শিরোনাম
স্বাস্থ্য,পরিবেশ, সর্বিক বিষয় নিয়ে কাজ করছি | আমরা পিছিয়ে নেই – মেয়র আইভী
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিকে আরও ফলপ্রসু ও ত্বরান্বিত করতে এটিকে প্রযুক্তির অধীনে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে ট্যাব বিতরণ করেছে ইউনিসেফ। দেওয়া হয়েছে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে এইসব ট্যাব বিতরণ করেন সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। এর আগে সকাল থেকে দিনব্যাপী চলে প্রশিক্ষণ।
ইপিআই কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে এই ধরনের উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশ সরকার ও ইউনিসেফকে ধন্যবাদ জানান সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
তিনি বলেন, ‘এই ধরনের প্রকল্পের কারণে সারা বাংলাদেশের মানুষ উপকৃত হবে। ইপিআইতে আমরা ৮৫ শতাংশ সফল। তবে এইটাকে শতভাগ করতে হবে। এজন্য মাঠপর্যায়ে পরিশ্রম করতে হবে। কোথায় কোন জায়গায় সমস্যা সেই বিষয়ে আমরা বিস্তারিত আলাপ করবো। সবকিছু মিলিয়ে টার্গেট ফিক্সড করে দিতে হবে। এই টার্গেট সম্পন্ন করতে হবে।’
স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘স্বাস্থ্য নিয়ে যারা কাজ করেন তারা মানুষকে সরাসরি সেবা করেন। এই সেবাটি মানুষের জীবন-মরণের সাথে সম্পৃক্ত। বিশেষ করে এইটার সুবিধাভোগী আবার শিশুরা। সুতরাং প্রতিটি খুটিনাটি বিষয় মাথায় নিয়ে কাজ করতে হবে। এইটা আমাদের নিজেদের সম্মানেরও ব্যাপার।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সফলতার কথা উল্লেখ করে আইভী বলেন, ‘আমরা শুধু স্বাস্থ্য না, পরিবেশ নিয়ে কাজ করেছি, অন্যান্য বিষয়েও কাজ করেছি। কোন জায়গাতেই আমরা পিছিয়ে নেই। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন পাইলটিং প্রোগ্রামে অনেকক্ষেত্রে এগিয়ে আছে।’
‘ইমিউনাইজেশন ই-ট্র্যাকার’ শীর্ষক এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শেখ মোস্তফা আলী, এই প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার এসএম আব্দুল্লাহ আল মুরাদ, ইউনিসেফের টিম লিডার (নিউইয়র্ক) ডা. আনিস সিদ্দিক, ইমিউনাইজেশন কনসাল্টেন্ট ডা. রিয়াদ মাহমুদ, ডা. জাহিদ হাসান প্রমুখ।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলেন, ‘আমাদের মূল উদ্দেশ প্রতিটা বাচ্চাকে ভ্যাক্সিনেটেড করা। প্রযুক্তিগত এই পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা সহজেই সুবিধাভোগী শিশুদের চিহ্নিত করতে পারবো। তাদের অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগের বাধা দূর হবে। তাদেরকে ভ্যাক্সিনেশন করে সহজে কভারেজের আন্ডারে আনা যাবে। আমরা পাইলটিং প্রোগ্রাম শুরু করেছি। এটিকে আরও সম্প্রসারিত করা হবে। #