শিরোনাম
অচিরেই ফতুল্লা থানা যুবলীগের সম্মেলন | পদ পেতে একাধিক নেতার দৌড়ঝাঁপ !
ফতুল্লা প্রতিবেদকঃ আর মাত্র ১৪-মাস বাকি জাতীয় সাংসদ নির্বাচনের। নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতায় থাকা দলগুলো সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিসহ দল গোছানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। জেলায় জেলায় সম্মেলনের মাধ্যমে দীর্ঘদীন ধরে থাকা মেয়াদর্ত্তীন কমিটিগুলো বিলুপ্তি ঘোষনার মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব তুলে দিচ্ছেন। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে নড়েচড়ে বসেছে ফতুল্লার যুবলীগ নেতৃবৃন্দ। যে কোন সময় সম্মেলনের দিনক্ষন নির্ধারনের মাধ্যমে ঘোষনা হতে পারে ফতুল্লা থানা যুবলীগের কমিটি। এ অবস্থায় থানা যুবলীগের পদ-পদবীতে আসীন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে পদ-পদবী প্রত্যাশী নেতৃবৃন্দ। তবে, দৌড়ঝাঁপ কিংবা তদ্বীরে নয় বরং মাঠের নেতৃবৃন্দকে মূল্যায়নের মাধ্যমে যুবলীগের নেতৃত্ব নির্ধারন করবেন এমনটাই প্রত্যাশা করছে তৃনমূল যুবলীগের নেতৃবৃন্দ। দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ যদি ত্যাগী নেতৃবৃন্দকে মূল্যায়নের মাধ্যমে কমিটি গঠন করেন তাহলে সামনের দিকে দল এগিয়ে যাবে অন্যথায় এর প্রভাব দ্বাদশ নির্বাচনে পড়বে বলে আশংকা করেছেন যুবলীগের রাজপথের কর্মী সমর্থকরা। এদিকে, ফতুল্লা থানা যুবলীগের কমিটিতে সভাপতি পদে আসতে আগ্রহ দেখা গেছে, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মোঃ শরীফুল হক এবং বর্তমান যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ফাইজুল ইসলামের নাম শোনা যাচ্ছে। অপরদিকে, সাধারন সম্পাদক পদে আসতে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলীর ছোট ভাই মীর ফয়সাল আলী, ফতুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কাজল চেীধুরী এবং কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মীর হোসেন মীরুর নাম শোনা গেলেও পদ-পদবী প্রত্যাশীরা কেউই দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে যাবেন না। দলকে সাংগঠনিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দ যে সিদ্ধান্ত নিবেন তাই তারা মেনে নিবেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মোঃ শরীফুল হক ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের জানান, নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে ফতুল্লার রাজনীতি অনেকটাই গুরুত্ব বহন করে। একটা সময় ফতুল্লা বিএনপির ঘাটিঁতে পরিনত ছিল। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের সঠিক দিক নির্দেশনায় আমরা ফতুল্লার মাটিকে আওয়ামীলীগের ঘাটিঁতে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছি। তাই ফতুল্লার রাজনীতি কার নেতৃত্বে পরিচালিত হলে দল সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী এবিষয়টি বিবেচনার মধ্যদিয়ে যোগ্য নেতৃত্বের হাতেই ফতুল্লার যুবলীগের কতৃত্ব তুলে দিবেন এমনটাই প্রত্যাশা রাখি। আর আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক শামীম ওসমান সিদ্ধান্ত যেমনটাই নিবেন তা মেনে নিতে প্রস্তুত বলে তিনি জানিয়েছেন।
ফতুল্লা থানা যুবলীগ নেতা মীর ফয়সাল আলী ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের জানান, আমাদের পরিবার দীর্ঘদীন ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার বড় ভাই জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী দীর্ঘদীন ফতুল্লায় যুবলীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তার নেতৃত্বে যুবলীগের রাজনীতি সাংগঠনিকভাবে কতটা শক্তিশালী তা সাংবাদিকরা ভাল করেই জানেন। আমি আমার বড় ভাইয়ের দেখানো দিক নির্দেশনা অনুসরন করেই যুবলীগের নেতৃত্বে আসতে চাই। সাংসদ শামীম ওসমানের আর্দশকে বুকে লালন এবং আওয়ামীলীগ নেতা মীর সোহেল আলীর রেখে যাওয়া যুবলীগের রাজনীতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে ফতুল্লার মাটি আওয়ামীলীগের ঘাঁিটতে রূপান্তরে সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাব। তবে, পদ-পদবী পাওয়ার মাধ্যমে তা করতে হবে এমনটা নয়। দলের হাই কমান্ড যেমন সিদ্ধান্ত নিবেন তা অনুসরন করার মাধ্যমেই আওয়ামীলীগের ঘাটিঁ হিসেবে ফতুল্লার যে সুনাম রয়েছে তা ধরে রাখতে আমি কাজ করব।
ফতুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কাজল চেীধুরী ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের বলেন, কলেজ জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করা। এর মধ্যে কত সময় দলের পিছনে পার হয়ে গেছে এ হিসেব কখনো মিলাতো পারবো কিনা জানি না! যুবক থেকে আজকে পর্যাপ্ত বয়সে রূপান্তরিত হয়েছি। আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন করতে গিয়ে বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে কি পরিমান নির্যাতিত হয়েছি এবং হামলা-মামলার স্বীকার হয়েছি এ বিষয়ে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ অবগত আছেন। দলকে ভালবেসে হাজারো নির্যাতনের পরেও দক্ষ রাজনীতিবীদ আমাদের অভিভাবক নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রানপুরুষ সাংসদ শামীম ওসমান এবং ফতুল্লার রাজনীতিতে রাজনীতির আর্দশ আমার নেতা ছাত্রলীগ সভাপতি আবু মোঃ শরীফুল হকের আশিষে পরিপূর্ণতা পেয়ে শত নির্যাতনের পরেও ক্ষমতার বাহিরে থাকাকালীন সময়ে ফতুল্লায় আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে গেছি। দলীয় স্বার্থে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়েছি। আর দল যখন ক্ষমতায় এ সময় নেতার কোন অভাব নেই। দলের দুঃসময়ে যাদের কল্পনাও করতে পারিনি তারাই আজকে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে। অথচ দলের দুঃসময়েও আমরা ছিলাম সু-সময়েও আমরা আছি এবং ভবিষত্যেও আমরা থাকব। তিনি আরো বলেন, আমরা হঠাৎ করেই আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে আসিনি বরং শত নির্যাতনের পরও মাঠের রাজনীতি থেকে আমরা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত তা গর্বের সাথে পরিচয় প্রদান করতে স্বাচ্ছ্যন্দ বোধ করি। তাই যুবলীগের মত গুরুত্বপূর্ণ পদে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ত্যাগীদের মূল্যায়নের মাধ্যমে গঠন করবেন এমনটাই প্রত্যাশা করি। সর্বোপরি, দক্ষ সংগঠকের দল আওয়ামীলীগ। দল যে সিদ্ধান্ত নিবেন সে মোতাবেকই আমরা রাজনীতিতে অগ্রসর হব। এবং দ্বাদশ নির্বাচনে আমাদের সাংসদ শামীম ওসমানকে পূনরায় নির্বাচিত করার মাধ্যমে মুজিব কন্যা ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা দেশরন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মাচিত্র বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাড়াবে এমনটাই প্রত্যাশা করি।
কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মীর হোসেন মীরু ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের বলেন, দলকে ভালবাসি বলেই আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি। স্বার্থের জন্য আমার রাজনীতি না। দলের দুঃসময়ে আমাদের অবস্থান ছিল রাজপথে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে একাধিকবার হামলা-মামলার স্বীকার হয়েছি। তবুও দলীয় স্বার্থের বাইরে অবস্থান নেইনি। বর্তমানে দল ক্ষমতায় থাকলেও ভাল নেই আমরা মাঠের নেতারা। সুবিধাভোগীরা দলে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে স্বার্থ হাছিল করা যাচ্ছে অথচ আমরা কোনঠাসাই রয়ে গেলাম। যাই হউক, শুনেছি ফতুল্লা থানা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আমি মাঠ পর্যায়ের রাজনীতি থেকে উঠে এসেছি। তাই আমাদের মত পরীক্ষীত নেতৃবৃন্দের হাতে যদি দল যুবলীগের দায়িত্ব বুজিয়ে দেন তাহলে ফতুল্লার মাটিতে যুবলীগের দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে ভবিষৎ যুবলীগের জন্য আর্দশ রাজনীতি হিসেবে দলকে প্রতিষ্ঠিত করে তুলা হবে বলে আশ্বস্থ করেন। তবুও দল যে সিদ্ধান্ত নিবেন সে সিদ্ধান্তই মেনে নিবেন বলে তিনি জানান। #