দ্বিতীয় শ্রেণী ছাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনায় মামলা | ধর্ষক পলাতক
বন্দর প্রতিবেদকঃ চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে আপন চাচাত ভাই কর্তৃক দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়–য়া (৯) বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গত শনিবার (১১ নভেম্বর) রাতে ধর্ষিতা শিশুর মা বাদী হয়ে লম্পট চাচাত ভাই নুরু মিয়াকে আসামী করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১০(১১)২৩।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শিশুটিকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরিক্ষার পর ২২ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে। এর আগে গত ৭ নভেম্বর দুপুর ১টায় বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের নয়ামাটি ভাংতি এলাকায় এ ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটে। ধর্ষনের বিষয়টি উল্লেখিত এলাকায় জানাজানি হলে লম্পট ধর্ষক নুরু মিয়া গ্রেপ্তার এড়াতে পলাতক রয়েছে। পলাতক লম্পট নুরু মিয়া একই এলাকার মৃত বাহাউদ্দিন মিয়ার ছেলে। মামলা সূত্রে জানাগেছে, বাদীনি মেয়ে ৩০নং বুনিয়াদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য় শ্রেণীতে লেখাপড়া করে আসছে।বিবাদী নুরু মিয়া বন্দর উপজেলার নয়ামাটি ভাংতি এলাকার মৃত বাহাউদ্দিনের ছেলে ও ২ সন্তানের জনক। বিবাদী তার নিজ বাড়িতে মুদি ও চা দোকানদারি করে আসছে। উক্ত বিবাদী বাদীনির মেয়েকে স্কুলে য্ওায়া আসার পথে চকলেট খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জোর পূর্বক ভাবে ধর্ষন করে আসছে। ধর্ষনের বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ধর্ষিতা শিশুটিকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভিতি প্রদর্শন করে আসছিল লম্পট ধর্ষক নুরু মিয়া।
এর ধারাবাহিকতায় গত ৭ নভেম্বর দুপুর ১টায় বাদীনি মেয়ে স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে উল্লেখিত লম্পট নুরু মিয়া আবারও চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে তার বসত ঘরে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষন করে। পরে ধর্ষিতা শিশুটি বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করলে বাদীনি ও তার স্বামী উক্ত শিশুটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিষয়টি তার মা/বাবা কাছে খুলে বলে। বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবু বক্কর জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ধর্ষককে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। #