শিরোনাম
সেবা নিতে আসা মানুষের সাথে কনস্টেবলদের অসৌজন্য আচরন | লিখিত অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের খবর ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ সদর থানার পুলিশ সদস্য ফকরুলের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুই সাংবাদিকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন, ও লাঞ্চিত করার অভিযোগ করা হয়।
শুধু ফকরুল নয় থানায় পবেশ পথে কর্মরত সকল পুলিশ কন্সটেবল আগত জনসাধারনের সাথে খারাব অচরন করার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে একাধিক ব্যাক্তি সদর থানার ওসিকে এ বিষয়ে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেও কোন সুফল পায়নি। তবে ভোক্তভোগিদের অভিযোগ থানায় প্রবেশে দায়িত্ব পালনকারী কনস্টেবলদের এমন দাপট ও প্রভাব খাটিয়ে তিনি কি বুঝাতে চান।
থানায় সেবা নিতে আসা সাধারন জনগনের সাথে প্রতিনিয়তই ঘটছে এমন ঘটনা।
ভোক্তভোগিরদের অভিযোগ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনিচুর রহমানক এসব অভিযোগের বিষয়ে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেননি। শনিবার ( ২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় একটি অনলাইন নিউজ প্রোর্টাল “খবর নারায়ণগঞ্জ ডট কম” এর রিপোর্টার মোঃ সাজু হোসেন (২৭) তার এক সহকর্মী ফটো সাংবাদিককে সাথে নিয়ে সদর থানায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সদর থানায় প্রবেশ পথে দায়িত্ব পালনকরা পুলিশ কন্সটেবল ফকরুল ইসলাম এর নিকট অসৌজন্য মূলক আচরন সহ শারিরীক ভাবেও লাঞ্ছিত হন। এ ঘটনায় বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগের বিবরনে সাজু হোসেন জানান, ২৫ মার্চ শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তার সহকর্মী ফটো সাংবাদিক মশিউর রহমানকে সাথে নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য থানায় গেলে থানায় কর্তব্যরত পুলিশ কন্সটেবল ফখরুল ইসলাম বলেন, কার অনুমতি নিয়ে থানার ভিতরে ঢুকেছেন? তখন আমার সহকর্মী বলে আপনারা কথা বলতেছিলেন সেজন্য কার কাছে বলবো। তখন আমি বলি আমার এক লোক অভিযোগ করার জন্য থানায় আসবে দেখতে গেলাম তিনি এসছেন কিনা। এ সময় আমাকে ধমক দিয়ে বলেন আপনি কি করেন? তার প্রশ্নের জবাবে আমি তখন বলি আমি সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য এসেছি। এ কথা শুনে তিনি বলেন “পিকআপ নিয়া কথা বলছেন কেন” উত্তরে আমি বলি আপনি জিজ্ঞাসা করেছেন আমি সেটার উত্তর দিয়েছি। এখানে পিকাপ এর কি হলো।
এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে কন্সটেবল ফখরুল ইসলাম আমার সহকর্মীকে ধাক্কা দিয়ে থানা থেকে বের করে দেওয়ার সময় আমি জিজ্ঞাস করি আপনি একজন সাংবাদিককে থানা থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করছেন কেন? এ সময় পুলিশ কন্সটেবল ফখরুল ইসলাম আমার টি-সার্টের কলার ধরে টেনে হেচরে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে থানার লকাবের ভেতরে নিতে চায় এবং শরীরে হাত দিয়ে ধস্তা ধস্তি করে (সকল বিষয়াদি গুলি থানার সিসিটিভির ক্যামেরায় সংরক্ষিত রয়েছে)। আমি এ ধরনের অমানবিক কর্মকান্ডের সুষ্ঠ বিচার চাই।
অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় আসা ভূক্তভোগিরা জানায়, দীর্ঘদিন যাবত তারা অত্র থানায় সাধারন ডায়রী ও অভিযোগ করতে এসে ভেতরে প্রবেশ করতে পদে পদে বাধার সম্মক্ষিন হন থানায় কর্মরত পুলিশ কন্সটেবলদের দ্বারা। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করে এ অনিয়ম বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন ভোক্তভুগিরা।#