শিরোনাম
আমাকে বাঁচান, আমি বাঁচতে চাই | সকলের প্রতি দুটি কিডনী ড্যামেজ অসহায় মনি’র আবেদন
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ দু’টি কিডনীই ড্যামেজ হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বন্দর রূপালী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মনি আক্তার। মনি অসুস্থ্য হওয়ার পর দুই মেয়ে সন্তান ও স্ত্রীকে ফেলে রেখে চলে যার তার স্বামী রফিক । এ দুরবস্থায় পিতা হারা মনি আক্তারের আশ্রয় মেলে স্বল্প আয়ের মিশুক চালক ভাই লিটনের সংসারে। আদরের বোনের চিকিৎসার খবর বহন করতে গিয়ে ভাই লিটন তার একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম( অটোরিকসা) শিশুক গাড়িটিও বিক্রি করে দিয়েছন। অসহান মনি আক্তারকে বাঁচাতে তার পরিবার থেকে একটি কিডনী দিতে ডেনার পাওয়া গেছে। কিন্তু কিডনী ট্রান্সফার করাতে ব্যায় বহুল খরচ বহন করা তার পরিবার অপারগ। মনি আক্তারের ভাই লিটন জানিয়েছেন চিকিৎক বলছে একটি কিডনী ট্রান্সফার করা ও ঔষুধপত্র যাবতীয় খরচ মিলে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন।
সমাজের ৭/১০ টা মেয়ের মত মনি আক্তারের সুখের সংসারে তাদের কোলজুড়ে দুটি মেয়ে মারিয়া আক্তার- ( ১১ ) ও সুমাইয়া আক্তার- ( ৪ ) সন্তান জন্ম হয়। স্বামী গার্মেন্টসে কাজ করে স্বল্প আয়ে ডাল ভাত খেয়ে সুখে দুঃখে চলছিল তাদের সংসার। হটাৎ মনি আক্তার অসুস্থ্য হয়ে পড়লে পরীক্ষা করানোর পর চিকিৎসক জানান তার দুটো কিডনীই ড্যামেজ হয়ে গেছে। শুরু হয় অসচ্ছল পরিবারের বেচেঁ থাকার সংগ্রাম কিডনী ডায়ালসিল। মাসে ৪/৫ বার ডায়ালাইসিস করাতে ধারদেনা করে পথে বসে তার স্বামী ও পরিবার। এক পর্যায়ে স্বামী রফিক তাদের রেখে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মুমূর্ষু রোগি মনি আক্তার সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যাক্তিদের কাছে মানবিক সাহায্যের প্রার্থণা করে বলেছেন, আমার দু’টি মেয়ে আছে মারিয়া আক্তার- ( ১১ ) ও সুমাইয়া আক্তারকে ( ৪ ) নিয়ে বাঁচতে চাই। আপনাদের সাহায্যে আমি জীবন ফিরে পেতে পারি। আমার এতিম দুটি মেয়ে তার মাকে ফিরে পাবে। সমাজের সবার কাছে আমার আবেদন আমাকে বাঁচান।
আমাকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : মনি আক্তার , একাউন্ট নাম্বার : ০৭২১১০০৫৫৩৫৩ আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক , বন্দর এস এম ই / কৃষি শাখা , বন্দর বাজার , নারায়ণগঞ্জ বিকাশ ও নগদ – এ টাকা পাঠাতে : ০১৬৭২৭১৭০৬২। #