শিরোনাম
বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে জাকির খানের উদ্যোগে দোয়া
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের ২নং রেলগেটস্থ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির সাবেক কার্যালয়ের সামনে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপি নেতা জাকির খানের উদ্যোগে ‘মহানগর বিএনপি’র ব্যানারে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো: মনির হোসেন খান।
অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ূ ও সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়।
এছাড়া দোয়া মাহফিলে শহীদ ছাত্র-জনতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
দোয়া শেষে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধান অতিথি মনির হোসেন খানসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা।
এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আজকের এ দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে। তিনি শুধু গণতন্ত্রের প্রবক্তাই নন, তিনি ছিলেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম মহানায়ক। তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে এদেশের আপামর জনসাধারণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের এনে দিয়েছিলেন এক স্বাধীনতার রক্তিম পতাকা।
প্রধান অতিথি মনির হোসেন খান আরও বলেন, দীর্ঘ প্রায় ষোলটি বছর তাকে মানুষের হৃদয় থেকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছিলো সাবেক ফ্যাসিবাদী সরকার আওয়ামী লীগ। কিন্তু যে নাম মানুষের হৃদয়ে চিরদিনের জন্য গাঁথা রয়েছে, সে নাম কখনো কি মুছা যায়? যায় না। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন, আছেন এবং যুগ যুগ ধরে মানুষের হৃদয়েই বেঁচে থাকবেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যদিয়ে আজ যে নতুন স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, তা আমাদের সকলকে ধরে রাখতে হবে। ওই ষড়যন্ত্রকারিরা কিন্তু হারিয়ে যায়নি। ওরা এদেশের আনাচে কানাচে ঘাপটি মেরে বসে আছে। যে কোন সময় ফনা তুলে ছোবল মারতে পারে। তাই তাদের বিষয়ে অধিকতর সচেতন ও সর্তক থাকতে হবে। ওরা যাতে কোন অবস্থায় দেশকে আবারও অস্থিতিশীল না করতে পারে, সে জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে।
‘জাকির খান মুক্তি পরিষদ’র আহ্বায়ক সলিমুল্লাহ্ করিম সেলিমের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা খোকন, মো: শাহজাহান, মো: নাসির, মো: সেন্টু, সদর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লিংকন খান, জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি এইচএম হোসেন, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাঞ্চন আহমেদ প্রমূখ। #