মিছিল / ১৩ নভেম্বর গণহত্যার রায়ে লকডাউন আহ্বানের বিরুদ্ধে টিপু’র বিশাল মিছিল
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ ১৩ নভেম্বরের গণহত্যার রায়ের প্রতিবাদে লকডাউন আহ্বানের বিরুদ্ধে টিপু’র নেতৃত্বে বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ নভেম্বর সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আসা মানবতাবিরোধী গণহত্যার রায় কে কেন্দ্র করে ১৩ নভেম্বর ডাকা লকডাউনের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট মো. আবু আল–ইউসুফ খান (টিপু) এর নেতৃত্বে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন অলি–গলি ও প্রধান সড়কসমূহ অতিক্রম করে।

মিছিলে শত শত নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন এবং তারা সরকারের স্বৈরাচারী নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ-স্লোগান দেন। মিছিলের সময় নেতাকর্মীরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আবেদন জানান। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা সরকারের বিরুদ্ধে আচরণগত বৈষম্য ও স্বৈরশাসনের অভিযোগ তুলে ধরেন এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি রোধে প্রশাসনের তৎপরতা ও বিচক্ষণতার প্রতি আহ্বান জানান।
মিছিল শেষে বক্তব্যে এডভোকেট টিপু বলেন, ৫ আগষ্টের পর থেকে দেশজুড়ে ছাত্র-মাত্রিক আন্দোলন ও জনগণের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে শঙ্কাসূচক অবস্থা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনুপস্থিতিতে পার্টির কিছু নেতৃত্ব-সহায়কেরা বিভ্রান্তিপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এখন তারা জনমত ঘোরানোর চেষ্টা করে নানা জায়গায় ছোট ছোট মিছিল ও অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। আমরা এ ধরনের ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই বরদাস্ত করব না।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী সংগঠন তথা তাদের দোসররা ১৩ নভেম্বরকে কেন্দ্র করে লকডাউনের ডাক দিয়েছেন আমরা সেটিকে প্রতিহত করব। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি যে কোন মূল্যে শান্তিপূর্ণ ও সংগঠিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। প্রতিটি পাড়া-মহল্লা ও ওয়ার্ডে আমাদের নেতাকর্মীরা পাহারা দেবেন এবং রাজপথে থেকে সরকারের স্বৈরাচারী নীতি প্রতিরোধ অব্যাহত রাখবে। বক্তব্যে তিনি প্রশাসনকে অনুরোধ জানান যে, সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অগ্নিসংযোগ সহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আওয়ামী লীগের যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদের দায় দায়িত্বসহ তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। জনস্বার্থে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসনকে দৃঢ় ও ন্যায়সংগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, তিনি বলেন। মিছিলে নগর ও অঙ্গসংগঠনের শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে এবং অংশগ্রহণকারীরা ঘোষনা করেছেন যে, রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত তারা পাহারা ও প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন। #



