৩০ মাসে শেষ হবে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নির্মাণ
কাজ শুরু হওয়ার ৩০ মাসের ভেতরে শেষ হবে পূর্বাচল অবস্থিত শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণ। এজন্য দুটি অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানিকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেখান থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে পপুলাস আর্কিটেকচারকে।অপর প্রতিষ্ঠানটি ছিল কক্স আর্কিটেকচার। দুটি কোম্পানিরই বিশ্বের বড়বড় স্টেডিয়াম তৈরির অভিজ্ঞতা আছে। অলিম্পিক, ফুটবল বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ প্রতিষ্ঠান দুটি তৈরি করেছে। বিসিবি সবকিছু দেখেই পপুলাসকে চূড়ান্ত করেছে।রোববার (০২ অক্টোবর) বিসিবির সপ্তম বোর্ড সভায় পপুলাস আর্কিটেকচারের সঙ্গে চুক্তি করার অনুমোদন মিলেছে। সামনে যেকোনো দিন বিসিবি চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সারবে। এরপর ছয় মাসের ভেতরেই শুরু হয়ে যাবে স্টেডিয়াম তৈরির কর্মযজ্ঞ। এ খবর নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।মিরপুরে তিনি বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আমরা চূড়ান্ত করেছি৷ পপুলাসকে দেওয়া হয়েছে দায়িত্বটি। কনসালটেন্ট ডিজাইন… এই কনসালটেন্ট ডিজাইন তাদেরকে দেওয়ার যে চুক্তি সই হবে, সেটার অনুমোদন আজকে দেওয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হবে। আমরা প্রস্তত আছি, কাগজপত্র তৈরি আছে। যেকোন দিন চুক্তি হয় যাবে। চুক্তি হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে তাদেরকে কাজ করতে হবে।’পাশে থাকা বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘ড্রয়িং ডিজাইনের একটা টাইমলাইন দেওয়া আছে৷ আমরা ৬ মাসের মধ্যে আশা করছি। তবে এর আগেই আমরা চেষ্টা করব কাজ শুরু করার জন্য। যত দ্রুত সম্ভব আমরা এগোতে চাই।’‘চুক্তি হওয়ার সময় থেকে আমাদের ৩০ মাসের একটি টাইমলাইন করা আছে। এভাবেই করা আছে। এর মধ্যেই চেষ্টা করা হবে কাজ শেষ করার।’ -যোগ করেন তিনি।২০১৮ সালে স্টেডিয়ামের কার্যক্রম শুরু হয়। নৌকার আদলে নকশা প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে। তবে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। ২০২৩ সালে স্টেডিয়াম প্রস্তুতের লক্ষ্য থাকলেও সেটি সম্ভব হচ্ছে না এই সময়ে।২০২৪ সালে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক বাংলাদেশ। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচটি আয়োজন করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সেই পরিকল্পনা আলো দেখছে না বোঝাই যাচ্ছে।