শিরোনাম
শহীদ মিনার নিয়ে স্ট্যাটাস, কমেন্টকারীকে প্রাণনাশের হুমকি
বন্দর প্রতিবেদকঃ একুশ মানেই মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের গৌরব গাঁথার উদযাপন। একুশ মানেই ভাষা শহীদদের স্মরণ। তাদের রঙরাঙা শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধার ফুল। কিন্তু এবার শ্রদ্ধার ফুল পায়নি বন্দরের কবি নজরুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ বেদী। এখানে মানা হয়নি অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পালনের সরকারী নির্দেশনা। বরং ফেইসবুকে শহীদ মিনার অবজ্ঞার স্ট্যাটাস দেওয়ায় কবি নজরুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির রোষানলে পড়েছেন এক অভিভাবক। তাদের ইন্ধনে সন্ত্রাসীরা কমেন্টকারীকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, তারা অনুষ্ঠান করেছেন , প্রভাত ফেরী করেছেন । শহীদ বেদীতে ফুলও দিয়েছেন । কিন্তু বাচ্চারা সব ফুল নিয়ে গেছে।
এলাকাবাসী জানান, একুশের সকালে কিছু শিশুকে ফুল নিয়ে এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করতে দেখা গেছে। এ দিকে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে মুল গেইট তালাবদ্ধ। এ সময় বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষক- শিক্ষার্থীকে দেখা যায়নি। বিদ্যালয় ছিল সম্পূর্ণ ফাঁকা। শহীদ বেদী ছিল ধুলো মলিন ও শুকনো পাতায় ভরা। জনপ্রিয় এক জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিক সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় শহীদ মিনারের এ অবস্থা দেখে ছবি তুলে ফেইস বুকে স্ট্যাটাস দেন । স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ”বন্দরের কবি নজরুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। কিন্তু আজ ২১ শে ফেব্রুয়ারীর দিনেও সেখানে কোনো আয়োজন ছিলনা। আমাদের ক্ষমা করো হে ভাষা শহীদ”। এতে অনেকের মধ্যে জহিরুল ইসলাম শাওন নামে এক জাতীয় পার্টির নেতা ”কানার হাতে কুড়াল পড়লে যা হয় আরকি ” এ মন্তব্য করেন। এ মন্তব্যে তেলে বেগুণে জ্বলে উঠেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি তারেক আহাম্মদ। তারেক আহাম্মদ শাওনের কমেন্টের জবাবে তাকে কুত্তার বাচ্চা বলে গালি দিয়ে কমেন্ট করেন। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে তারেকের লেলিয়ে দেওয়া তার ছোট ভাই লিটু সহযোগী মাসুদ ও জিয়ার নেতৃত্বে ৭/৮ জনের একটি সন্ত্রাসী দল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম কুদরত এ খুদা জানান, বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজন ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।#