নারায়ণগঞ্জ  সোমবার | ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ | ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ হেমন্তকাল | ৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

শিরোনাম
  |   সোনারগাঁয়ে ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারের অভিযোগ   |   নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে হামলার ঘটনায় অধ্যাপক মামুন মাহমুদের নিন্দা   |   আড়াইহাজারে ভাঙচুরের মামলার দুই আসামি গ্রেফতার    |   মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ার সন্ত্রাসী হামলায় ৩ সহদোরসহ ৫ জন আহত   |   নিরীহ যুবককে আটক করে হত্যা মামলায় চালান   |   বদিউজ্জামান হত্যা মামলায় জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদির গ্রেপ্তার   |   জেএসডি’র ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে নগরীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত   |   না.গঞ্জ থেকে সকল রুটে বাসভাড়া কমানোর দাবিতে মশাল মিছিল   |   আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতা সবুজ গ্রেফতার   |   সরকারী পুরষ্কার প্রাপ্ত চাষি শফিকুলের ১২০ টি লাউ গাছ কেটে ফেলেছে দূর্বত্তরা   |   জুলাই বিপ্লব হয়েছে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ স্বৈরচারের বিরুদ্ধে – গাজী আতাউর   |   সকল রুটে শিক্ষার্থীদের হাফ ভারার দাবি সরকারি তোলারাম কলেজ জুলাই বিগ্রেড নেতৃবৃন্দ   |   রূপগঞ্জে বিনামূল্যে কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ    |   দিদার খন্দকারের নেতৃত্বে মহানগর বিএনপি’র আলোচনা সভায় মিছিল নিয়ে যোগদান   |   নারায়ণগঞ্জের মাটি ও  মানুষ আমাদের আপনজন – আবুল কাউছার আশা   |   জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে ফতুল্লায় সমাবেশ র‍্যালি   |   বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ কক্সবাজারের মাদক ব্যবসায়ী বন্দরে গ্রেফতার   |   বন্দরে শতাধিক মাদক স্পটে মাদকদ্রব্য বেঁচা কেনা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে   |   জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মহানগর দর্জি শ্রমিক দল এর আলোচনা সভা   |   জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে জাসাসের সভাপতি জিকো খানের বিশাল শো-ডাউন
 প্রচ্ছদ   জাতীয়   প্রেসক্লাবে জিন্নাহর মৃত্যুবার্ষিকী পালন নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া | নাবাব পুত্র নাঈম যা বল্লেন 
প্রেসক্লাবে জিন্নাহর মৃত্যুবার্ষিকী পালন নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া | নাবাব পুত্র নাঈম যা বল্লেন 
  জাতীয় || নারায়ণগঞ্জেরখবর.কম
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ জাতীয় প্রেসক্লাবে পাকিস্তানের জাতির জনক মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর ৭৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর মধ্যে সেই অনুষ্ঠানের ব্যাপারে মন্তব্য চেয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে মন্তব্য চেয়েছে।

দলটি লিখেছে, বাংলাদেশে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর ৭৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন, তাও জাতীয় প্রেসক্লাবে! আপনার মন্তব্য কি?

এদিকে নবাব সলিমুল্লাহ একাডেমি ব্যানারে এ অনুষ্ঠান করায় নবাব পরিবারের সন্তান চিত্র নায়ক নাঈম জানিয়েছন নবাব সলিমুল্লাহ নাম ব্যাবহার করেছে এটি নবাব পরিনার সমর্থন করেনা।

