শিরোনাম
মাসুদুজ্জামান মাসুদ সু'দিনের পাখি নয় / জেলখানায় বিএনপির নেতাকর্মী মাসুদের আর্থিক সহোগিতা পেত – কামাল


নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ অনেকে বলেন, মডেল মাসুদুজ্জামান মাসুদ সু’দিনের পাখি। মাসুদ সু’দিনের পাখি নয়। বিগত ১৬ বছরে কঠোর আন্দোলনে বিএনপিকে যে সহযোগিতা করেছে তার এই অবদানের কথা আজ যদি না বলি এটাও হবে এক ধরনের মুনাফেকি।
সংবাদ সম্মেলনে এটিএম কামাল যা বল্লেন ভিডিও লিংক।

বিগত ১৬ বছর পর্দার আড়ালে থেকে বিএনপিকে কঠোর আন্দোলনে আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করে গেছেন মাসুদুজ্জামান মাসুদ । সে সময় আন্দোলনে প্রতিদিন গ্রেফতার হওয়া বিএনপির শত শত নেতাকর্মীদের জেলখানায় আর্থিকভাবে সহযোগিতার যোগান দিতেন মডেল গ্রুপের চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান মাসুদ। তার এই সহযোগিতাই ছিল আমার আন্দোলন সংগ্রামের শক্তি। আমার মনে হয় আজ যদি আমি মডেল মাসুদের এই অবদাবের কথা না বলি এটাও হবে এক ধরনের মুনাফেকি।
সোমবার ২৫ আগস্ট দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে দল-মত-বিশ্বাস-দর্শন যার যার, কিন্তু দেশটা আমাদের সবার লেখা, শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে এটিএম কামাল এসব কথা বলেন। এসময় তার সাথে তার সহধর্মিণী উপস্থিত ছিলেন।
তিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন,
বিগত ১৬ বছরে কঠোর আন্দোলনে আমি যে সমর্থনটা পেয়েছি জনগনের কাছ থেকে। অনেকে মনে করেছে বিএনপির কোন লোক নেই, এটিএম কামাল একাই ওয়ান ম্যান সোলজার। না আমার কিন্তু একটা মানুষিক শক্তি ছিল। কি শক্তি ছিল ? পর্দার অন্তরাল থেকে আমাকে অনেকেই অনেক সাপোর্ট দিয়ে গেছে। আমার মনে হয় এটা যদি আমি আজকে না বলি এটাও হবে এক ধরনের মুনাফেকি।
সংবাদ সম্মেলনে এটিএম কামাল আরো বলেন,
১৬ বছর যারা পর্দার অন্তরাল থেকে নিরবে বিএনপিকে সাপোর্ট করেছে। তারা কেউ বিএনপির সদস্য, পদপদবি, বা নাধারি কোন নেতা ছিল না। কেউ হয়তবা শিল্পপতি ছিল, কেউ উকিল ছিল, কেউ সাধারন মানুষ ছিল, সাধারন নাগরিক ছিল তারপরও তারা আমাকে সহোযোগিতা করে সাপোর্ট দিয়ে গেছে। আমাকে যখন কোর্টে হাজিরা দিতে নিয়ে আসতো একদিন এক ভিক্ষুক আমার পকেটে টাকা দিয়ে বলেছে, কামাল ভাই জেলখানায় অনেক কষ্ট এ টাকাটা আপনি কিছু খাবেন। এ ১৬ বছরের আন্দোলনের লড়াইটা এত সহজ ছিল না। আমার বিরুদ্ধে ২৪ টা মামলা দেওয়া হয়েছিল। আজকে অনেকেই বলে ওমুক শিল্পপতি সুদিনের পাখি। আজকে আইসা লাফ দিয়ে পড়ছে। আসলে কিন্তু তা সত্য না আমি নামটাই বলি। মডেল গ্রুপের চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান মাসুদ ১৬ বছরে তার যে অবদান আমি এটা কিভাবে অস্বীকার করি। আমি যখন আকরাম সাহেবের মিটিংয়ের সভাপতিত্ব করলাম তখন আমার ছেলে টাকে ধরে নিয়ে গেল। তখন আমি পলায় ছিলাম আমার পরিবারকেও আমার আত্মীয় স্বজন জায়গা দেয়নি। আমি অনেকের বাড়িতে থাকতে চেয়েছি তখন তারা বলেছে আমাদের বাড়িতে পুলিশ আসবে। তখন ঢাকা রেল স্টেশনে বসে ছিলাম। পরে রেল স্টেশন থেকে গেলাম গ্রীনলাইন বসাষ্ট্যান্ডে। চিন্তা করতাছিলাম অন্য কোথাও চলে যাই। কারন ঢাকা নারায়ণগঞ্জ সব খানেই সবাই আমাকে চেনে। পরে মডেল মাসুদের সাথে কাজ করে মনির নামে একজন বিএনপির কর্মী সে অনেক আগে থেকেই বিএনপি করে, আমার সবগুলো কমিটিতে সে ছিল। এই মনির আমার খোঁজ নিতে নিতে সেখানে গিয়ে আমাকে ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে এসে বলেছে, কামাল ভাই আপনি ঢাকার বাইরে কোথাও চলে যান, এখানে আপনি নিরাপদ না, এখানে থাকতে পারবেন না। আমি কিভাবে ভুলি সেই কথা। আমি যখন জেলখানাতে ছিলাম। সে সময় নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত বিএনপির নেতাকর্মী ধরে নিয়ে আসতো। সেখানে তাদের খাবার সহ অন্যান্য খরচ দিয়ে তাদের সহযোগিতা করেছি এটার সত্যতা খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন। জেলখানায় বিএনপির নেতাকর্মীদের আমার এই সহযোগিতার অর্থের যোগান দিত মডেল মাসুদ। এজন্য কিন্তু মডেল মাসুদকে অনেক যামেলা ফেস করতে হয়েছে।

