শিরোনাম
ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে পুলিশ এএসআইয়ের বিরুদ্ধে
বন্দর প্রতিবেদকঃ বন্দরে সোনাকান্দা ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম বাবু কাছ থেকে উৎকোচ না পেয়ে পুলিশি নির্যাতন করার গুরুত্বর অভিযোগ পাওয়া গেছে মদনগঞ্জ ফাঁড়ি এএসআই লাবু বিরুদ্ধে। পুলিশি নির্যাতনের শিকার ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম বাবু অবস্থা আশংকা জনক বলে তার পরিবার সূত্রে জানাগেছে। বর্তমানে সে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইর্বোডস্থ প্রো অ্যাকটিভ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত ঝছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল ইমলাম বাবু বন্দর থানার সোনাকান্দা পানির ট্যাংকিস্থ মৃধাবাড়ি এলাকার আবু হোসাইন মিয়ার ছেলে। এর আগে গত বুধবার (১৬ আগস্ট) রাত ২টায় বন্দর থানার ২০নং ওয়ার্ডের সোনাকান্দা পানির ট্যাংকি এলাকায় ওই পুলিশি নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে আহত ছাত্রলীগ নেতা বাবু ছোট ভাই মঞ্জিল গনমাধ্যমকে জানান, আমার বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম বাবু র্দীঘ দিন ধরে ছাত্রলীগের রাজনিতী করে আসছিল। সে পেশায় একজন বয়লার মুরগী ব্যবসায়ী। আমার বড় ভাই আমাদের বাড়ি পাশে র্দীঘ দিন ধরে বয়লার মুরগী ব্যবসা চালিয়ে আসছে। আমাদের ২০নং ওয়ার্ডে চোরের উপদ্রæপ ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বুধবার (১৬ আগস্ট) রাত আনুমানিক ২টায় প্রাকৃতিক ডাকে সরাদিতে গিয়ে দোকানের সামনে যায়। ওই সময় মদনগঞ্জ ফাঁড়ি টহল ডিউটিরত এএসআই লাবুসহ সঙ্গীয় র্ফোস আমাদের দোকানের সামনে থেকে আমার বড় ভাইকে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে উৎকোচ হিসেবে ২ লাখ টাকা দাবি করে ওই সময় আমার ভাই টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে ওই সময় টহল ডিউটিরত এএসআই লাবুসহ সঙ্গীয় র্ফোস আমার ভাইকে চাইনিজ রাইফেলের বাট ও লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী আমার ভাইকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার ভাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে ৪/৫ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ভাইয়ের শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটলে গত বৃহস্পতিবার আমার ভাই ঢামেক হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এদিকে শুক্রবার সকালে আমার ভাইয়ের নাখ মুখ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরন হয়। বর্তমানে আমার ভাই সিদ্ধিরগঞ্জ প্রো-অ্যাক্টিভ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে।
এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে গনমাধ্যমকে জানিয়েছে, মদনগঞ্জ ও বন্দর ফাঁড়ি পুলিশ র্দীঘ দিন ধরে টাকা কামানোর নেশায় মেতে উঠেছে। সাধারন জনগনকে চোর মাদক ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে তাদের আটক করে উল্লেখিত ফাঁড়িতে নিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। পুলিশের এ অপকর্ম থেকে পরিত্রান চায় বন্দরবাসী।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মদনগঞ্জ ফাঁড়ি এএসআই লাবু সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ১৬ আগস্ট রাতে বাবু পুলিশ দেখে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পরে গিয়ে জখম হয়।
এ ঘটনায় বন্দর থানার ওসি মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক জানান, বিষয়টি আমি জানতে পেরে সাথে সাথে আহতকে দেখতে তার বাড়িতে যাই। পরে তাকে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করে দেই। ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাবুকে সুস্থ্য ভেবে ছাড়পত্র দিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।#