এই পোস্টের কমেন্টে একজন লিখেন, ওরা কবে যেনো বলেই বসে, আমরা সবাই ভাই ভাই স্বাধীনতার দরকার নাই।
অপর এক মন্তব্যকারী লিখেন, সদ্য অর্জিত স্বাধীনতা উপভোগ করছেন ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষাধিক বীরাঙ্গনাদের ত্যাগ অস্বীকার করার স্পর্ধা দেখিয়ে!
এছাড়াও পোস্টের কমেন্টবক্সে অসংখ্য নেটিজেনকে প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানাতে দেখা যায়। পোস্টটিতে মাত্র দুই ঘন্টায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কমেন্ট পড়েছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেনে মানিক মিয়া হলে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর ৭৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নবাব সলিমুল্লাহ একাডেমি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনারের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। তবে হাইকমিশনের কাউন্সেলর কামরান ধাঙ্গাল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। একাডেমির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ আব্দুল জাব্বার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মো. সামসুদ্দিন বলেন, ৫ আগস্ট আমাদের বিজয় দিবস, এটিই আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এসময় তিনি জিন্নাহকে স্মরণ করে বলেন, ১৯৪৭ সালে যদি বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে না থাকতো তবে আজ কাশ্মীরের মতো ঘাড় ফেরানোর উপায় ছিল না, ভারতীয় জান্তারা ঘাড়ের ওপর অস্ত্র ধরে রাখতো। জিন্নাহ পাকিস্তানের সঙ্গ নিয়েছে বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।
অপর বক্তা নজরুল ইসলাম বলেন, যেকোনভাবেই হোক আমরা স্বাধীন হয়েছি। আমাদের পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করতে হবে। মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ না থাকলে পাকিস্তান সৃষ্টি হতো না, আর পাকিস্তান না থাকলে বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না।
ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের বাইরে বাংলাদেশে পাকিস্তানের জাতির পিতার মৃত্যুবার্ষিকী পালনের ঘটনা এটিই প্রথম। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। তার প্রবন্ধে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের নানা ঘটনা বর্ণনা করা হয়। অনুষ্ঠানে জাফরুল হক জাফর জিন্নাহকে নিয়ে একটি উর্দু কবিতা পাঠ করেন। পাকিস্তানি শিক্ষার্থী মো. তাহির ও কামরান আব্বাস জিন্নাহকে নিয়ে উর্দুতে গান পরিবেশন করেন।
*
ঢাকায় জিন্নাহর মৃত্যুবার্ষিকী পালন নিয়ে যা বললেন চিত্রনায়ক নাঈম
ঢাকায় পাকিস্তানের জাতির পিতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর ৭৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা নিয়ে মুখ খুলেছেন ঢালিউড চিত্রনায়ক নাঈম। ফেসবুকে এ বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করেছেন অভিনেতা।
ঢাকায় জিন্নাহর মৃত্যুবার্ষিকী পালন নিয়ে যা বললেন চিত্রনায়ক নাঈম
ঢাকায় পাকিস্তানের জাতির পিতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর ৭৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা নিয়ে মুখ খুলেছেন ঢালিউড চিত্রনায়ক নাঈম। ফেসবুকে এ বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করেছেন অভিনেতা।
ঢাকায় পাকিস্তানের জাতির জনক মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর মৃত্যুবার্ষিকী সমর্থন করেন না ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ঢাকার নবাব খাজা নাইম মুরাদ।
নবাব সলিমুল্লাহ একাডেমির ব্যানারে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে পাকিস্তানের জাতির জনক মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। বুধবারের (১১ সেপ্টেম্বর) এ অনুষ্ঠানের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে ভক্তদের স্পষ্ট ধারণা দিতে ফেসবুক পোস্ট দেন নাঈম।
চিত্রনায়ক নাঈম ঢাকার নবাব পরিবার খাজা সলিমুল্লাহর বংশধর। তাই বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফেসবুকে জিন্নাহর মৃত্যুবার্ষিকী পালনের একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি।
ক্যাপশনে বড় করে নাঈম লেখেন, ঢাকার নবাব পরিবার এটা সাপোর্ট করে না।
‌‘আমি খাজা নাঈম মুরাদ নওয়াব সলিমুল্লাহর পৌপুত্র এবং গর্বিত বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, আমি এমন কোনো গোষ্ঠী বা কার্যকলাপের সাথে যুক্ত নই যা আমাদের জাতীয় পরিচয় বা ইতিহাসকে ক্ষুণ্ণ করে।’
