শিরোনাম
বন্দর প্রেসক্লাবে বিভিন্ন প্রশ্নের তোপের মুখে জনপ্রতিনিধিরা
বন্দর প্রতিবেদকঃ বন্দরের সমস্যা লাঘবে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বন্দর প্রেসক্লাবের আয়োজনে প্রেসক্লাব মিলানয়তনে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ¦ মোবারক হোসেন খান কমলের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় প্রশাসনের পক্ষে ছিলেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম কুদরত-এ-খোদা, বন্দর থানা প্রশাসনের পক্ষে সেকেন্ড অফিসার সাইপুল ইসলাম পাটোয়ারী।
জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহীন আহাম্মেদ, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহাম্মেদ ভ’ইয়া ও ২২, ২৩, ২৪নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর শাওন অঙ্কন। মত বিনিময় সভায় অবৈধ ভাবে ফুটপাত দখল, অবৈধ স্ট্যান্ড, মাদক, ইভটিজিং, দ্রব্যমূল্য, রাস্তার ময়লা আবর্জনা অপসারন ও নাসিকের বার্ধিত ট্যাক্স নিয়ে আলোচনা হয়। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নাগরীকদের মধ্য থেকে একজন বলেন, তার বাড়ির টেক্স ছিল ৪৭০/-টাকা, আর তাকে বর্ধিত করে নোটিশ দেয়া হয়েছে ১৮৭০/-টাকা। তাই জনপ্রতিনিধির কাছে জানতে চাওয়া হয় ট্যাক্স কত পার্সেন্ট বৃদ্ধি করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধি সুলতান ও মহিলা কাউন্সিলর শাওন অঙ্কন বলেন, ট্যাক্স বৃদ্ধি নাসিক মেয়র করেননি এটা মন্ত্রনায়লয়ের অর্ডর। দেখা যায় যে টেক্স ছিল তার থেকে প্রায় ৪শ’ গুন বৃদ্ধি করা হয় টেক্স। এ যেন মঘের মুল্লুক। নাগরিকরা বলেন টেক্স বৃদ্ধি করার পরিমাপ থাকতে পারে কিন্তু নাসিক কোন পরিমাপে করেছে তার কোন হিসাব নেই। দেখা যায় অন্য জেলার চেয়ে নারায়ণগঞ্জের ট্যাক্স অধিক। জনপ্রতিনিধিরা একটি অযুহাত দেখান যে, দেশে দব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তাই ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু দ্রব্যমূল শুধা নারায়ণগঞ্জ সিটি করর্পোরেশন এলাকার জন্য বাড়েনি সমগ্র দেশের জন্য বেড়েছে সেখানে এক গুন ট্যাক্স বৃদ্দির নজির নেই। এক নাগরীক বলেন, ট্যাক্স প্রতিবাদ করা নাগরিক অধিকার সেটা নাসিক কর্তৃপক্ষ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে এটাকে রাজনৈতিক রূপ দেয়ার চেষ্টা করে বলেন টেক্স নাকি ২০ পার্সেন্ট কমিয়েছেন। যেখানে ৪শ’ গুন ট্যাক্স বৃদ্ধি করে ২০ পার্সেন্ট কমানো মানে নিজেদের দোষ ঢাকার অপচেষ্টা মাত্র। বর্তমানে দেশে দ্রব্যমূল্য লাগামহীন। নাগরীকরা দিশেহারা এর উপর অতিবাড়তি ট্যাক্স না বাড়িয়ে আগের মত রাখার দাবি জানান নাসিক জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে।
এছাড়া সংবাদপত্রে দুর্নীতি, ভ’মিদস্যূতাসহ সমাজের অসংঘতি বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে তা যদি আদালত স্বপ্রনোদিত হয়ে পুলিশ বা পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেন সেখানে দেখা যায় সংশ্লিষ্ট সংবাদের সাংবাদিককে ঐ তদন্তের স্বাক্ষী বানানো হচ্ছে। যা সাংবাদিকের জন্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে। মতবিনিময় সভায় সবচেয়ে বেশী আলোচনা হয় নাসিকের বর্ধিক ট্যাক্স ও সড়কের যানজট লাঘবে অবৈধ ফুটপাত ও অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদের দাবি জোড়ালো হয়। উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা আশ্রাস দেন অচিরেই তা উচ্ছেদ করা হবে। বন্দর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী স ালনায় মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বন্দর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জি.এম. মাসুদ, আতাউর রহমান, বন্দর প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা সরদার মোহাম্মদ আলিম, মোঃ কবির হোসেন, বন্দর প্রেসক্লাবের সহ-সাধারন সম্পাদক জি.এম. সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান রিপন, প্রচার সম্পাদক শাহজামাল, ক্রীড়া সম্পাদক হৃদয়, বন্দর প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য হাজী নাসির উদ্দিন, মাহফুজুল আলম জাহিদ, আরিফ হোসেন কনক প্রমুখ। মত বিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক এস.এম. আব্দুল্লাহ, বিল্লাল হোসেন, মোঃ রাসেল ইসলাম, লিটন গাজীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। #