ইসলাম, এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলনের পাশাপাশি সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ১৫ হাজার মানুষ অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং তাদের জন্য আয়োজন করা হয় মধ্যাহ্নভোজ। রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠান মডেল ডি ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তিনি শুধু সফলই নন, বরং বহু মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে সামাজিক দায়িত্বও পালন করে চলেছেন। আন্দোলনের পর ব্যবসায়ী সমাজে যে ভাঙন সৃষ্টি হয়, সেই সঙ্কটে চেম্বার অব কমার্সের নেতৃত্ব নিয়ে সকল ব্যবসায়ীকে ঐক্যবদ্ধ করেন মাসুদ। বহু বছর ধরে নির্দিষ্ট পরিবারগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকা সংগঠনটি পুনর্গঠন করে তিনি নেতৃত্ব দেন। গণতান্ত্রিকভাবে দ্রুত সময়ে চেম্বারের নির্বাচন আয়োজন করে কর্মক্ষম ও জনপ্রিয় নতুন মুখকে নেতৃত্বে আনেন। ক্রীড়াঙ্গনেও মাসুদের বড় পরিচয় রয়েছে। তিনি ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পরিচালক হিসেবে দেশের ক্রীড়া জগতে সক্রিয়। স্থানীয় পর্যায়ে বহু টুর্নামেন্টের আয়োজন, খেলোয়াড়দের আর্থিক সহায়তা এবং ক্রীড়া অবকাঠামোর উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। একাধিক স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার পরিচালনা পর্ষদের সাথে সম্পৃক্ত থেকে অসহায় শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা ও শিক্ষা উপকরণ পৌঁছে দিয়েছেন। শহরের বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার সহায়তায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছে।

তিনি বলেন, “আমি মেইড ইন নারায়ণগঞ্জ। বাইরের কোনো হাওলাতি নেতার প্রয়োজন নেই। যাদের শিকড় এই মাটিতে, মৃত্যুর পর যারা এখানেই শায়িত হবেন, তারাই নারায়ণগঞ্জের নেতৃত্ব দেবে। আমি এখনও আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করিনি। ভাবছি, আলোচনা করছি। আর এতেই যদি কারও ঘুম হারাম হয়, তাহলে প্রচারণায় নামলে কী হবে ভেবে দেখুন।” তার এই মন্তব্যে দৃঢ়তা, সাহস এবং রাজনৈতিক উপলব্ধির প্রতিফলন ঘটেছে। তারেক রহমান ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে মাসুদ বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে একটি নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ গঠনে ঐকমত্য হয়েছে। এই আলোচনা দেশের গণতন্ত্র ও ভবিষ্যতের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।”

বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, মাসুদ রাজনীতিতে এক ভরসার নাম। তিনি দাতা ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন, এমনটাই বিশ্বাস সাধারণ ভোটারদেরও। তিনি কোনো গ্রুপিংয়ে যান না, দলীয় কোন্দলেও জড়ান না। একজন গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হিসেবে বিএনপি এবং তৃণমূল কর্মীরা তাকেই চাইছেন। নারায়ণগঞ্জের মানুষ চায় চাঁদাবাজি, মাদক, সন্ত্রাসমুক্ত একটি শহর। সেই পরিবর্তনের নেতৃত্বে মাসুদুজ্জামান মাসুদকে সামনে আনতে শুরু হয়েছে গণজোয়ার। মানুষ বলছে, “আমরা মুখ চাই না, কাজ চাই। মাসুদ কাজ করে দেখিয়েছেন, তাই তাকেই আমাদের দরকার।” সদর-বন্দরে মডেল মাসুদের গণজোয়ার এখন আর কোনো স্লোগান নয়, এটি একটি চলমান বাস্তবতা। তার জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা এবং বিগত দিনের অবদান প্রমাণ করছে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে নতুন নেতৃত্বের চাওয়া মানেই মডেল মাসুদ। হয়তো নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের দলের নেতা-কর্মী আর সাধারণ ভোটারদের বাস্তবিক চাওয়া আর অবস্থা বিবেচনায় কেন্দ্রীয় বিএনপি – আগামীর ৫ আসনের মনোনয়ন মাসুদুজ্জামান মাসুদকেই দিবে এমনটাই ভাবছে এই এলাকার জনগণ। #