শিরোনাম
সংবাদ প্রকাশে সেই সড়কের কাজ শুরু, সন্তুষ্টি প্রকাশ
বন্দর প্রতিবেদকঃ সংবাদ প্রকাশে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের আদমপুর এলাকার দুর্ভোগে পড়ে থাকা হাজারো জনগণ আশার আলোর দেখা মিলেছে। দীর্ঘ ১০ বছরেও শেষ না হওয়া রাস্তার কাজ চালো হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। ১৯ ডিসেম্বর সোমবার সকালে বন্দর উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার মির কায়ছার রেজবি এ কাজের পুনরায় চালু করেন। প্রসঙ্গ, নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের আদমপুর এলাকার মানুষের যোগাযোগের রাস্তা না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে এ এলাকার হাজারো জনগণ। এ এলাকায় বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হলেও অন্ধকারাচ্ছন্ন রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সড়ক উন্নয়ন না হওয়ায় এ অ লের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ মুখ থুবরে পড়েছে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন। উন্নয়ন বি ত অবহেলিত জনপথের নাম এখন আদমপুর এলাকা। একাধিক বার রাস্তার কাজ দরা হলেও ১০ বছরেও শেষ করতে পারেনি। উপজেলার তথ্য মতে একাধিক বার রাস্তার টেন্ডার হলেও তা ঠিকাদার পতিষ্ঠান কিছু কাজ করেই তা বন্ধ করে দেয়।
এদিকে নামমাত্র যে কাঁচা রাস্তাটি রয়েছে তারও কন্টেকটারদের মাটি কাটার কারনে বেহাল দশা। ২ কিলোমিটার এই সড়কে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। বৃষ্টি হলে এ রাস্তার মাঝপথে খালে পরিনত হলে নৌকা দিয়ে পার হতে হয় এবং কাঁদা পানিতে চলাচলকারী মানুষকে জনদুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এ কাঁচা রাস্তা সংস্কারের কোনো পদক্ষেপ না থাকায় নিয়মিত চরম ভোগান্তীতে পড়ছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ কাঁচা রাস্তা শুস্ক মৌসুমে ধূলাবালি আর বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বৃষ্টির ফোটা পড়ার পরেই কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। প্রচন্ড এ কাঁদায় চলতে গিয়ে অনেকেই পড়ে গিয়ে গন্তব্যে যাবার আগেই বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। শিক্ষার্থীরা সময় মতো স্কুল কলেজে যেতে পারে না। আমরা ইউপি চেয়ারম্যান এবং মেম্বারের কাছে আবেদন জানালেও রাস্তার কোনো উন্নয়ন হয়নি।
হাজী মোহাম্মদ আলী, আমির হোসেন, সেলিম মিয়াসহ এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন, কতো রাস্তাই তো ঠিক হয়, কিন্তু আমাদের এ রাস্তাটা পাকা হচ্ছে না কেন, বলতে পারেন? তারা আরো জানান, গ্রামের সন্তান সম্ভাবনা প্রসূতিদের সময়মতো গাড়ী না পাওয়ায় হাসপাতালে নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। বৃষ্টির ফোটা পড়ার পরেই কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে যায় যার ফলে মসজিদের মুসলিরাও ঠিকমত মসজিদে আসতে পারে না। এব্যপারে ৪ ৫ ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার বিউটি বেগম, ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার কামরুল হাছান জজ মিয়া, ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোকবুল হোসেন বলেন, এ রাস্তার ৮৭ লক্ষ টাকার টেন্ডার হয়েছে এবং কাজও দরেছিলো কিন্তু মোবারক হোসেন তার ছেলে প্রভাব খাটিয়ে এরাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয়। তাদের দাবি রাস্তা তাদের জমির উপরদিয়ে যাচ্ছে কিন্তু রাস্তা যে জায়গার উপর দিয়ে হচ্ছে তা সরকারি খাসজমি। #