তখন বিএনপির কেউ কেউ ওসমান পরিবারকে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছিল মডেল মাসুদ এটিএম কামালকে অর্থের যোগান দিচ্ছে। এ কারনে মাসদকে অনেক ধরনের ঝামেলা ফেস করতে হয়েছে।
তিনি আরো বলেন,
আমার কথা হলো দল থেকে কে নমিনেশন পাবে আমি এটা বলি না। এটা হলো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দল তারেক রহমান সাহেব ওনারা বিবেচনা করবেন। কিন্তু একটা দলের কিন্তু সকল শ্রেনী পেশার মানুষের প্রয়োজন আছে। আজকে মডেল মাসুদ বা প্রাইম বাবুল তাদের হয়তো সরাসরি দলের কোন পদপদবিতে না থাকলেও কিন্তু পিছন থেকে তারা দলকে ধারন করছে দলকে সহযোগিতা করেছে। আজকে কালাম ভাই বা শাখাওয়াত যদি দল থেকে নমিনেশন পায় তখন তাদের কিন্তু প্রয়োজন আছে। আজকে টিপুরও কিন্তু তাদের প্রয়োজন আছে।
আজকে আমি মনে করি বিএনপি যদি মনে করে এখন সুসময় এখন কারো প্রয়োজন নাই। এখনও আমাদের প্রয়োজন আছে বিএনপি সর্বশ্রেনীর লোকজনদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, সবাইকে নিয়া ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমরা দলটাকে আগায় নিয়া যাই। আমাদের চিন্তা করতে হবে ধানের শীষই আমাদের প্রার্থী এখানে কোন ব্যাক্তি আমাদের প্রার্থী না। এবং তার জন্যই আমাদের কাজ করতে হবে এবং এটাই হতে হবে আমাদের বিএনপির নেতাকর্মীদের মূলমন্ত্র। #
