কলাম / রাইসার ছেঁড়া খাতা: মৃত্যুর মিছিলে শিশু, জবাবদিহিহীন রাষ্ট্র – শাহেদ কায়েস


শাহেদ কায়েসঃ মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের মৃত্যু শুধু একটি দুর্ঘটনা নয়—এটি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার চরম ব্যর্থতার উদাহরণ। শিশুদের ছেঁড়া খাতা, পোড়া ব্যাগ আর কান্নার ধ্বনি মিলিয়ে গড়ে ওঠে এক মর্মন্তুদ প্রতীক—যেখানে রাষ্ট্রের জবাবদিহি নেই, সেখানে খাতার মতো স্বপ্নও পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ধ্বংসস্তূপে পড়ে আছে রাইসা মনির ছেঁড়া খাতা। কেন ছোট্ট শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না—রাষ্ট্র কি পারবে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে?
বিডি নিউজে শাহেদ কায়েসের লেখাটি নারায়ণগঞ্জের খবর পঠকদের জন্য হুবহুব তুলে ধরা হলো।
পানিতে ভেজা, আধা ছেঁড়া একটি খাতা। মলাটের লেখা এখনও স্পষ্ট—রাইসা মনি, তৃতীয় শ্রেণি, কোড ২০১০, সেকশন আকাশ। সেই খাতা আর তার আধপোড়া স্কুল ব্যাগ পড়ে ছিল মাইলস্টোনের হায়দার আলী ভবনের এক কোণে। এই খাতা যেন রাষ্ট্রের কাছে জিজ্ঞেস করছে—কোন সমাজে বাস করছি আমরা?
এই প্রশ্ন এখনও খুঁজে না পাওয়া রাইসা মনির নয়—এই প্রশ্ন আজ বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর, প্রতিটি অভিভাবকের। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কি সত্যিই নিরাপদ? যারা সরকারি-বেসরকারি অনুমোদন দেয়, তারা কি চোখ বন্ধ করে স্বাক্ষর করে দেয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার অনুমতি? কতজন প্রকৌশলী নিয়ম মেনে ভবনের ডিজাইন তৈরি করেন? কয়টি প্রতিষ্ঠান নিয়মিত অগ্নিনির্বাপণ মহড়া চালায়, করিডোর ফাঁকা রাখে, নিরাপদ বহির্গমনের ব্যবস্থা করে?
যতই আমরা দাবি করি শিক্ষার প্রসার ঘটছে, শিক্ষার মান উন্নত হচ্ছে, বাস্তবতা হচ্ছে—আমরা আমাদের সন্তানদের এমন ভবনে পাঠাচ্ছি, যেগুলো হয়ে উঠছে মরণফাঁদ। কাল ২১ জুলাই ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে, এই বছরই জুনে হবিগঞ্জে নির্মাণের সময় একটি স্কুল ভবন ধসে পড়েছে, ডিসেম্বরে আবারও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে স্কুলের ছাদ ধসে পড়ার পর বলা হবে ধসে পড়েনি, পুননির্মাণের জন্য ভেঙে ফেলা হয়েছে; হয়তো আসছে বছর জুলাইয়ে চট্টগ্রামের কোচিং সেন্টার ট্র্যাজেডি নামে কিছু ঘটবে—এসব আমরা চেয়ে চেয়ে দেখব, কিছুই আমাদের চোখ খুলে দেবে না?
রাইসা মনির খাতাটাকে আমার কাছে একটা প্রতীক বলে মনে হচ্ছে। এই খাতায় কি শুধু ক্লাসের পড়া লেখা আছে, নাকি শিশুটি ওর স্বপ্নের কথাও লিখেছিল? নিশ্চয়ই আরও সব শিশুর মতো রাইসাও স্বপ্ন দেখত। তার স্বপ্ন ছাই হয়ে পানিতে গলে যাওয়া ছেঁড়া পাতা হয়ে যাবে কেন? রাইসাকে কি খুঁজে পাবেন ওর মা–বাবা? প্রার্থনা করি, যেন ফিরে পান তারা তাদের প্রিয় সন্তানটিকে।
আমাদেরকে উন্নয়নের গল্প, স্মার্ট বাংলাদেশের গল্প বলা হচ্ছে বহুদিন ধরে। কিন্তু ২০১৩ সালে কেনা চীনা বিমানগুলো এখনও কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে? এফ–সেভেন বিজিই বিমান আসলে চীনা চেংডু জে–সেভেন জঙ্গি বিমান, চীনে এগুলোর উৎপাদন চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে ২০১৩ সালে—যে বছর বাংলাদেশ এগুলোর ১৬টি কিনেছিল। ২০২৩ সালের পর চীন এগুলোর উড্ডয়ন পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। এই রকম বিমান আমাদের প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় উড়তে দেওয়া হয় না আর।
২০০৫ সালে এফ–সেভেন বিজিই বিমানের প্রথমটি বিধ্বস্ত হয়েছিল উত্তরার ফায়েদাবাদে। সেবার চারজন আহত হলেও কেউ মারা যাননি। ২০০৮ সালে এই বিমানগুলোর আরেকটি বিধ্বস্ত হয় টাঙ্গাইলে। বৈমানিক মোর্শেদ হাসান নিহত হন ওই ঘটনায়। কারণ, বিমানটির প্যারাস্যুট ঠিকমতো কাজ করছিল না। ২০১৫ সালে তৃতীয়টি বিধ্বস্ত হয় বঙ্গোপসাগরে। এর বৈমানিককে পরে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। চতুর্থটি বিধ্বস্ত হয় ২০১৮ সালে, আবারও টাঙ্গাইলে। ফুয়েল ট্যাংকে আগুন ধরে যাওয়ায় এর পাইলট উইং কমান্ডার আরিফ
আহমেদ দীপু বেঁচে ফিরতে পারেননি।
