শিরোনাম
স্মৃতিচারণ / আইয়ুব আলী জীবনের ভারে ক্লান্ত হলেও বিএনপির প্রতি অবিচল – মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ
নারায়ণগঞ্জের খবর রিপোর্টঃ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানে আদর্শের একজন সৈনিক আইয়ুব আলী। তিনি পেশায় একজন রিক্সা চালক। বর্তমানে জীবনের ভারে ক্লান্ত হলেও এখনো বিএনপির প্রতি অবিচল আছেন আইয়ুব আলী। বিএনপি’র দুঃসময়ে আইয়ুব আলীর অবদানের কথা তুলে ধরে মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ – ৫ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ তার ফেসবুকে স্টাটাস দেন।

তার ফেসবুকে স্টাটাসে তিনি লিখেন, ফি আমানিল্লাহ যার কাছে আমি ঋণী,বিএনপিও ঋণী।এই আইয়ুব আলী ভাই পেশায় একজন রিক্সা চালক।(তার পেশা উল্লেখ করলাম তার দল প্রীতির গভীরতা অনুভব করার জন্য)।১৯৯৬ সালে তৈমুর ভাই বিএনপিতে যোগ দেয়ার পরে আমাদের বাড়ীঘর ও আমরা অবরুদ্ধ হয়ে পরি।আমাদের বাড়ীতে এলাকার কারো যাওয়া আসা নিষিদ্ধ করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এমন কি আমাদের ঈদের বাজারও পর্যন্ত তারা তল্লাশি করতো।সাথে পুলিশ এসে বলতো তারা খবর পেয়েছে বস্তা ভর্তি গোলাবারুদ আমাদের বাসায় মজুত করা হযেছে,যা আসলে ঈদের বাজার।

এক পর্যায়ে আমরা তিন ভাই মাসদাইর ছাড়তে বাধ্য হই।যার অকাট্য প্রমাণ আমি প্রথম কাউন্সিলর নির্বাচিত হই ৫২ সিরাজদৌল্লাহ রোড,চাড়ারগোপের ঠিকানায়।কারন তখন নিজ বাড়ীর ঠিকানায় ভোটার হওয়া সম্ভব ছিল না।এমন নির্মম সময়ে যারা আমার সাথে মাসদাইরে বিএনপি করার মত যারা সাহস করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল এই আইয়ুব আলী ভাই। বিএনপি করার অপরাধে এই আইয়ুব আলীর নিজস্ব রিক্সাটি নিয়ে গিয়েছিল আওয়ামী ক্যাডাররা।রিক্সা হারিয়ে আইয়ুব আলী জীবিকার তাগিদে তখন নাইট গার্ডের চাকরী করতেন।বয়স ও জীবনের ভারে ক্লান্ত হলেও এখনো তিনি বিএনপির প্রতি অবিচল।আইয়ুব আলী ভাই মারাত্মক অসুস্থ। আজ গিয়েছিলাম তার খোজ খবর নিতে।
সেই অস্থির সময়ে আরো আমার পাশে ছিলেন এইচ এম আনোয়ার প্রধান,সুকুমার দাস,মনির মামা,রহিম শেখ,বিপ্লব সহ আরো কয়েকজন সাহসী মানুষ।সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা।
@ মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ



