শিরোনাম
ডিজিটাল নিরাপত্তা একইরকম আইন না করার দাবি বাসদের
নায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জে বাসদের মানববন্ধন ও মিছিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে একই রকম নিবর্তনমূলক সাইবার নিরাপত্তা আইন করার পরিকল্পনা বন্ধ কর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তনের নামে একই রকম নিবর্তনমূলক সাইবার সিকিউরিটি আইন করার পরিকল্পনা বন্ধের দাবিতে আজ বিকাল ৪ টায় বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে মানববন্ধন ও শহরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বাসদের নারায়ণগঞ্জ জেলার আহয়ক নিখিল দাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ জেলার সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, বাসদ ফতুল্লা থানা শাখার সদস্যসচিব এস এম কাদির।
নিখিল দাস বলেন, নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি বাতিলের দাবিতে দেশের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার রয়েছে। জাতিসংঘসহ দেশি বিদেশি বিভিন্ন সংস্থাও এই কুখ্যাত আইনটি বাতিলের দাবি জানিয়েছে। দেশি বিদেশী নানামুখী চাপে পড়ে সরকার এই দমনমূলক আইনটি বাতিল না করে পরিবর্তনের মাধ্যমে কৌশলে একই ধরনের নিবর্তনমূলক সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়ে। যা ইতিমধ্যে মন্ত্রীসভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৬০টি ধারার সবগুলোই নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে থাকবে। শুধুমাত্র অজামিনযোগ্য ৮টি ধারা জামিনযোগ্য করা হয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে শাস্তির মাত্রা কিছুটা কমিয়ে জেল জরিমানার জায়গায় শুধু জরিমানা করা হয়েছে। ডিএসএর ২১ ও ২৮ ধারা দুটি মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানির হাতিয়ার। নতুন আইনে শাস্তি কমিয়ে এ দুটি ধারাও রাখা হয়েছে।
ডিজিটাল আইনের ৩২ ধারায় ঔপনিবেশিক আমলের ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট বহাল রয়েছে। শাস্তির মাত্রা কমিয়ে এটিও রাখা হয়েছে। বিতর্কিত ৪৩ ধারায় পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতারের অধিকার দেয়া হয়েছে। ধর্ম অবমাননার নামে বøাসফেমী আইনের ধারাটিও নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে থাকবে। আইনমন্ত্রী ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলছেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হবে না’। যেখানে আইনটিই অপআইন মানে নিবর্তনমূলক আইন, সেখানে তার প্রয়োগই তো অপব্যবহার ও দমনমূলক হতে বাধ্য। ফলে নতুন আইনের নামে এটি একটি আই ওয়াশ মাত্র এবং জনগণের সাথে চরম প্রতারণা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকার আবারো ক্ষমতায় আসার জন্য ফন্দিফিকির করছে। ক্ষমতায় থেকেই জাতীয় নির্বাচন করার চেষ্টা করছে। ফলে সরকারের পদত্যাগ,
নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশের জনগণের যে লড়াই তাকে দমন করার জন্যই সাইবার সিকিউরিটি আইনটি করার চেষ্টা করছে। অতীতের স্বৈরশাসকদের মতই নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা ও বিরোধী মতকে দমন করার কাজে ব্যবহৃত হবে। নেতৃবৃন্দ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল নিবর্তনমূলক কানাকানগুলো বাতিল ও একই ধরনের দমনমূলক সাইবার নিরাপত্তা আইন করার সরকারের চক্রান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান। #