নারায়ণগঞ্জ  শনিবার | ১৭ই মে, ২০২৫ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ গ্রীষ্মকাল | ১৮ই জিলকদ, ১৪৪৬

শিরোনাম
  |   আইভীকে বিস্ফোরক আইনের দুটি মামলায় শোন এরেস্টের আদেশ   |   ইসলামী আন্দোলন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন শাখা পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত   |   সোনারগাঁয়ে প্রত্ন সম্পদ সংরক্ষণ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক   |   সাংবাদিক জিসান-মিথুনের মুক্তি দাবি রফিউর রাব্বির   |   বিকেএমইএ’র কার্যনির্বাহী সভাপতি হাতেম, ৭ সহ সভাপতি নির্বাচিত   |   মাদক বিক্রির টাকা ভাগভাটোয়ারা নিয়ে জিমখানায় যুবক হত্যা   |   আইভী ইস্যুতে মামলায় রিয়াদ সহ গ্রেফতার ৪   |   বিএনপি থেকে বিহিস্কৃত রিয়াদ মাহামুদ চৌধুরী বিমানবন্দরে আটক   |   আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে যুবক নিহত    |   গভীর রাতে অযথা রাস্তায় ঘুরাফেরার অপরাধে ৩ যুবক আটক   |   বন্দরে বজ্রপাতে ৮ম শ্রেণী শিক্ষার্থী নিরবের মৃত্যু   |   অটোরিক্সা চালক জামান মিয়া হত্যা মামলায় তিন আসামীর ফাঁসি   |   বাড়িতে ফেরার পথে পোশাকক শ্রমিককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ   |   আজাদ রিফাত ক্রিকেট ফেস্টিভাল সিজন -১ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত   |   ৭১ টিভি সাংবাদিক রিয়াজের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন বিক্ষোভ   |   আইভীকে গ্রেফতারের সময় বাঁধা প্রদান, হামলা মামলায় ৩ জন গ্রেফতার   |   জমি অধিগ্রহণের চেক প্রদান করেন জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা   |   লায়ন ডিস্ট্রিক্ট নির্বাচনে মনা, মহসিন, রানা নির্বাচিত    |   ইটভাটায় মাটি বিক্রি না করায় পুলিশের উপস্থিতিতে বৃদ্ধার ওপর হামলা   |   ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু, চলছে পাল্টাপাল্টি হামলায়, হতাহত | ৫ বিমান ভূপাতিত
 প্রচ্ছদ   কলাম   ফারদিনের মৃত্যু পরিবারের স্বপ্ন আকাঙ্খার অপমৃত্যু ! এ নদী এখন লাশের ভাগার— রফিউর রাব্বি 
ফারদিনের মৃত্যু পরিবারের স্বপ্ন আকাঙ্খার অপমৃত্যু ! এ নদী এখন লাশের ভাগার— রফিউর রাব্বি 
  কলাম || নারায়ণগঞ্জেরখবর.কম
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২২
রফিউর রাব্বিঃ ফারদিন নূর পরশ । ২৩ বছর বয়স । পৈত্রিক বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় , ঢাকায় থাকত । বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১৮ তম ব্যাচের মেধাবী ছাত্র । বুয়েটে মেধা তালিকায় তৃতীয় হয়েছিল ফারদিন । সে তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় । তার বাবা সাংবাদিকতা করেন । আর্থিক টানাপোরেনের সংসারে ফারদিন নিজে টিউশনি করে নিজের খড়চ চালিয়ে পরিবারে কিছুটা সহায়তা করতো । তাকে নিয়ে পরিবারে নানা স্বপ্ন তৈরী হয়েছিল । অথচ গত শুক্রবার নিখোঁজ হয় ফারদিন , আর তিন দিন পর গত পড়শু তার লাশ পাওয়া যায় । ঘাতকরা ছেলেটিকে হত্যা করে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে রাখে । এই শীতলক্ষ্যায় ভেসেছে অসংখ্য লাশ । ১৯৭১ সালে দেখেছি শতশত লাশ এই নদীতে ভেসে চলেছে । পাকিস্তানী ঘাতকরা বাঙালিদের হত্যা করে এই শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দিত । তারপর ত্বকী , আশিক , চঞ্চল , বুলু , সাতখুন অসংখ্য লাশ । এই নদী প্রতিনিয়ত বয়ে চলেছে লাশের মিছিল । এ মিছিল থামছেই না । এক সময় এই শীতলক্ষ্যার পানি ছিল এ অঞ্চলের মানুষের পানের একমাত্র অবলম্বন । তা বেশিদিন আগের কথা নয় । অথচ এখন এই নদী লাশের ভাগার । দেশ স্বাধীন হলেও ঘাতকরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় নি । বরং আরও শক্তিশালি হয়েছে । সরকারের ছত্রছায়ায় তারা এখন সর্বশক্তিমান । এদের আইনের আওতায় আনা যায় না । এ সবের বিচার হয় না । এইটি এক ফারদিনের মৃত্যু শুধু নয় , একটা পুরো পরিবারের স্বপ্ন আকাঙ্খার অপমৃত্যু ।#

গাছ লাগান পরিবেশ বাচাঁন, যোগাযোগ ভাই ভাই নার্সারী মোবাইল – ০১৭১২২৫৬৫৯১

ফেইসবুকে আমরা

এ সম্পর্কিত আরো খবর...

error: Content is protected !!
error: Content is protected !!