শিরোনাম
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রতিক্রিয়া / মাসুদুজ্জামান মাসুদের জনপ্রিয়তার ভয়ে অনেকেই অপপ্রচার চালাচ্ছে


নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের মানুষ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যোগ্য মানবিক ও সমাজ সেবক একজন প্রার্থী চায়। এর মধ্যে বেশ করেকজন প্রার্থী নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর মধ্যে একজন প্রার্থী মডেল গ্রুপের চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান মাসুদ।
তবে কয়েকজন রাজনৈতিক তার জনপ্রিয়তা দেখে অনেকটা ভয়ে মাসুদুজ্জামান মাসুদকে জড়িয়ে নানারকম অপপ্রচার বিতর্কিত রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে জনগনের কাছে তার জনপ্রিয়তা ভাটা আনতে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন।

সম্প্রতি আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান তার বক্তব্যে বলেছেন, সাবেক এমপি সেলিম ওসমানের প্রেসপিকশনে মাসুদুজ্জামান মাসুদ মাঠে নেমেছে। তার এই বক্তব্যে সাধারন জনগনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃস্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার ভোটারদের সাথে কথা বল্লে তাদের প্রতিক্রিয়ার তারা জানিয়েছেন, মডেল গ্রুপের চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামন মাসুদকে কখনোই আমরা সেলিম ওসমানের রাজনীতি করতে দেখিনি। তিনি বরাবরই একজন সতন্ত্র সমাজসেবক। কোন ফায়দা লুটতে নিজের স্বার্থ হাসিল করতে কখনো কিছু করতে দেখিনি। মডেল মাসুদকে জড়িয়ে এমন বিতর্কিত বক্তব্য প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ব্যাবসা করার ফাঁকে সুযোগ তৈরী করে
সবসময় মডেল মাসুদ মানুষের সেবায় কিছু না কিছু সেবামূলক কাজ করেছেন।
আমরা দেখেছি বিগত করোনার দুঃসময়ে আমাদের নারায়ণগঞ্জের চিকিৎসা সেবার মান শিথিল রাখতে চীন থেকে পিপি, মাস্ক ( বিশেষ পোশাক) আমদানী করে নারায়ণগঞ্জ দুটি হাসপাতালের চিকিৎসক, জেলা প্রাশাসন সিভিল সার্জন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ও সাংবাদিকদের আমদানী করা পিপি মাস্ক সরবরাহ করেছেন। করোনার সময় এই ধরনের পিপি পাওয়া খুবই দুঃসাধ্য ছিল কিন্তু নারায়ণগঞ্জের মানুষের কথা বিবেচনা করে তিনি এ সেবার কাজটি চালিয়ে গেছেন।
এছাড়া মসজিদ মদ্রাসা, সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে তিনি ব্যাক্তিগত ভাবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সবসময়।
গরুর মাংসের দাম আকাশছোয়া হয়ে পড়ায় মধ্যবিত্ত ও শ্রনিক শ্রেনীর মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়৷ সেসময় মডেল গ্রুপের মাসুদুজ্জামান মাসুদ ব্যাক্তিগত উদ্যোগে গরুর মাংস বিতরনের উদ্যোগ নেয়।
এমন উদ্যোগ তখন সর্বমহলের মানুষ বেশ প্রশংসা করেছেন।

মানুষের জন্য ভাল কিছু করতে মনমানুষিকতা লাগে এটা মাসুদুজ্জামান মাসুদের আছে।
এখন নির্বাচনের প্রার্থী হতে প্রতিযোগিতার মাঠে মাসুদুজ্জামান মাসুদের সাথে হেড়ে যাওয়ার ভয় ও হিংসাত্মক মনভাবে কিছু রাজনৈতিক নেতা তাকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিচ্ছেন। এতে সাধারন মানুষের কিছু যায় আসে না।
নারায়ণগঞ্জের মানুষ সঠিক সময়ে তাদের মনোনিত যোগ্য প্রার্থীকে ভোটের মাধ্যমে বেছে নেওয়ার অনেক নজির ইতিহাস হয়ে আছে।
এদিকে কয়েকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষকের সাথে এ বিষয়ে কথা বল্লে তাদের প্রতিক্রীয়ায় জানিয়েছেন,
নারায়ণগঞ্জ শিল্পবানিজ্য নগরী এ অঞ্চলের প্রতিটি আসনে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত না হলে এলাকা ও ব্যাবসায়ী উন্নয়নের সঠিক মানদণ্ড নির্নয় হবে না। এখন প্রশ্ন হলো নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন হবে কিভাবে। দলের প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে অবশ্যই আসন বা এলাকার উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে একজন সৎ যোগ্য সেবার মনোভার মানুষিকতার প্রার্থীকে বেছে নিতে হবে। এ দিক থেকে মডেল গ্রুপের চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান মাসুদ সার্বিক দিক থেকে একজন পরিপূর্ণ যোগ্য প্রার্থী। তার এ যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা অনেকেই ভয় পাচ্ছে।
এ কারনে নানা কৌশলে তাকে বিতর্তিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে তার অনেকটা উপকারই হচ্ছে। কারন সাধারন ভোটাররা অনেক সচেতন। আপনি চাইলেই ইচ্ছে মত কিছু প্রচার করলেন আর তা জনগন লুফে নেবেনা।
ব্যবসায়িক সাফল্য, শিল্পোন্নয়ন ও সমাজসেবার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন মাসুদুজ্জামান মাসুদ, তিনি শুধু একজন সফল ব্যবসায়ী নন, বরং সমাজের বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো এক মানবিক ব্যক্তিত্ব। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী হিসেবে তার নাম এখন এলাকায় আলোচনার শীর্ষে।
ব্যবসায়িক ও শিল্পোন্নয়নে অবদান
মাসুদুজ্জামান মাসুদ দীর্ঘদিন ধরে সফলভাবে [ব্যবসার ক্ষেত্রে মডেল গ্রুপ নিয়ে কাজ করছেন। তার প্রতিষ্ঠিত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে হাজার হাজার বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন, টেকসই উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের অন্যতম উপায় হলো কর্মসংস্থান সৃষ্টি। তার ব্যবসায়িক নীতি সবসময় ছিল স্বচ্ছতা, সততা ও সেবার মানসিকতা।
সমাজসেবামূলক কার্যক্রম
শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দুঃস্থ মানুষের কল্যাণে তার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি এলাকায় বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও সহায়তা করেছেন। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের নিয়মিত বৃত্তি প্রদান করেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবায় অবহেলিত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন । করোনাকালে অসংখ্য পরিবারকে তিনি খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছেন, যা স্থানীয় মানুষের মনে গভীরভাবে দাগ কেটেছে।
জনমানুষের আস্থা
স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করা মাসুদুজ্জামান মাসুদ এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। গ্রাম থেকে শহর, সর্বত্রই তিনি সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকেন। স্থানীয় এলাকাবাসিরা জানিয়েছেন, “আমরা যখন সমস্যায় পড়ি, প্রথমে মাসুদুজ্জামান মাসুদ এর কাছে যাই। তিনি সবসময় সমাধান খুঁজে দেন।”
সম্প্রতি বিভিন্ন মতবিনিময় সভায় মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেছেন, আমি করি, রাজনীতি হলো মানুষের সেবার সর্বোচ্চ মাধ্যম। ব্যবসা ও সমাজসেবায় অর্জিত অভিজ্ঞতাকে তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে কাজে লাগাতে চান। তিনি বলেন, “আমার লক্ষ্য শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়া নয়; বরং এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নত করা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো ও কর্মসংস্থানের উন্নয়নই হবে আমার প্রধান অঙ্গীকার।”
এলাকাবাসীর মধ্যে মাসুদুজ্জামান মাসুদের প্রার্থিতা নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তরুণ প্রজন্ম মনে করছে, মাসুদুজ্জামান মাসুদ আধুনিক নেতৃত্বের দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারেন। অনেকেই বলছেন, যদি তিনি সংসদে যান, তবে এলাকার দীর্ঘদিনের অবহেলিত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হবে।
মাসুদুজ্জামান মাসুদ ব্যবসায়ী-শিল্পপতি হয়েও নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি শুধু ব্যক্তিগত উন্নয়নে। বরং সমাজের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। আসন্ন নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পেলে স্থানীয় জনগণের মধ্যে যে ইতিবাচক সাড়া তৈরি হবে, তা নতুন রাজনীতির ধারা সূচনা করতে পারে।
মাসুদুজ্জামান মাসুদকে ব্যাক্তগত আক্রশ ও তার জনপ্রিয়তার ভয়ে নানা রকম অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। #