নাঈম আরও লেখেন, ‘নবাব সলিমুল্লাহ একাডেমি’র সাথে আমাদের ঢাকা নবাব পরিবারের কোনো সম্পর্ক নাই এবং এদের প্রচারিত মূল্যবোধের বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান করি।
দেশের মহান মুক্তিযুদ্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নাঈম লেখেন, ‘১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা, ২০২৪ সালের ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানের প্রতি যে কোনো কর্মকাণ্ড যা জনসাধারণের আশা এবং মূল্যবোধের বিরোধিতা করে আমি তা সমর্থন করি না। আমি বাংলাদেশের ছাত্র জনতার এবং তাদের স্বার্থের প্রতি দৃঢ়ভাবে অবস্থান করি।’
এ প্রসঙ্গে নাঈমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সময় সংবাদকে তিনি বলেন, ‘নবাব সলিমুল্লাহ বড় একটা ফ্যাক্ট। এই নাম দিয়ে অনেকে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের পরিবার এই সংগঠন সম্পর্কে স্পষ্ট জানেই না।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিনেতা আরও বলেন, ‘নবাব সলিমুল্লাহ একাডেমির ব্যানারে যারা এটা করেছেন তারা কেবল তাদের স্বার্থ রক্ষায় করেছেন। আমাদের নবাব পরিবারের সঙ্গে এর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমরা এটা প্রত্যাশা করি না। যারা করেছেন তারা অন্যায় করেছেন। আমি অনুরোধ করব, আমাদের নাম নিয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করলে তা আমরা কঠোরভাবে প্রতিহত করব।’
প্রসঙ্গত, পুরান ঢাকার আহসান মঞ্জিল ছিল ঢাকার নবাব পরিবারের পারিবারিক বাসস্থান। চিত্রনায়ক নাঈম এ নবাব পরিবারের বংশধর। দেশের চলচ্চিত্র ও অভিনয়ের প্রতি আলাদা টান ছিল তার। তাই নব্বই দশকে ঢালিউড সিনেমায় পা রাখেন তিন
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলোচনা সভার পাশাপাশি উর্দু গান-কবিতা পরিবেশন করা হয়। নওয়াব সলিমুল্লাহ একাডেমি আয়োজিত সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। এতে তিনি মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের নানা ঘটনা বর্ণনা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার কামরান ধাঙ্গাল উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উর্দু ভাষায় দেয়া এক ব্যক্তির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম এসকে আজিম। তিনি ঢাকার একটি বিহারি ক্যাম্পের বাসিন্দা। তবে সময় সংবাদ তার পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি।
১ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে ওই ব্যক্তি উর্দুতে যা বলেন, তার বাংলা অনেকটা এরকম, “১৫-১৬ বছর পর আমরা এখানে উর্দু ভাষায় কথা বলছি এবং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারছি। এ জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজকদের ধন্যবাদ। মিরপুর-মোহাম্মদপুরে আমাদের বাপ-দাদারা বসবাস করতেন, তারা পাকিস্তানের পক্ষে মারা গেছেন। ভারত থেকে বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান হয়েছিল এই দেশ। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ সাহেব না থাকলে এশিয়া মহাদেশে মুসলিমদের জন্য কোনো দেশ থাকত না। তার জন্য আমরা পাকিস্তান পেয়েছি, যেখানে আমরা মুসলমানরা সম্মানের সাথে ধর্মপালন করতে পেরেছি। ১৯৭১ সালে ভারত যুদ্ধ করে আমাদের এ দেশকে দুভাগ করে দিয়েছে। পঞ্চাশ-ছাপ্পান্ন বছর ধরে আমাদের বাপ-দাদারা এই পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখে গেছেন। এজন্য আজ আমাদের এখানে পাকিস্তানের সবাইকে দেখে আর এ অনুষ্ঠানে এসে খুব খুশি লাগছে। ইনশাআল্লাহ, আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।”
অনুষ্ঠানে নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মো. সামসুদ্দিন বলেন, “৫ আগস্ট আমাদের বিজয় দিবস, এটিই আমাদের স্বাধীনতা দিবস।”
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার কামরান ধাঙ্গাল বলেন, “মুসলিম লীগে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর নেতৃত্ব ছিল অসাধারণ। সমগ্র ভারতে মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গণআন্দোলনের সূচনা ছিল এটি।#

নার্সারীতে সফলতা পেয়ে নার্সারী নুরুল ইসলাম সাত বার অর্জন করেছেন জেলা প্রশাসনের সম্মাননা পদক

ফেইসবুকে আমরা

এ সম্পর্কিত আরো খবর...

error: Content is protected !!
error: Content is protected !!