জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশে কোন স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায়না বিএনপি – মির্জা আব্বাস


নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জে জনসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আওয়ামীলীগের দোসররাই ভারতে বসে দেশে ছিনতাই, হত্যাকান্ড চালিয়ে দেশকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র করছে। এদেশের মানুষ চক্রান্তকারীদের চেড়ে দিবে না।
তিনি বলেন, এই সরকার আগে স্থানীয় নির্বাচন করে পায়ের নিচে মাটি করতে চাচ্ছেন, যারা আগে স্থানীয় নির্বাচন করতে চায় তাদের কোন দূরবিসন্ধি আছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে দেশে কোন স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিএনপি চায় না। এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে বিএনপি সতেরো বছর রাজপথে আন্দোলন করেছে পাঁচ হাজার নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে।
সংস্কার যা করার করেন। নির্বাচনের কথা যারা বলে তারা নাকি জাতীয় শত্রু। তাহলে বলে দেন বাংলাদেশে আর কোন নির্বাচনের দরকার নাই। যেটি হাসিনা বলেছিলো। কিন্তু গণতন্ত্রের প্রয়োজনে নির্বাচন আমরা চাই। আমরা কথা বলতে চাই। আমরা ভোটের অধিকার চাই।
বিদেশ থেকে প্রশিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠানিক লোক এনে পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে বাংলাদেশী সেনাদের হত্যা করা হয়। পিলখানার বিডিআর হত্যাকান্ডের ঘটনায় কারাবন্দিদের অবিলম্বে বিনাবিচারে কারাগার থেকে মুক্তি দিতে হবে।
কেউ কেউ বিএনপিকে ভারতের তাবেদার বানাতে চায়, বিএনপি ভারতের তাবেদারি করে না। তাহলে জিয়াউর রহমানের মৃত্যু হত না।
আজ মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারী বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডনচেম্বার এলকার সড়কে
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখার দাবিতে, অবনতিশীল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির দাবিতে, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এবং রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন জনদাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এসবকথা বলেন।
মির্জা আব্বাস আরো বলেন, দ্রব্যমূল্য অনেক বেড়ে গেছে। মানুষ আজ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। আওয়ামীলীগের সময় ব্যাবসায়িরা যে সিন্ডিকেট করেছে সেই সিন্ডিকেট এখনো ভাঙ্গে নাই। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয় নাই। এই সিন্ডিকেট না ভাঙ্গলে কোনদিনও দ্রব্য মূল্য কমবে না। সেই সব ব্যাবসায়িদের অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কিন্তু তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এই নারায়ণগঞ্জে অনেক কুলাঙ্গার আছে, তারা আজকে ঘরে বসে আছে। তারা ভারতের সাথে কথা বলে বাংলাদেশকে অস্থির করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। অনেকে বলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হলে দেশ চালানো যাবে না। অনেকে আবার তাদের অফিস পরিদর্শন করেছেন। এদের বিরুদ্ধে মামলা থাকার পরেও গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেনো জাতি জানতে চায়। এই সরাকের এসব বিষয়ে একটি বিহিদ করা উচিত।
সমাবেশে জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিবের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়গঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভ্ইুয়া দীপু, সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খাঁন, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খাঁন টিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধানসহ অন্যরা।#