শিরোনাম
লায়নিজমের নেতৃত্বে আস্থার প্রতীক লায়ন রানা’কে ২য় ভাইস জেলা গভর্নর পদে ভোটদিন


নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ লায়নিজমের নেতৃত্বে আস্থান প্রতীক লায়ন এমরান ফারুক মইন রানা’কে ২য় ভাইস জেলা গভর্নর পদে ভোট দিন।
লায়ন রানাকে কেন ভোট দিবেন ?
লায়ন এমরান ফারুক মইন রানা’র জীবন পরিচিতি
লায়ন এমরান ফারুক মঈন রানা ১৯৭০ সালে নারায়নগঞ্জ জেলার একটি বনেদী মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর দাদা মঈনুদ্দীন আহমেদ ছিলেন বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার এবং বর্তমান চুয়াডাঙ্গা জেলার অধিবাসী। ১৯৪৮ সালে পাট ব্যবসার হাত ধরে প্রাচ্যের ড্যান্ডি খ্যাত নারায়ণগঞ্জে আসেন এবং নিজের কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায় দিয়ে তৎকালীন পুর্ব পাকিস্থানের প্রথম সারির পাট ব্যাবসায়ীদের মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
এমরান ফারুক মঈন রানার পিতা, পিডিজি ফারুক মঈন ছিলেন পরিবারের বড় সন্তান এবং তিনি পড়ালেখা শেষে পৈত্রিক ব্যবসা সফলতার সাথে পরিচালনা করেন।
জন্মলগ্ন থেকেই লায়ন রানার পরিবারে অত্যন্ত উদার পরিবেশ ছিল। তাঁর দাদা-দাদী দুজনেই ছিলেন অত্যন্ত উন্নত মনের এবং আধুনিক চিন্তার মানুষ। ১৯৭৫ সালে লায়ন রানার পিতা জনাব ফারুক মঈন এবং মাতা এমরাতুন ফারুক দুজনেই লায়নিজমে যোগদান করেন, তাঁর দাদা-দাদীর উৎসাহে।
লায়ন রানার পিতা শ্রদ্ধেয় পিডিজি ফারুক মঈন লায়ন্স ক্লাব অফ নারায়ণগঞ্জের ১৯৮১-৮২ সালে সভাপতি ছিলেন এবং ১৯৯৩-১৪ লায়নবর্ষে লায়ন্স জেলা ৩১৫এ র গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর কল ছিল “কেয়ার অ্যান্ড শেয়ার”।

*
লায়ন রানার মাতা শ্রদ্ধেয় এমরাতুন ফারুক লায়ন্স ক্লাব অফ নারায়ণগঞ্জে যোগদান করেন। সে সময় লেডি লায়নদের জন্য ছিলো লায়নেস ক্লাব। তিনি লায়নেস ডিস্ট্রিক্ট এর রিজিয়ন চেয়ারপার্সন, ডিস্ট্রিক্ট সেক্রেটারি এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু পরবর্তীতে লায়নেস ডিস্ট্রিক্ট প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য যখন মনোনীত হন, তখন প্রিয়পুত্র রানার এসএসসি পরীক্ষা। মায়ের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ডিস্ট্রিক্ট প্রেসিডেন্ট হওয়ার দায়িত্ব তিনি গ্রহণ করেননি।
লায়ন এমরান ফারুক মঈন রানার ছোটবেলা থেকেই বাসায় একটি লায়নস্টিক পরিবেশ ছিল। বাসায় সব সময় নায়ন্স ক্লাবের প্রোগ্রাম নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করতো। এই পারিপার্শ্বিক পরিবেশই তাকে পরবর্তী জীবনে লায়ন্স ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রেরণা জুগিয়েছে।
সে উৎসাহ থেকেই লায়ন এমরান ফারুক মইন রানা ১৯৮৭ সালে লিও ক্লাব নারায়ণগঞ্জ সেন্ট্রালের লিও হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে লায়ন্স ক্লাবের সেবার অঙ্গনে পদার্পণ করেন। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে ১৯৯৩-১৪ বর্ষে নিও ক্লাব অফ নারায়ণগঞ্জ সেন্ট্রালের প্রেসিডেন্ট, লিও জেলার কেবিনেট মেম্বার এবং রিজিয়ন চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
*

