শিরোনাম
প্রধানমন্ত্রী রূপগঞ্জে জনসভায় লক্ষাধিক লোক সমাগমের প্রস্তুতিতে নেতাদের ব্যস্ত সময় পার
নিজাম উদ্দিন আহমেদ – রূপগঞ্জ প্রতিবেদকঃ আওয়ামীলীগ নেতা, বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনা রূপগঞ্জে আসবেন। মেট্টোরেলের উদ্ভোধন করবেন। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দের বন্যা বইয়ে। সবাই দৌড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছেন। কিভাবে নেত্রীর আগমনকে স্বরণীয় করে রাখা যায় সেই কাজেই ব্যস্ত সবাই। এ নিয়ে চলছে আলাপ আলোচনা, চলছে কর্মযঘ্য। আর মাত্র ক’দিন বাকি। নেত্রীর আগমনকে সাফল্যমন্ডিত করতে নেতা কর্মীদের চোখে ঘুম নেই। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের প্রথমেই জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে রূপগঞ্জে নেত্রীর আগমনকে খুব গুরুত্ত্বসহকারে নিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। তাই লোকসমাগমের বিষয়টাও প্রাধান্য দিচ্ছেন আওয়ামীলীগ।
আগামী ২৬ জানুয়ারি নেত্রী আসবে। এর আগে তিনি পহেলা জানুয়ারি রূপগঞ্জে এসেছিলেন। এক মাসের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রূপগঞ্জে দুইবার আসবে কেউ ভাবতেও পারেনি। অনেকে স্থানীয় সাংসদ বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীকের প্রশংসা করছেন। তাকে নেত্রীর বিশ^স্ত সৈনিক মনে করা হয়। ভোটের আগে আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান রূপগঞ্জকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন। মন্ত্রীও নেত্রীর কাছে এলাকার উন্নয়নসহ কিছু দাবি তুলে ধরছে। দলীয় নেতাকর্মীসহ রূপগঞ্জের সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত হচ্ছে। নেত্রীর আগমনের খবরে রূপগঞ্জে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরী হয়েছে।
নেত্রীর পছন্দ রূপগঞ্জ। নেতাকে (গাজী) প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। দলটির সাধারণ সম্পাদক এই কথা জানান। করোনা পরবর্তী এই প্রথম কোন উপজেলায় স্বশরীরে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভা ও মেট্টোরেলের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করবেন। আর সেটা রূপগঞ্জ।
গেল ১৬ জানুয়ারি রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ আলোচনা সভা করেছে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি , বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করার লক্ষ্যে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। নেতার কথামত কর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় কাজ করে যাচ্ছে। তাদের এখন প্রধান টার্গেট লোক নিয়ে সবাই প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যাবে। এতে ক্ষমতাসীন দলের সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়ছে।
আলোচনা সভায় রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেন, শেখ হাসিনার জন্য রূপগঞ্জবাসী ধন্য। নেত্রীকে ধন্যবাদ তিনি আমাদের রূপগঞ্জে আসবেন। আমরা নেত্রীকে বরণ করার জন্য প্রস্তুত আছি। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। নেত্রীর জনসভায় রূপগঞ্জ থেকে লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ ঘটবে।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেন, বাংলার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রূপগঞ্জবাসী আরেকবার কাছে থেকে সরাসরি দেখবে। আমরা গর্বিত।
তিনি আরও বলেন, দয়া করে কেউ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে বিভক্তি দেখাবেন না। সেদিন আমাদের একটাই শ্লোগান শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা। বাইরের শ্লোগান চলবে না। অনেকে শকুনের ডাক দেবে, দয়া করে কেউ সারা দেবেন না। যারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুষ্ঠান সফল করবে না তাদেরকে বহিস্কারের দাবি জানাচ্ছি। আমাদের নেতাদের কাছে আমার এই দাবি।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভুঁইয়া বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রূপগঞ্জে অনেক উন্নয়ন করেছেন। কোন গ্রুপিং চলবে না। সমাবেশে যাওয়ার জন্য আমাদের বাস,লঞ্চ থাকবে। সবাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যাবেন।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক শাহিন মালুম বলেন, দাউদপুরের চেয়ারম্যান ষড়যন্ত্র করছে। আমরা তার বহিষ্কার চাই। শেখ হাসিনার জন্য বাংলাদেশ ধন্য, গাজী সাহেবের জন্য রূপগঞ্জ ধন্য। নেত্রীর সমাবেশে আমরা দাউদপুরের নেতৃবৃন্দ মিলে ১০ হাজার লোক নিয়ে যাবো। দাউদপুরের মানুষ গাজী সাহেবকে অনেক ভালোবাসে।#