শিরোনাম
রাজউকের নির্দেশ বর্ধিতাংশ না ভেঙ্গে আবারো চালু করলো সুগন্ধা বেকারী
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ রেলওয়ের জায়গা দখল করে নগরীর আল্লামা ইকবাল রোডের প্রবেশ পথে সুগন্ধা বেকারির বর্ধিতাংশ তৈরী করা হয়। রাজউক এ বর্ধিতাংশ ভেঙ্গে দিতে এলে সুগন্ধা প্রতিশ্রæতি দেয় তারা নিজেরাই অবৈধ অংশটুকু ভেঙ্গে দিবে। কিন্তু রাজউকের অভিযানের পরে সতের দিন চলে গেলেও তারা অবৈধ স্থাপনা ভাঙ্গেনি। উল্টো ভেঙ্গে দেয়া শো-রুম সংস্কার করে দোকানদারি শুরু করেছে। গত ২০ নভেম্বর রাজউক এর নারায়ণগঞ্জ জোনাল অফিস নগরীর আল্লামা ইকবাল রোডে অভিযান চালায়। অন্যান্য স্থাপনার পাশাপাশি কলেজ রোডের বালুর মাঠ অংশ থেকে আল্লামা ইকবাল রোডে প্রবেশের মুখটি দুই পাশে দুই ব্যাক্তি দখল করে নেয়ায় এ মোড়ে প্রতিদিন যানজট তৈরী হচ্ছিলো। অভিযানের দিন রাজউক প্রবেশ মুখের দক্ষিন দিকে আব্দুল লতিফ মিয়ার ফার্মেসি ও নুরুল হকের মালিকানাধীন সুগন্ধা বেকারির একাংশ ভেঙ্গে দেন। দু’জন-ই বাকি অংশ নিজেরা সড়িয়ে দেবেন বলে রাজউকের কাছ থেকে এক সপ্তাহের সময় নেন।
বুধবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, আব্দুল লতিফ মিয়া তার দোকানের বেশিরভাগ অংশ সরিয়ে দিয়েছেন এর মধ্যেই। তার সীমানা দেয়ালের বাকি অংশ সরানোর কাজ চলছে। অন্যদিকে সুগন্ধার মালিক নুরুল হক রেলওয়ের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা তার শো-রুম সড়ানো তো দূরের কথা তিনি উল্টো এটি সংস্কার করে শো-রুম চালু করেছেন।
এ এলাকার বাসিন্দা নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজল বলেন, রাজউকের নীতিমালা অনুযায়ী মূলভবনের চারপাশেই জায়গা ছাড়েনি সুগন্ধা। জায়গা না ছেড়ে আরো এগিয়ে তারা রেলওয়ের জায়গা দখল করে নিয়েছে। এলাকাবাসির দাবীর মুখে ২০ নভেম্বর রাজউক সুগন্ধার দখল করা রেলওয়ের জায়গার একাংশ ভেঙ্গে দেয়। যদিও এলাকাবাসি পুরোটা ভেঙ্গে দেয়ার দাবী জানাচ্ছিলো তারপরেও রাজউক তা না ভেঙ্গে সাত দিনের মধ্যে নিজেরাই অবৈধ অংশ ভেঙ্গে দেবে – এমন প্রতিশ্রæতি আদায় করে চলে যায়। কিন্তু সুগন্ধা তা ভাঙ্গেনি। উল্টো তারা বেকারি চালু করেছে। এর আগেও রেলওয়ে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানেও তারা একইভাবে সময় নিয়ে পরে আর অবৈধ অংশ ভাঙ্গেনি। জনগনের চলাচলের স্বার্থে সুগন্ধার অবৈধ অংশ ও রেলওয়ের জায়গায় গড়ে তোলা স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়া প্রয়োজন। আর রাজউক কর্মকর্তারা সেদিন উচ্ছেদ না করে কেন চলে গেলেন সেটিও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে কথা বলতে সুগন্ধার মালিক নুরুল হকের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তার মুঠোফোনে এস এম এস পাঠানো হলেও তিনি এস এম এস’ এর কোনো উত্তর দেননি।
এ ব্যাপারে রাজউকের নারায়ণগঞ্জ জোনের পরিচালক ইয়া হিয়া খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রাজউকের নারায়ণগঞ্জ অংশে সকল অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে রাজউকের অভিযান চলমান রয়েছে। প্রয়োজনে আল্লামা ইবাল রোডে আমরা আবারো অভিযান চালাবো। #