কিন্তু অবশেষে কি হলো? ২১ জুলাই দুপুর। রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রতিদিনের মতো চলছিল পাঠদান। শিক্ষার্থীদের কেউ ক্লাসে ছিল, কেউবা ছুটি শেষে বাসায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বাইরে অপেক্ষা করছিলেন অভিভাবকরা। ব্যস্ত, চেনা দুপুরটিকে মুহূর্তেই অচেনা করে তোলে এক বিকট বিস্ফোরণের শব্দ। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন, ধোঁয়া আর চিৎকারে ছেয়ে যায় স্কুল চত্বর। স্পষ্ট হয়ে ওঠে, একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে স্কুল ভবনের ওপর। শিশুদের আর্তনাদ, স্বজনদের আহাজারি, আতঙ্কিত জনতার ভিড়ে সেই দৃশ্য যেন কেবল একটি দুর্ঘটনা নয়—রাষ্ট্রীয় ঔদাসীন্যের সামগ্রিক ছবি। ফলে ২২ জুলাই দিনভর দেশজুড়ে বিক্ষোভে শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) তথ্য অনুসারে, দুপুর ১টা ৬ মিনিটে কুর্মিটোলার এ কে খন্দকার বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পরপরই এফ–৭ নামের চীনে উৎপাদিত যুদ্ধবিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুল ভবনের ওপর এসে পড়ে। মাত্র ১২ মিনিটের ব্যবধানে ঘটে যায় একটি ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়।
একটি যুদ্ধবিমান, যার মূল কাজ দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করা—তা কীভাবে জনবহুল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর বিধ্বস্ত হয়? প্রশ্ন উঠতেই পারে—এ রকম প্রশিক্ষণ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কেন পরিচালিত হচ্ছে? বিমানবাহিনীর ব্যবহারযোগ্য প্রশিক্ষণ এলাকা থাকার পরও কেন ঢাকার মতো একটি ব্যস্ত নগরের স্কুলের মাথার ওপর যুদ্ধবিমান উড়তে দেওয়া হয়?
এটিকে নিছক দুর্ঘটনা বলেই দায় শেষ করে দেওয়া যাবে না। এটি একটি কাঠামোগত ব্যর্থতা—নিরাপত্তা নীতিমালার, পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার এবং রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতার। একটি আধুনিক রাষ্ট্রে জনগণের জীবনের নিরাপত্তাই প্রথম শর্ত। শিশুদের নিরাপত্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা, সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা—এসবের নিশ্চয়তা না দিয়ে শুধু ‘দুর্ঘটনা’ বলে দায় এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা মেনে নেওয়া যায় না।
বাংলাদেশ শিশু অধিকার সনদে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্র। শিশুদের নিরাপদ পরিবেশে বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করার ব্যাপারে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার সঙ্গে রয়েছে আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতাও। শিশুদের জন্য তো নিজের ঘরের মতোই নিরাপদ স্থান হওয়া উচিত তার স্কুল। কিন্তু সেই স্কুলই হয়ে উঠল মৃত্যুকূপ।
শুধু তাই নয়, পরিবারগুলোর আর্থ–সামাজিক অবস্থান, ক্ষতিপূরণের কাঠামো এবং মানসিক পুনর্বাসনের বিষয়গুলো নিয়েও জরুরি আলোচনা হওয়া উচিত। আহতদের সুচিকিৎসা ও মানসিক সহায়তা নিশ্চিত করা এখন রাষ্ট্রের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।
রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় এই অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি। ফলত ২২ জুলাই সেখানে পরিদর্শনে গেলে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আটকে রাখে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। আটকে পড়া আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিক্ষা উপদেষ্টা সি. আর. আবরার ও প্রেসসচিব শফিকুল আলম বিকেল তিনটায় পুলিশি পাহারায় বের হওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। শিক্ষাসচিবকে বিদায় করা হয়েছে, শিক্ষা উপদেষ্টা কি পদত্যাগ করবেন? শিক্ষা উপদেষ্টা যখন মাইলস্টোনে আটকা পড়া অবস্থায় বের হওয়ার উপায় খুঁজছিলেন, তখন তার পদত্যাগের দাবিতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল সচিবালয়। বাংলাদেশে অবহেলার দায়–দায়িত্ব স্বীকার করে পদত্যাগের রীতি যদি থাকত অনেক আগেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করার কথা ছিল।
মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীরা হতাহতদের ঠিকঠাক তালিকা চেয়েছে। এটা চাইতে হবে কেন? আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআরকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বিত উদ্যোগ নিলে তো ২১ জুলাই রাতেই স্পষ্ট তালিকা দেওয়া সম্ভব ছিল। সংবাদমাধ্যম ২২ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বলছে, মৃত্যু বেড়ে ২৯, চিকিৎসাধীন ৬৯। তবে এ নিয়ে দেখছি গড়মিল।
২২ জুলাই বেলা ১২ টা পর্যন্ত হিসেব দিয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর বলে, মৃত্যুর সংখ্যা ৩১। এর তিনঘণ্টা পরে তিনটার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান ২৯ জন মৃত্যুর তথ্য দেন। তার ভাষ্য ছিল, লুবনা হাসপাতালে দুজন মৃত্যুর বিষয়ে আইএসপিআর তথ্য দিলেও হাসপাতালটির রেজিস্ট্রিতে মৃত্যুর কোন তথ্য নেই। এছাড়া, আইএসপিআর সিএমএইচে ১৬ জন মৃত্যুর তথ্য দিলেও সেখানে ১৫ জনের মৃত্যুর বিষয়টি ‘নিশ্চিত হওয়ার’ কথা বলেন তিনি।
উত্তরা আধুনিক হাসপাতালেও একজন মৃত্যুর যে তথ্য দিয়েছে আইএসপিআর, সেটির বিষয়েও তথ্যের ‘পার্থক্য’ রয়েছে দাবি করে সায়েদুর বলেন, উত্তরা আধুনিক থেকে মৃত একজনকে সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এ পরিপ্রেক্ষিতে তার ভাষ্য ছিল, ‘তথ্যের পার্থক্যগুলো দূর হতে হয়তো একটু সময় লাগবে। যেহেতু মৃতদেহ এবং দেহাবশেষ নিয়ে আমাদের তথ্যে কিছু পার্থক্য আছে।’
ঘটনার প্রায় ২৭ ঘণ্টা পর এই ২২ জুলাই সন্ধ্যা ছয়টার দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে লুবনা হাসপাতালে নিহত একজন পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার কথা বলা হয় এবং তাদের হিসেবে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৮।
আইএসপিআর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৬৫ জনের কথা বললেও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান সবমিলিয়ে হাসপাতালে ৬৯ জন চিকিৎসাধীন থাকার তথ্য দিয়েছেন। তার বিশ্লেষণ, উত্তরা আধুনিকে ৬০ জন, লুবনাতে ১৩ জন ছিল তালিকায়। যাদের বেশিরভাগকেই পরে অন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। রেকর্ড কিপিং এবং মুভমেন্টের কারণে এই ‘ডুপ্লিকেশন’ হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এটা প্রতিনিয়ত আপডেট করা হচ্ছে।’
দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন যারা, তাদের অবস্থা ভয়াবহ। অনেক মৃতদেহ এতটাই পুড়ে গেছে যে পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন হচ্ছে।
প্রতিটি দুর্ঘটনার পরই আমরা করণীয় নির্ধারণ করতে গিয়ে তদন্তের কথা বলি। স্বচ্ছ তদন্ত কি হয়? হলেও আমরা জানতে পাই না, তদন্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশের নজির দুর্লভ। তবু দাবি করব—একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক মাইলস্টোন দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য যেখানে শুধু সামরিক নয়, বেসামরিক প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ এবং মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যরা থাকবেন।
আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের সর্বসাম্প্রতিক উদাহরণ আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে—জুলাই অভ্যুত্থানের হতাহতদের নিয়েই দেওয়া যায় উদাহরণটা। তাই বলে মাইলস্টোনে নিহত ও আহতদের পরিবারের জন্য রাষ্ট্রীয় ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার দাবি তো ছাড়া যাবে না। পাশাপাশি ওই প্রতিষ্ঠানটির সব শিক্ষার্থীর জন্য মানসিক পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করতে হবে, যেন তাদের কেউ দীর্ঘস্থায়ী ট্রমায় আক্রান্ত না হয়।
যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণ যেন জনবসতির বাইরে এবং সুরক্ষিত এলাকায় হয়, তা নিশ্চিত করা উচিত—মাইলস্টোনের ছোট ছোট শিক্ষার্থীরাও এটা বুঝতে পারছে। তাহলে সামরিক বাহিনী কেন বুঝবে না? বিমানবাহিনীর পুরোনো বিমানগুলো বাতিলের নীতিমালা অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে।
দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ঝুঁকি নিরূপণের জন্য জাতীয় পর্যায়ের একটি সমীক্ষা চালানো জরুরি।
সামরিক বাহিনীকে প্রশ্ন করা যাবে না–এই ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে আমাদের। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন করা এবং জবাবদিহিমূলক সংলাপ চালু করা উচিত।#