বন্দরে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ক্রেস্ট দিলেন গাড়ি চালক, ক্ষোভ
বন্দর প্রতিবেদকঃ বন্দরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।তবে দায়িত্বশীলদের অবহেলা এবং অব্যাবস্থাপনার কারণে জমকালো আয়োজন ভেস্তে গেছে। একই সাথে প্রধান অতিথি সহ অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি অনুপস্থিত থাকায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।এছাড়া একই ক্রেস্ট দিয়ে শুধুমাত্র ফটোসেশান করায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন অংশ নিতে আসা শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকেরা।একপর্যায়ে বিরক্ত হয়ে অজ্ঞাতসারে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন ইউএনও। তিনি কিছু না বলে চলে যাওয়ায় এসি ল্যান্ড মনিষা রানীর সঙ্গে উপজেলা প্রশাসনের একজন গাড়ি চালককে ক্রেস্ট প্রদান করতে দেখে অনেকেই ক্রেস্ট গ্রহণ করেনি।তবে একাধিক সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ শারীরিক অসুস্থ থাকায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে পারেননি।কিন্তু নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ৯ জন সিটি করপোরেশনের কাউন্সিল কেউই উপস্থিত ছিলেন না।তাদের দেশপ্রেম এবং দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে উপস্থিত অনেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।
#শনিবার সকালে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বন্দর সমরক্ষেত্র মাঠে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন সহ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে জেলা প্রশাসক মাহামুদুল হাসান বন্দরের স্মৃতি সৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।এরপর উপজেলা প্রশাসন,পুলিশ, আনসার,ফায়ার সার্ভিস, বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ,বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী,শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সামাজিক সংগঠন ও সকল শ্রেনী পেশার মানুষ বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।পরবর্তীতে
অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ইভেন্টে সরকারি – বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্কুল কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শালিমা হোসেন শান্তা।এছাড়া সহকারী কমিশনার(ভুমি) মনিষা রানী কর্মকার,থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা,
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আব্দুল লতিফ,প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী সহ অন্যান্য কর্মকর্তা বৃন্দ।দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসুচি শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।এসময় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন আহমদ চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জাতীয় দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্থিতি খুবই দু:খ জনক।
এ বিষয় জানতে চাইলে ইউএনও মাজহারুল ইসলাম বলেন, জাতীয় দিবসের প্রতিটি অনুষ্ঠানে আমরা সকল জনপ্রতিনিধি কে আমন্ত্রণ জানাই।কিন্তু উপস্থিত থাকা তাদের নিজের ব্যাপার।#