শিরোনাম
মদনপুরে পুত্রের ভুলে ৩ বছর ধরে বাড়ি ছাড়া অসহায় বৃদ্ধ দম্পতি
বন্দর প্রতিবেদকঃ বন্দরে মদনপুর লাউসার এলাকায় পুত্রের ভুলের মাসুল দিতে গিয়ে ৩ বছর ধরে বাড়ি ছাড়া হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অসহায় বৃদ্ধ দম্পতি ইসলাম(৬৫) ও আছমা বেগম(৫০)। বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিলেও স্থানীয় কতিপয় দুষ্ট চক্রের কারণে পালিয়ে বেড়াচ্ছে নিরীহ ওই ভুক্তভোগী পরিবারটি। বৃদ্ধ ইসলাম মিয়া জানান,কি কারণে আমার ছেলের সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল সেটা জানিনা। কাকে মেরেছে কি করেছে তা’ও জানিনা এতে আমাদের দোষ কি? আমার ছেলে যদি ছোট্র ওই ছেলেটিকে মেরেই থাকে তাহলে আইনগতভাবে যদি তার ফাঁসিও হয় তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই কারণ,যে অপরাধ করেছে তার শাস্তি হওয়া উচিত।
কিন্তু তার অপরাধের শাস্তিতো আমরা নিতে পারিনা। আমাদের বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে কিছু সুবিধাবাদী লোক সবকিছু লুটে নিয়েছে জানিনা কিভাবে বাকী জীবনটা পার করবো। অবাধ্য ছেলের ভুলের খেসারত আমাদেরকে দিতে হবে সেটা কখনো ভাবিনি। তবুও বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ,বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং মাননীয় জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে বিনীত অনুরোধ দয়া করে আপনারা তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন। আমরা দীর্ঘ দিন ধরে বাড়ীছাড়া হয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছি। এ ব্যাপারে এলাকার জনৈক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,রিপন নিঃসন্দেহে অপরাধী তার যথাযথ শাস্তি হওয়া উচিত এটা আমরাও চাই কিন্তু তার বাবা মা বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাতো নিরপরাধ তাদেরকে কেন হয়রানি করা হচ্ছে তারাতো কোন দোষ করেননি। তাছাড়াও তারাওতো চান তাদের ছেলের বিচার হউক।
কাজেই আমি মনে করি নিরপরাধ ইসলাম মিয়া এবং তার স্ত্রীকে যাতে তাদের নিজের ঘরে বসবাসের সুযোগ করে দেয়া হয়। বাড়ি-ঘর ফেলে মানুষ কত দিন বাইরে ঘুরে ঘুরে থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত,২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাত ৯টায় প্রেম সংক্রান্ত ঘটনায় লাউসার এলাকার ইসলাম মিয়ার ছেলে রিপনের হাতে খুন হয় একই এলাকার মনা মিয়ার শিশুপুত্র আরাফাত(১২)। হত্যার ৩ দিন পর পার্শ্ববর্তী একটি পুকুর থেকে আরাফাতের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলে মামলার মূল আসামী রিপন আদালতে আতœসমর্পণ করে। এ ঘটনার পর পরই স্থানীয় একটি চক্র পুত্র রিপনের ভুলের খেসারত হিসেবে বৃদ্ধ ইসলাম ও তার স্ত্রী আসমা বেগমকে বাড়ীছাড়া করে। #