শিরোনাম
বন্দরে পশুর হাট না পেয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদাদাবি
বন্দর প্রতিবেদকঃ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বন্দরে ২৫নং ওয়ার্ডের উত্তর লক্ষনখোলা পশুর হাট বন্ধ করার জের ধরে ব্যবসায়ী বাড়িতে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিশৃঙ্খলাকারি মাজহারুল হক সাউদগং এর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ব্যবসায়ী ফরিদ আহাম্মেদ বাদী হয়ে রোববার (২৬ জুন) দুপুরে চাঁদাবাজ মাজাহারুল হক সাউদসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর আগে গত বুধবার (২২ জুন) বিকেল ৩টায় বন্দর থানার ২৫ নং ওয়ার্ডের উত্তর লক্ষনখোলাস্থ উল্লেখিত ব্যবসায়ী বাড়িতে এ চাঁদা দাবির ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বন্দরে ২৫নং ওয়ার্ডের খেয়াঘাট সংলগ্ন পশুর হাটটি সিটি কর্পোরশেন কর্তৃক ইজারা দেওয়া হয়।
উক্ত হাটে আল মামুন নামে এক গনমাধ্যম কর্মী ২৫ লাখ টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হয়। উল্লেখিত পশুর হাট নিয়ে বন্দর থানার উত্তর লক্ষনখোলা এলাকার মৃত ইমান আলী সাউদ মিয়ার দুই ছেলে মাজহারুল হক সাউদ ও নাজমুল হক সাউদ একই এলাকার নুরুল হক সাউদ মিয়ার ছেলে মাসুদ সাউদ ও মাজহারুল হক সাউদের সন্ত্রাসী দুই ছেলে শাকিল সাউদ ও তানভীর সাউদ একই এলাকার সাদেকুর সাউদের ছেলে রাকিব সাউদ ও একই এলাকার মৃত সানোয়ার মিয়ার ছেলে বাদলগংদের সাথে পশুর হাট ইজারাদার আল মামুনের সাথে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। উল্লেখিতরা পশুর হাট ইজারা না পেয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা করলে বন্দর উপজেলা প্রশাসন দ্রুত উল্লেখিত পশুর হাটটি বন্ধ করে দেয়।
এর ধারাবাহিকতায় গত বুধবার (২২ জুন) বিকেলে পশুর হাট বন্ধ ও পশুর হাটের ইজারাদারের সাথে সম্পৃক্ততা থাকার সন্দেহে মাজহারুল হক সাউদসহ উল্লেখিতরা ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যবসায়ী ফরিদ আহাম্মেদের বাস ভবনে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এক পর্যায়ে মাজহারুল হক সাউদের র্নিদেশে তার সন্ত্রাসী ভাই ও দুই ছেলেসহ উল্লেখিত বিশৃঙ্খলাকারিরা ২০ লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে। এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। #