জালাল হাজী সাহেব নারায়নগঞ্জের বিএনপি’র জন্মদাতা – মুকুল
বন্দর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সাবেক সহ- সভাপতি আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল বলেছেন,আমাদের বিপক্ষে অনেকেই অনেক কথার ফুলঝুঁড়ি ছুঁড়ে দেন যার কোন ভিত্তি নেই। আমার বানের পানিতে শ্যাওলার সঙ্গে ভেসে আসা পদ্ম নই। আপনারা ভাল করেই জানেন আমার চাচা জালাল হাজী সাহেব নারায়নগঞ্জের বিএনপি’র জন্মদাতা। আমার ভাই এডভোকেট আবুল কালাম সাহেব একাধিকবার এমপি ছিলেন। আমি পর পর দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলাম,আমার ভাতিজা আবুল কাউছার আশা বর্তমানে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
রোববার (১লা সেপ্টম্বর) বিকেল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ডের কবিলের মোড়ে বিএনপি’র ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে মহানগর বিএনপি আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আতাউর রহমান মুকুল আরো বলেন,২০১৪ সালের ৫জানুয়ারী আমার নেত্রী যখন নির্দেশ দেন তখন আমরা আমাদের নবীগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ডে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় রকমের কর্মসূচী করেছিলাম তখন কোথায় ছিলেন সাখাওয়াত-টিপু কোথায় ছিলেন তৈমুর সাহেব? তখন আমাদের নেতা-কর্মীরাই সেইদিন গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। গত সরকার বিরোধী আন্দোলনে আমার বিরুদ্ধে ২টা মামলা হয়েছে,সোনারগাঁ এবং নারায়ণগঞ্জ থানায়। আমি যদি আওয়ামীলীগের পক্ষে থাকতাম তাহলে আমার নামে মামলা হবে কেনো? আমি মামলা খেলেও বাসা ছেড়ে যাইনি। বর্তমানে কিছু নামধারী নেতা বিএনপির লেবাসধারণ করে লুটপাটের রাজত্ব গড়ে তুলেছে। তারেক রহমান আমার নেতা উনি কিন্তু বার বার বলে দিচ্ছেন যারা লুটতরাজে জড়িত থাকবে তাদের সঙ্গে দলের কোন সম্পর্ক থাকবেনা। আপনারা জনগনমুখী হন,নির্বাচন মুখী হন। সামনে ভাল সময় আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এইতো গত ২ বছর আগে আওয়ামী পুলিশের গুলিতে আমাদের য কর্মী শাওন নিহত হয়েছে সেই শাওন হত্যা হয়না। আমি সাখাওয়াতকে বলেছিলাম আধা ঘন্টা পরে যাও আমি মাত্র ৫মিনিটের জন্য সেইখানে পৌঁছাতে পারিনি। আমিতো মনে করি শাওন হত্যার এক নাম্বার আসামী সাখাওয়াতই হওয়া উচিত ছিল। হাজার হাজার লোক নিয়ে আমি যখন সেখানে গিয়েছিলাম তখন কিন্তু আওয়ামী পুলিশ আর গুলি চালাতে পারেনি।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, মহানগর বিএনপি সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু,মনিরুজ্জামান মনির,নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপি’র আহবায়ক মোঃ আওলাদ হোসেন,যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ আহাম্মেদ টিটু, মহানগর বিএনপি নেতা আলহাজ্ব হান্নান সরকার,গোলাম নবী মুরাদ,সুলতান আহাম্মদ ভূইয়া ও বন্দর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক এডঃ আনিছ।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ- সভাপতি মোস্তাকুর রহমান মোস্তাকের সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা দিদার খন্দকার,২০নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মেজবাহউদ্দিন স্বপন,কলগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি শহীদ মেম্বার,সাধারণ সম্পাদক হাবিব মেম্বার,সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম,মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাবিল হোসেন,সাধারণ সম্পাদক অহিদ ভূইয়া,ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ মেম্বার,মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ফারুক চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস রাজিব,বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহ আলম,সাধারণ সস্পাদক পাপ্পু আহমেদ,২৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা নেছারউদ্দিন,আফজাল হোসেন জনি,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন নেতা আব্দুর রাজ্জাক সফিকুর রহমান,মোরশেদ আলম,মোঃ শামীম,ফারুকুল ইসলাম ,আনোয়ার হোসেন,আসাবুদ্দিন মিয়,শাহাদাত হোসেন,মোঃ মামুন,২৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ রাসেল,মোঃ সোহেল,মধু মিয়া,মোঃ মাসুম,২০নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মেজবাহউদ্দিন স্বপন,মোঃ শাহিন,নাদিম মাহমুদ,২১নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা বিডিআর মনির,রোমান,রাসেল,শহীদ জামান,১৯নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আল মামুন,মোঃ হুমায়ূন কবির,মোঃ আলম,আল আমিনসহ বন্দর থানা ও উপজেলা বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।#