শিরোনাম
সংবিধান যে ক্ষমতার মসনদ বানিয়েছে, তাতে যেই বসে সেই স্বৈরাচারী হতে পারে – জোনায়েদ সাকি
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘সংবিধান যে ক্ষমতার মসনদ বানিয়েছে, তাতে যেই বসে সেই স্বৈরাচারী হতে পারে। কারন সমস্ত ক্ষমতা একজনের হাতে কেন্দ্রীভূত। উপরে আল্লাহ আর নিচে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তার কোন জবাবদিহিতা নেই। জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধির ক্ষমতা হতে হবে সীমিত। অথচ উল্টো সব ক্ষমতা দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর হাতে। তাই তারা আমাদের বুড়ো আঙুল দেখায়।
মানুষের ক্ষমতা হচ্ছে ভোট, তাই সেটাই বার বার কেড়ে নিতে চেয়েছে, ভোটের অধিকার ক্ষুন্ন করেছে। জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধি জনগনের অধীনে থাকবে সেই ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বৈষম্যহীন রাষ্ট্র নির্মান ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠায় আয়োজিত গণসংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজনের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী সমন্বয়ক অঞ্জন দাসের সঞ্চালনায় সংলাপে অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যাতে কেউ আগামীতে গণতন্ত্রের নামে ফ্যাসিবাদ, মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করতে না পারে। তার জন্য প্রথম শর্ত হচ্ছে ক্ষমতার ভারসাম্য। আওয়ামী লীগ আমলে বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের নামে লাখো মামলা দেয়া হয়েছে। বাড়িতে থাকতে দেয়া হয়নি। এটা কোন গণতন্ত্র না। আমরা এমন গণতন্ত্র চাই যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে সংখ্যালঘিষ্ঠরা মর্যাদা নিয়ে থাকতে পারেন। সকল নাগরিক যেন তাদের মর্যাদা পায়।
সাকি আরও বলেন, আমরা বলেছি ২ বারের বেশী কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকতে হবে। দেশের স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালীকে করতে হবে। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। বিচার বিভাগ হতে হবে স্বাধীন।
সংসদে এখন সব হাততোলা এমপি। কারন বিপরীতে ভোট দিলেই মেম্বারশীপ বাতিল। সরকার গঠন আর বাজেট ব্যাতিত সমস্ত ক্ষেত্রে ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করতে হবে। যেন এমপিরা জনগণের স্বার্থে দলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে পারে। এভাবে সরকার, বিচার বিভাগ ও সংসদে জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। তাহলে আর কেউ চাইলেই আপনার আমার গলা চেপে ধরতে পারবে না।
গণসংলাপে অন্যান্যদের ভেতর বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, খেলাফত মজলিসের মহানগর সেক্রেটারি ইলিয়াস হোসাইন, জেএসডির মহানগর সভাপতি মোতালেব মাস্টার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সেক্রেটারি মাহমুদ হোসেন। #