লায়ন ক্লাবের যাত্রা:
তিনি ১৯৯৮ লায়নবর্ষে নায়ন্স ক্লাব অফ নারায়ণগঞ্জে যোগদান করেন সহধর্মিনী নায়ন সাদিয়া আফরোজ মুক্তি কে নিয়ে। সেই সময় তাঁর লায়ন্স অঙ্গনে পথ চলা শুরু হয়।
লায়ন রানা ২০০৭-২০০৮ সেবা বর্ষে লায়ন্স ক্লাব নারায়ণগঞ্জের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর থেকেই লায়ন্স জেলায় সম্পৃক্ততা শুরু। ২০১০-১১ বর্ষে লায়ন জেলার জোন চেয়ারপার্সন এবং ২০১৪-১৫ লায়নবর্ষে রিজিয়ন চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে মাননীয় জেলা গভর্নরবৃন্দ দ্বারা অর্পণকৃত বিভিন্ন দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেন। ২০১৮-১৯ লয়নবর্ষে জেলা গভর্নর ছিলেন লায়ন হাবিবা হাসান পিএমজেএফ, যিনি এক লক্ষ মানুষের ডায়বেটিস স্ক্রিনিং এবং রোগ নির্ণয় করার লক্ষ্য নিয়েছিলেন। লায়ন হাবিবা হাসান এই প্রজেক্টের দায়িত্ব দিয়েছিলেন লায়ন এমরান ফারুক মইন রানাকে। লায়ন এমরান এক লক্ষ ব্যক্তির ডায়বেটিস রোগ নির্ণয় এবং সচেতনতায় কাজ করেন। পুরো প্রজেক্টটি অর্থায়ন করেছিলেন তৎকালীন গভর্নর, কিন্তু নিষ্ঠার সাথে কোঅর্ডিনেট করেছিলেন লায়ন রানা। এরপর তিনি নারায়ণগঞ্জ কোঅর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরবর্তীতে লায়ন জেলার সবচেয়ে বড় আয়োজন কনভেনশনের দায়িত্ব পালন করেন ২০২১-২২ লায়নবর্ষে, যা এখনো পর্যন্ত জেলা ৩১৫এ ২ এর সবচেয়ে সফল এবং আনন্দময় কনভেনশন হিসাবে এই জেলার সদস্যদের মুখে মুখে সমাদৃত হয়।
*
লায়ন এমরান ফারুক মঈন রানার সুযোগ্য জীবন সঙ্গিনী সাদিয়া আফরোজ মুক্তি একই সময়ে লায়ন রানার হাত ধরে লায়ন্স ক্লাব অফ নারায়ণগঞ্জে যোগদান করেন এবং লায়ন জেনা কেবিনেট সদস্য হিসেবে জোন চেয়ারপার্সন, রিজিয়ন চেয়ারপার্সনসহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রজেক্টের দায়িত্বে ছিলেন। লায়ন মুক্তি পরপর তিন বছর জেলার গ্লোবাল একশন টিমের ফ্যামিলি এবং ওমেন এফেয়ার্স এর দায়িত্ব পালন করেন।
*
নায়ন এমরান ফারুক মঈন রানার সুযোগ্য জীবন সঙ্গিনী সাদিয়া আফরোজ মুক্তি একই সময়ে লায়ন রানার হাত ধরে লায়ন্স ক্লাব অফ নারায়ণগঞ্জে যোগদান করেন এবং লায়ন জেনা কেবিনেট সদস্য হিসেবে জোন চেয়ারপার্সন, রিজিয়ন চেয়ারপার্সনসহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রজেক্টের দায়িত্বে ছিলেন। লায়ন মুক্তি পরপর তিন বছর জেলার গ্লোবাল একশন টিমের ফ্যামিলি এবং ওমেন এফেয়ার্স এর দায়িত্ব পালন করেন।
*
লায়ন রানা প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৪ সালে ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স করেন এবং তিনি প্রফেশনাল জীবনে একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি নিট গার্ডেন, নিট গার্ডেন প্রাইভেট লিমিটেড, সারাফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজের কর্নধার এবং চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তার সুযোগ্য সহধর্মিনী নায়ন মুক্তি ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি (অনার্স) এলএনএম সম্পন্ন করে, সুপ্রিম কোর্টের একজন সফল আইনজীবী।
ব্যক্তিগত জীবনে নায়ন এমরান ফারুক মঈন রানা এবং সাদিয়া আফরোজ মুক্তি দুই সন্তানের গর্বিত জনক জননী। বড় মেয়ে সারাফ রুমালি গল্প, মেলবোর্ন মোনাশ ইউনিভার্সিটি থেকে আর্কিটেকচারাল ডিজাইনে মাস্টার্স করছেন। কিছুদিন আগেই মেয়ের বিবাহ হলো, জামাতা মেলবোর্নেই সাইবার সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন। ছোট ছেলে মাহির তাজওয়ার মইন। মাহির মেলবোর্নে সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করছেন।
নায়ন এমরান ফারুক মঈন রানা অত্যন্ত বিনয়ী, বন্ধুবৎসল, উদ্যোমী, সৎ একজন মানুষ। কারো সাথে উচ্চস্বরে কথা বলা বা ব্যথিত করা তাঁর স্বভাববিরোধী। নিজ পিতার লায়নিজমের গর্বিত ইতিহাস ব্যবহার করে তিনি চাননি লায়ন জেলার নেতৃত্ব করতে, বরং চেয়েছেন সকলের ভালোবাসা নিয়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে সকলের মনের মনিকোঠায় স্থান করে নিতে।
লায়ন এমরান ফারুক মঈন রানার ৩৭ বছরের লায়নিজমের ইতিহাস লায়ন মনস্ক একজন পুর্নাঙ্গ মানুষ হিসেবে নিজেকে নিবেদনের ইতিহাস। এই ইতিহাসের সফল সমাপ্তি হবে জেলার সর্বোচ্চ নেতৃত্ব নিজের যোগ্যতা, কর্মদক্ষতা প্রমাণের মধ্য দিয়ে।#
