বুয়েট শিক্ষার্থী পরশকে হত্যা করা হয়ে, মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ রাজধানীর রামপুরা থেকে নিখোঁজের তিনদিন পর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার হওয়ায বুয়েট সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীর ফারদিন নূর পরশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরশের মৃত্যু হত্যাকান্ড বলে নিশ্চত করেছেন ময়না তদন্তের ডা. ফরহাদ হোসেন।ময়না তদন্তে তার মাথায় বিভিন্ন স্তরে আঘাত সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পূর্বসত্রুতাল এই হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকতে পাওে বলে পরিবারের দাবী। তারা এ হত্যাকান্ডে বিচার চান।
রাজধানীর রামপুরা থেকে নিখোঁজের তিনদিন পর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশ নামে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের বনানীঘাট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে শিক্ষার্থীর ফারদিন নূর পরশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়না তদন্তে তার মাথায় বিভিন্ন স্তরে আঘাত সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়না তদন্তের চিকিৎসক প্রথমিক ভাবে ধারনা করছে এটা হত্যাকান্ত।
ময়না তদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর কছে নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানা পুলিশ। দুপুরে ফারদিনের প্রথম জানাজা হবে বুয়েটে। বিকেলে ডেমরা সামসুল হক স্কুল ও কলেজে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পৈতৃক ভিটা নারায়ণগঞ্জের দেলপাড়ায় তৃতীয় জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হবে।
ময়না তদন্তের ডা. ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় যে পরিমাণ আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে তাতে নিশ্চত এটি হত্যাকান্ড। তিনি বলেন, ‘ফারদিনে মাথায় ও বুকে অসংখ্য আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা ধারণা করছি তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তার ভিসেরা টেস্টের পর বিস্তারিত আরও জানতে পারব।’
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর বনানী ঘাট এলাকা থেকে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ফারদিন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। ভর্তিপরীক্ষার সময় বুয়েট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছিল। বুয়েট ডিবেট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ছিল ফারদিন। ওয়াল্ড ইউনিভার্সিটির ডিবেট চেম্পিয়ন শীপ হিসেবে আগামী জানুয়ারি মাসে স্পেন যাওয়ার কথা ছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে ধারণা করছেন ফারদিনের মেধার কারণে ঈর্ষান্বিত হয়ে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে। নিহতের স্বজনরা এ নিম
নিহত ফানদিনের বাবা নূর উদ্দিন জানিয়েছেন নিখোঁজের একদিন পর ৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় একটি জিডি করেছিলেন। তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার দেলপাড়া হলেও বর্তমানে রাজধানীর ডেমরা থানার কোনাবাড়ি এলাকায় তারা বসবাস করছেন। ফারদিনের বাবা জানা, যারাই ফারদিনকে হত্যা করেছে তারা পরিকল্পনা করে হত্যা করেছে। আমার ছেলে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে নেই। সে ভালো ছাত্র। এ হত্যার বিচার চাই আমরা।
বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের ময়না তদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর কাছে নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানা পুলিশ। এ সময় সাব ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলাম বলেন, ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার দেয়ার পর মামলা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকারীদেও গ্রেফতার ও আইনহত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। #