চাঞ্চল্যকর কাঞ্চন খুনের রহস্য উদঘাটন করছে পিবিআই | গ্রেফতার ৪
নিজাম উদ্দিন আহমেদ – রূপগঞ্জ প্রতিবেদকঃ নারায়ণঞ্জের রূপগঞ্জে রাখাল কাঞ্চন (৪০) খুনের মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ জেলা। হত্যায় জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে একজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার বরপা এলাকার ভুইয়া এগ্রো ফার্মে রাখাল কাঞ্চনকে (৪০) খুন করে তাকে ভুঁইয়া এগ্রো ফার্মের গরু রাখার শীটের পাশে ফেলে রেখে আসামিরা পালিয়ে যায়।
এ হত্যাকান্ড ঘটনোর ভিডিও দৃশ্য জব্দ করেছে পিবিআই। এ ঘটনায় জড়িত আসামীদেরকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ জেলার সাব-ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত চারজন হলেন- কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার একতা বাজারের মাশকরা এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মনির হোসেন (১৯), নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার বরপা এলাকার আঃ সাত্তারের ছেলে ইমরান খান (২৬), মোবারক আলীর ছেলে সুজন শেখ (৩৯) ও বরপা পূর্বপাড়া এলাকার মৃত আক্কাছ আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩৩)। পিবিআই জানিয়েছেন, নিহত রাখাল কাঞ্চন মিয়া উপজেলার বরপা এলাকার শফিকুল ইসলাম আপেলের ভুইয়া এগ্রো ফার্ম নামক গরুর খামারে কেয়ারটেকার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অবৈধ ড্রাগ পাউডার (হেরোইন) সংক্রান্ত বিরোধে আসামীরা রাখাল কাঞ্চন মিয়াকে চাকু দিয়ে তার গলা কেটে এবং তার পিঠে ৭-৮টি স্টেপ করে ও পেট কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
২০২২ সালের ১০ এপ্রিল বরপা এলাকার শফিকুল ইসলাম আপেলের ভুইয়া এগ্রো ফার্মের গরু রাখার শীটের পাশে রাখাল কাঞ্চন মিয়ার মরদেহ পাওয়া যায়। নিহত কাঞ্চন মিয়া ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার শহর আহম্মেদপুর এলাকার আব্দুল মোন্নাফের ছেলে। এ ঘটনায় তার ছোট ভাই বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, তথ্য প্রযুক্তি সিসিটিভির ফুটেজের মাধ্যমে মামলায় জড়িত আসামীদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। #