শিরোনাম
নবীগঞ্জে মাদ্রাসার রড চুরি, ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা
বন্দর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দুঃসাহসিক চুরি ঘটনা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ধরাবাহিকতায় নাসিক ২৪নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ ইসলামাবাগে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে চুরির ঘটনা। ছোট খাট চুরির পাশা পাশি বেড়েছে বিল্ডিং এর রড চুরির ঘটনাও। প্রায় প্রতিদিনই এই এলাকা থেকে চুরির খবর পাওয়া যাচ্ছে। তথ্য সূত্রে জানা গেছে,স¤প্রতি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমানের গরু বিক্রির টাকায় নবীগঞ্জে ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের একে একে দুইবার রড চুরির ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে রড চুরি করতে গেলে কন্ট্রাক্টরসহ বিল্ডিং এর কর্মচারীরা চোরকে আটক করে পুলিশে দিলেও তাৎক্ষনিক এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও নাসিক ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন। অভিযোগ রয়েছে, চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী ও প্রভাবশালীর ছেলেদের নাম উঠে আসলে ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কতিপয় ব্যাক্তি।
চুরির ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে চোর মিরান জানান, মাদ্রাসা রড চুরি ঘটনায় আমার সঙ্গে জড়িত রয়েছে ইসলামবাগএলাকার জাকির মিয়ার ছেলে সীমান্ত, একই এলাকার মৃত মিলন মিয়ার ছেলে তসিফ, সেলিম মিয়ার ছেলে সিহাব, কাইয়ূম মিয়ার ছেলে আসিফ, ইসলাম মিয়ার ছেলে ইসমাঈল।
স্থানীয়রা জানান, সেলিম ওসমান এমপির গরু বিক্রির টাকায় মাদ্রাসার ভবন নির্মাণের রড চুরির ঘটনায় চোর মিরানকে জেলে পাঠালেও বেঁচে যায় এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালীর ছেলেরা। চোর ঘটনার স্বীকারোক্তি দিলেও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও নাসিক ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন থানায় মামলা করেনি। নিরীহ চোরকে সাঁজা দেয়া হয়েছে অথচ প্রভাবশালীর ছেলেদের নাম আসলো দেখে এর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করলো। স্থানীয়রা আরও জানান, ইঞ্জিনিয়ার ওহাব মিয়ার বাড়ী সহ একাধিক বাড়ীতে চুরির ঘটনায় তারা জড়িত রয়েছে।
তারা ছাত্রলীগ নেতা সুজনের সঙ্গেও মিটিং মিছিলে যায় কিন্তু চুরি করে পার পেয়ে যায়। আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান প্রশাসনের কাছে। এ বিষয় সাবেক ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সুজন জানান, ওরা আমার এলাকার ছোট ভাই, এছাড়া কোন ছাত্রলীগের কর্মীও না। দ্বীনি প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসার রড চুরি করেছে তাদের বিচার হবে। অপরাধী যেই হোক সে অপরাধী।
বন্দর থানার এসআই শওকত মিয়া জানান, চোরের বিষয়ে বলার কিছু নেই কমিশনার আফজাল ভাইকে জিঙ্গোসা করেন। চোর মিরানকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেই, বাকীদের গ্রেফতার করার জন্য কয়েকবার বাড়ীতে গিয়েছি তারা সবাই পলাতক রয়েছে।
এ বিষয় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও নাসিক ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন জানান, এমপি সেলিম ওসমান সাহেবের নিজস্ব অর্থায়নে দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ভবনের কাজ শুরু করেন। ভবনের যারা কর্মচারী তারা চোরকে আটক করে আমাকে জানালে আমি ঘটনাস্থলে এসে পুলিশকে ফোন দিলে ওসি সাহেব এসআই শওকত মিয়াকে পাঠান। তিনি এস চোরকে জিঙ্গোসাবাদ করেন এবং থানায় নিয়ে যান। পরর্বতীতে এ ঘটনার কী অবস্থান বিষষটি বলতে পারবে তদন্তকারী অফিসার। সেলিম ওসমাস সাহেব দেশে আসছে তিনি এবিষয় কথা বলে সেটা ভাল হবে করবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, বৃধবার ২৬ আগস্ট বেলা ১১টায় বন্দর নবীগঞ্জ ঈদগাহ মাঠে এমপি সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত অর্থায়নে নবীগঞ্জ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় এতিমখানার জন্য নতুন ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করা হয়। #