অপরাধীদের আখড়াস্থলে পরিনত মাসদাইর পৌর মহাশ্মশান
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ ক্রমেই অপরাধীদের আখড়াস্থলে পরিনত হচ্ছে মাসদাইর পৌর মহাশ্মশানটি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাদক সেবন,বিক্রি এবং ছিনতাইকারীদের আড্ডাস্থলে পরিনত হতে লাগলেও এর প্রতি যেন কারোরই কোন দৃষ্টি নেই। যার ফলে সনাতন ধর্মের এস্থানটি নিয়ে নানা মানুষের নানা প্রকার প্রশ্ন উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাসদাইর পৌর মহাশ্মশানে প্রবেশ মুখে বা পাশে রয়েছে হারু নামে জনৈক ব্যক্তির একটি চায়ের দোকান। যেখানে বসে নানা বয়সী মাদক সেবীদের আড্ডা দিতে দেখা যায়। শ্মশানের ভেতরে বা পাশে সমাধির চর্তুপাশেই দেখা যায় মাদক সেবীরা যার যার মত করে তাদের মাদক সেবন করছেন। আর ফাঁকে ফাঁকে হারুর দোকানে বসে বসে চা-সিগারেট খাওয়াতে মগ্ন। আবার মাসদাইর ও আশপাশ এলাকায় দিনের আলো কিংবা রাতের আধারে যে সকল ছিনতাইকারীরা ছিনতাই কার্যক্রম করছেন তারা বেশীরভাগ সময়ই এভাবে মাদক সেবনে ব্যস্ত দেয়া যায় শ্মশানে। প্রচুর পরিমানে মাদক সেবন শেষে তাদের হাতে থাকা অস্ত্র নিয়েই ছিনতাইকাজে ঝাপিয়ে পড়ছে উক্ত ছিনতাইকারীরা।
মহাশ্মশানে আগত অনেকেই বলেন,মুলত চা দোকানী হারুর দোকানে বসেই কিছু মাদক ব্যবসায়ীরা হারুর সহযোগিতায় এখানে মাদক বিক্রি করছে আর তা সেবনের জন্য স্থান করে দিচ্ছে। শ্মশানের দ্বায়িত্বে থাকা কর্তাবাবুরা তা দেখেও যেন না দেখার ভান করছে। কারন উক্ত মাদক বিক্রেতাদের কাছ থেকে তারাও কিছু মাসোয়ারা পাচ্ছেন বলেও তাদের এসকল কাজে বাধা প্রদান করতে হয়না। তারা আরও বলেন,এখানে প্রতিদিন দিন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন আসছে লাশ দাহ করতে কিংবা পুজা করতে। কিন্তু এখানে আসা মহিলাদেরকে নাকে রুমাল চেপেই যাতায়াত করতে হয় মাদকের র্দূগন্ধ থেকে রক্ষা পেতে। তাদের দাবী শুধু সিটি কর্পোরেশন নয় এখানে দ্বায়িত্বরত কর্তাবাবুরা যদি লোভ-লালসাকে ভুলে গিয়ে এ সকল কৃত অপরাধের প্রতিবাদ করেন তাহলে মহাশ্মশানের পরিবেশটি আরো সুন্দর হয়ে উঠবে।
মহাশ্মশানে লাশ দাহ করতে আসা হিমাংশু জানান,এখানকার পরিবেশটা মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের কারনে এতটাই জঘন্য হয়ে পড়েছে তা ভাষায় বলার কিছু নেই। আমি অবাক হই যখন দেখি এখানে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত লোক থাকার পরও কিভাবে এ অপরাধীদের স্থান এখানে হয়। শুনেছি এখানকার অপরাধের কেন্দ্রস্থলটি ( হারুর চায়ের দোকানটি) নাকি সিটি কর্পোরেশনের লোকজন সরিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন তাহলে কিভাবে হারুর দোকানটি এখনও পর্যন্ত রয়েছে। তাহলে অবশ্যই বুঝবো যে, হারুর পেছনে শ্মশানের দ্বায়িত্বে থাকা লোকরাই জড়িত রয়েছে।
লাশ দাহ করতে এবং পুজা দিতে আসা সকলের দাবী মাসদাইর পৌর মহা শ্মশানের পরিবেশ রক্ষার্থে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মহোদয়ের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পাশাপাশি মহা শ্মশানের ভেতরে মাদক বিক্রেতা,সেবনকারী ও ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের আশু পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান। #